পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা র্তাহাব কথা মানিয়া চলেন, অপশুিভেবা মানেন না, তাই দু’বকম বানান আমাদেব দেশে চলিয়া আসিতেছে। অপণ্ডিতের বানানই বেশী পবিমাণে চলস্তিক হইয়। গিযfছে । কিন্তু তিনি বলেন বাজার হুকুম যেমন দ্বিধা না কবিয়া মানিয়া যাইতে হয বর্ণযোজনার হুকুমও তেমনি মানিতে হইবে । কিন্তু বাঞ্জাব হুকুম বাজভক্তবাই মানিয়া চলে, আভক্তেবা মানে না , তেমনি পণ্ডিতের পুরুষোত্তমের হুকুম মানিযা চলেন, অপণ্ডিতেবা মানেন না। বাজশেখববাবুব “চলস্তিকাষ” বানান লইযা যতগুলি rগলিযোগেৰ কথা আছে প্ৰায় ১০০০ বৎসব আগীে সেই সকল কথাবই আলোচনা পুরুযোত্তম কবিয়া গিয়াছেন। তবে এখন গোলঘোগটাই কিছু বেশী হইযাছে, কাবণ বাঙ্গলায় এমন কি সংস্কৃতেও আববী, পাবসী, ইংরেজি, পোর্জ গীজ প্রভৃতি অনেক শব্দ আসিয়া পডিযাছে, তাহদেব ব-কাবভেদ, য কবিভেদ, স-কবিভেদ ও ন-কারভেদ লইয়া অনেক বেশী গোলযোগের সৃষ্টি হইয়াছে । স স্কৃত অভিধান বলিলেই বুঝিতে হইত যে, অভিধানথানি মুখস্থ কবিতে হইবে, কিন্তু ইউবোপে এখন আর অভিধান মুখস্থ কবিতে হয় না। শব্দগুলি বর্ণমালা অনুসাবে সাজান থাকে, অভিধান খুলিয়া অনায়াসেই শব্দ ধথিয় লওয়া যাইতে পাবে, মুখস্থ কবাব পবিশ্রমট একেবারেই না কবিলেও চলে। হংরাজেব বাঙ্গলাষ আসাব পব হইতেই এইরূপ বর্ণমালানুক্রমে অভিধান লি িবাব চেষ্টা হয়। কোলক্ৰক সাহেব একবাব অমবকোষ ছাপান এবং তাহাব শেষে বণমালা অনুসাবে এক পরিশিষ্ট দেন তাহাতে আমবকোষেব সব শব্দ থাকে । এদেশীয় অভিধানে সেই বোধ হয় বর্ণমালাতুক্রেমেব প্রথম ব্যবহাব । তাহাব পর লীড়ন সাuহব এক বাঙ্গলাব অভিধান লেখেন—তাহাতে বাঙ্গলা শব্দগুলি বর্ণমালা অনুসারে সাজান থাকে । লীডন সবে বোধ হয় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজেব ছাত্র, পণ্ডিত মহাশয়দের নিকটে বাঙ্গালা শেখেন তাই তব বাঙ্গালী ভাষাটা পণ্ডিতী ভাষা-সংস্কৃত শব্যেবই অভিধান, কাবণ পণ্ডিত মহাশয়র মনে করিতেন চলতি ভাযাব আবাব একটা অভিধান কি ? চলস্তিক' ত সবাই জানে, তাব জন্য আবাব চলস্তিকাব অভিধান কেন ? কিন্তু সে সময়কাব কলিকাতার ইংরাজি জানা প্রধান পণ্ডিত vরামকমল সেন মহাশয়, পণ্ডিত মহাশয়দেব সহিত একমত হইতে পাবেন নাই । তিনি চলস্তিকা, আচলস্তিকা দুই লইয়া এক প্রকাগু অভিধান লেখেন, কিন্তু এই দুখানি অভিধানই আর পাওয়া যায় না , দুইখানিই ১০০ বৎসর পূর্কের লেখা, দুইখানিতেই যথেষ্ট গুণপণ ছিল। a ā- R वंड़िधनि । boులీ তাহার পর বাঙ্গালীয় অনেক অভিধান হইয়াছে । কতকগুলি সংস্কৃত অভিধান বাঙ্গলা অক্ষরে ছাপ হইয়াছে, যেমন গিরিশচন্দ্র বিদ্যারত্ব মহাশয়ের “শব্দসাব” । অভিধানখনি বেশ ছোটখাটো, সৰ্ব্বদাই ব্যবহার কথা চলে, কিন্তু শব্দগুলি সব সংস্কৃত—সংস্কৃত ছাত্রদেব জন্যই লেখা। স্কুলবুক সোসাইটি একখানি ছোটখাটে বাঙ্গালা অভিধান লেখাইযাছিলেন—সেখালি খুব কাজের বই হইয়াছিল, কিন্তু এখন আর দেখিতে পাওয়া যায় না । বট ভুল হইতে "শব্দার্থ-প্রকাশিকা” নামে একখানি অভিধান বাহির হইয়াছিল, সেখানি আমরা ছেলেবেলায খুব ব্যবহার কবিয়াছি এখন আর দেখিতে পাই না। বটতল হইতে আবও দু-একখানি অভিধান বাহির হইয়াছিল তাহাও আচলস্তিক হইয় গিয়াছে। ৮ঈশ্ববচন্দ্র বিদ্যাসাগব মহাশয় একখানি অভিধান লিখিয়াছিলেন—‘প’ অক্ষব পৰ্য্যস্ত ছাপা হইয়াছিল, কিন্তু তাহাব পর তিনি অভিধান লেখ৷ ছাড়িয়াই দিলেন । এখন অনেকগুলি অভিধান স্বাঙ্গালায় চলিত অাছে, যথা রামকমল বিদ্যালঙ্কাবেব প্রকৃতিবাদ অভিধান, সুবলচন্দ্র মিত্রেব সবল বাঙ্গালা অভিধান, যোগেশচন্দ্র বায়ের বাঙ্গালা শব্দকোষ, জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাসেব বাঙ্গালা ভাষাব অভিধানু। প্রথম দুইখানি প্রধানতঃ সংস্কৃত শব্দেব অভিধান, তৃতীয়টি কেবল বাঙ্গাল শব্দের, চতুর্থটিতে সংস্কৃত আ সংস্কৃত দুই বকম শব্দই আছে। এই অভিধানগুলি বেশ একটু বড, সৰ্ব্বদ ব্যবহারের উপযুক্ত নয়। সুবলচন্দ্রের ছোট একখানি অভিধান আছে বটে, কিন্তু তাঁহাতে অ সংস্কৃত শব্দ নাই বলিলেই হয় । তাই একখানি ছোটখাটে। প্রকৃত বাঙ্গাল অভিধানের. বড়ই দরকাব ছিল। শ্ৰীযুক্ত বাবু বাজশেখর বস্থ ‘চলস্তিক’ লিখিয় সে অভাব পূরণ কবিয়াছেন । র্তাহার চলস্তিকায় লেখা আছে ২৬,০০০ কথার অভিধান— প্রথম আমার বিশ্বাস হুষ নাই, তাহাব পর দেখিলাম বইখানিব অভিধান অংশে ৫৬০টি পাতা, প্রতি পাতায় দুইটি কবিয়া কলম, দুই কলমে গড়পড়ত ৪৫টি করিয়া কথা—৫৬০ X ৪৫ = ২৫২০ ০, डांश्ांदई नांभ २७००० ॥ ছাপাটি অতি পবিষ্কাব হুইয়াছে, টাইপ সব নুতন, কিন্তু একই টাইপে ছাপা, ভিন্ন ভিন্ন টাইপ ব্যবহার কবিতে পাবিলে ভাল হইত। ব্যাপটিষ্ট মিশন প্রেস গ্রিয়াবসন সাহেবের যে কাশ্মীবী রামায়ণ ছাপিয়াছে তাহাতে ভিন্ন ভিন্ন টাইপ ব্যবহার কবায় শব্দ খুজিয়া বাহির করিবাব খুব সুবিধা হইয়াছে। “চলস্তিকায়" অনেকশবোব বুৎপত্তি দিবার চেষ্টা কবা হইয়াছে। সে-সকল শব সংস্কৃত হইতেই আলিয়াছে। তিনি সংস্কৃত শব্দ ও