পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

)నవ হষ্টলে পাশ্বের জুলির মাটী লষ্টয় তাহার গোড়ায় দিতে হইবে । ইঙ্গাকে মাটা ধরান কহে । আলুর ক্ষেত্রে ১০ দিন অন্তর অন্তর জলসেচন আবশ্যক হয় । বৃষ্টি হইলে সে সময় জলসেচনের প্রয়োজন হয় না। গাছের গোড়ায় দুইবার মাটী ধরাষ্টয়া দিতে হয় । ক্ষেত্রে ঘাস হইলে একবার নিড়াইয়া দেওয়া আবশ্যক। আলু সুপক্ক হইয়া গাছ অল্প শুকাইতে আরম্ভ হইলে আর জলসেচনের প্রয়োজন হয় না । সার-আলুর পক্ষে থষ্টলের সারই সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট। নিম্নের তালক মত যে কোন সার আলুর ক্ষেত্রে দেওয়া যাইতে পারে । ১ । বর্ষাকালে ক্ষেত্রে ৪৫ তাত অস্তর অন্তর গর্ত করিয়া তাহাতে এক এক ঝুড়ি কাচ গোবর ফেলিয়া মাটী চাপ দিলে তাহা ক্ষেত্রে পচিয়৷ উত্তম সার হয় । এরূপ সুবিধা ন হইলে আশ্বিন মাসে পচা গোবর প্রতি একরে ৫০ গাড়ী পরিমাণ দিতে পারা যায় । ২ । রেড়ির থষ্টল প্রতি একরে ১৫ মণ অথবা সরিসার খইল প্রতি একরে ২০ মণ আলুর পক্ষে উত্তম সার । ৩। লোনা মাটী বা সোরার মাটী, প্রতিবার আলুতে মাটী ধরাইবার সময় প্রতি গাছের গোড়ায় আধসের হিসাবে দেওয়া যাইতে পারে । ৪ । চাড়ের গুড়া দিলে প্রতি একরে ২০ মণ প্রয়োজন ইহা বর্ষাকালে ক্ষেত্রে ছড়াষ্টয়া দিতে হয় । ৫ । ভাদ্র মাসের প্রথমে ধঞ্চেবীজ প্রতি একরে আধ মণ অথবা শণ পাজ প্রতি একরে ১ মণ হিসাবে ছড়াইয়া দিয়া তাহাব গাছ লড় চইলে আশ্বিনেধ প্রথমে তাহা কাটিয়া ক্ষেত্রে পুড়ঙ্গেয়া দিলে পচিয়া অতি উত্তম সার হয়। থষ্টলের সার ক্ষেত্রে দিবার নিয়ম—ক্ষেত্রে যে জুলি কাটিবার কথা উপরে লেখা হইয়াছে গইল গুড়া করিয়া সেই জুলিতে ছড়াইয়া দিতে হইবে। তৎপবে জুলিতে জলসেচন করিয়া দুই দিন ফেলিয়া রাখিতে হুইবে । অনন্তর মাটীতে জো হইলে তাহা কোদাল বা হে দিয়া খুড়িয়া তাহাতে আলু বপন করা হয়। পুনরায়, আলুর গাছ যখন আধ হাত বড় হইবে, সেই সময় পার্শ্বস্তু জুলিতে খইলের গুড় ছড়াইয়া তাঙ্গতে জলসেচন করিয়া দুই দিবস পরে সে জুলির মাটী গাছের গোড়ায় ধরাষ্টয়া দিতে হইবে। এইরূপে অৰ্দ্ধেক থষ্টল আলু বপনের পুৰ্ব্বে এবং বাকী অৰ্দ্ধেক প্রথম মাটী ধরণইবার সময় প্রয়োগ করা হয় । এই প্রণালীতে সার দিলে আলুর ফলন সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক হয়। আলু সংগ্রহ ও রক্ষা—বীজ বপনের পর তিন মাসে আলু তুলিবার উপযুক্ত হয়। যে সময় গাছ ক্রমে শুকাইতে থাকে, তাহাই আলু তুলিবার উপযুক্ত সময় বুঝিতে হইবে। 莎孤日 ক্ষমাটা শুকাইয় ফাপা হইলে তাহাকে জো কছে। বৃষ্টির পরে २॥४ शिम cब्रोज़ शांजिटल मॉप्रैष्ठ cजां इब्र । প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩১৭ [ ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড আলুর অৰ্দ্ধশুস্ক গাছগুলি উত্তম পশুখাদ্য। আলু তুলিবার পূৰ্ব্বে গাছগুলি কাটিয়া লক্টতে পারা যায়। তৎপরে স্বরপী বা কোদাল দিয়া আলু তুলিতে হইবে। আলু তুলিয়া বাছিয়া ছোট বড় পৃথক পৃথক করিতে হইবে । তৎপরে মেঝেতে বালি রাথিয় তাহার উপর আলু সাজাইয়। রাখিলে বর্ষ ইষ্টলে তাঙ্গা নষ্ট হয় না। যে ঘরে আলু থাকিবে, সেখানে বাতাস যাওয়া আবশুক । আলুর বীজ বুড়িতে রাখিয়া টাঙ্গাইয়া রাখা যাইতে পারে। যত আলুীজ প্রয়োজন, তাছার দ্বিগুণ আলু বীজের জন্ত রাখিতে হইবে। কারণ অনেক আলু পচিয় যায় এবং শুকাইয়াও পরিমাণে অল্প হয় । জমীর কতক ংশে পাহাড়ী আলু এবং কতক অংশে acclamatized আলু বপন করিলে নিজের ক্ষেত্রের acclamatized বীজ রাখা যাক্টতে পারে । আলু পচিবামাত্র তাহ বাছিয়া ফেলিতে হইবে। কারণ পচা আলুর সংশ্রণে অন্ত আলু নষ্ট হয়। আয় ব্যয়— আলুচাষের সুবিধার জন্ত নিম্নে একটা আয় ব্যয়ের হিসাব দেওয়া হইল। প্রথম বৎসরে এইরূপ ব্যয় হইয়া থাকে। কিন্তু তৎপর বৎসর নিজের ক্ষেত্রের caclamatized বীজ রাখিতে পারিলে অনেক ব্যয় কমিয়া যায়। ধঞ্চে, শণ, লোনা মাটী, পাক প্রভৃতি সার বিবেচনা করিয়া দিতে পারিলে সারের খরচও অনেক অল্প করিতে পারা যায়। আলু কিছুদিন রাগিয়া বিক্রয় করিতে পারিলে বা বীজ বিক্রয় করিলে আরও লাভ হইয়া থাকে । এক একরে ব্যয়ের তালিকা— ৮ চাষের লাঙ্গল ও মই bへ বীজ ক্রয় ১৫ মণ, দর ৬০ হিঃ సెilio খইল ২০ মণ - - - 8°N ১০ বার জলসেচন bへ অন্তান্ত খরচ v\ খাজনা &|ļo ১৬৭২ আয়ু এক একরে— আলু উৎপন্ন ২•• মণ, দর ৩০ সের হিঃ ২৬৭২ লাভ У о о পর্য্যায়—প্রতি বৎসর এক ক্ষেত্রে আলু বপন করা উচিত নহে। ৩ বৎসরের অধিক এক ক্ষেত্রে আলু উৎপন্ন করিলে ফসলে পোকা ধরিবার বিশেষ ভয় থাকে। আলুর ক্ষেত্রে অন্ত ফসল দেওয়ায় ক্ষেত্রের তেজ কমিয় যায়। কিন্তু বর্ষাকালে পাট বপন করিলে আলুর ক্ষেত্রের অপকার না হইয়া বরং উপকারই হষ্টয়া থাকে। মজফফরপুর। প্রীজ্ঞানেজমোহন দত্ত ।