❖ፃፉ» ه- - عـه عه -د. به جابهجدهم. • • • • • • • "هایی.***"w.» ، ««««».م.» একটি অল্প পরিসর কক্ষ বা চলন-ঘ دههها - ماه می، به مد» سم র । তাহার একপ্রাস্তে উপরে উঠিবার সিড়ি আছে। প্রদীপটি হাতে করিয়া সেই সিঁড়ি দিয়া বৃদ্ধ উঠিয়া গেল । দ্বিতলের উপর একটি লম্ব সরু বারান্দা । তাহার একদিকে সমস্তটা কাঠের ঝিলমিল দিয়া আবদ্ধ। অপর প্রাস্তে একটি দ্বার, তাহাতেও শিকল লাগান রহিয়াছে । শিকল খুলিয়া বৃদ্ধ ভিতরে প্রবেশ করিল ? সে স্থানে খানিকট আবরণশ্বন্ত ছাদ—উচ্চ প্রাচীর দিয়া ঘেবা । এখানে ওখানে দুষ্ট তিনটি কক্ষের দ্বার দেখা যাইতেছে। তাহার একটি তখন খোলা ছিল, ভিতর হইতে অল্প আলোক বাহির হষ্টতেছিল। বৃদ্ধ তন্মধ্যে প্রবেশ করিল। কক্ষখানি সুন্দরভাবে সজ্জিত। টেবিল, চৌকি, ছবি, কাচের পুতুল প্রভৃতি ইহার শোভা সম্পাদন করিতেছে। ভাল থাটি লিছানা রহিয়াছে, তথাপি একটি কৃশাঙ্গী যুবতী একখানি মাদুর পাতিয়া মেঝের উপর শয়ান ছিল। একস্থানে টেবিলের উপর একখানি বৃহৎ আয়ন এবং নানাবর্ণের কেশতৈল সাজান রচিয়াছে, কিন্তু এই রমণীর কেশরাশি রুক্ষ্ম, আলুলায়িত । মাদুরথানির উপর স্বীয় বাম করকে উপাধান করিয়া গঙ্গামণি শুষ্টয়া ছিল । বুদ্ধাকে প্রবেশ করিতে দেখিয়া গঙ্গামণি চকিতভাবে উঠিয়া বসিল । প্রদীপটা উজ্জ্বল করিয়া দিল । তখন সেই আলোকে দেখা গেল, অভাগিনী পরম মুন্দরী । বয়ক্রম বিংশতি বর্ষের অধিক হইবে না । চক্ষু দুইটি বৃহৎ ও কোমল । মুখখানি বড় বিষণ্ণ । বৃদ্ধাকে দেখিয়া গঙ্গামণি দলিল-–“কি মাঈ, আজ যে এত দেরী ?” “কাল আমাদের পরব কি না, তাই থাবার প্রস্তুত করিতেছিলাম।” “পরব ?—পরব কি ?” “পরব এই যাকে বলে তেহওয়ার । কাল দেওয়ালী।” “कि झग्न ?” * “থানাপিনী হয় । রাত্রে সবাই ঘরে ঘরে প্রদীপ জালায়। তোদের বাঙ্গালীদের পূজা হয়—কালীমাঈর পূজা—জানিস না ?” প্রবাসী--পৌষ, ১৩১৭ HHHAAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASSAAAAAAS AAASASASS । ००अ छाश, २ग्न थe ی. ام. ه« ۰۰۰.. اهده همه هاده به دهه ۰ - ۰-سه = ۰.» “ওঃ—কাল বুঝি কালীপূজা ? আজ চতুর্দশী—তাই এত অন্ধকার ।” o “হঁ্যা বেটি কাল কালীপূজা। বাবুর বাড়ীতে পূজা হয়। অনেক পাঠা বলি হয়। কাল সেখান থেকে পরসার্দি আসবে—তুষ্ট খাবি ত?" “মাংস ?” “হঁ্যা— পাঠার মাংস।” “আমায় কি মাছ মাংস খেতে আছে ? আমি যে বিধবা ।” “হলেই বা বিধবা । নস্। আমাদের দেশে গোয়ালা হলেও মাছ মাংস সব খায়।" “আমাদের খেতে নেই। পাপ হয় ।” “তোদের দেশের দস্তুব ভারি খারাপ । তুষ্ট ত বামুন কায়েথের মেয়ে জাতের মেয়ে বিধবা আমাদের মুলুকে গোয়ালার মেয়ে বেওয়া হলে আবার তার সাদি হয়। একবার ছেড়ে পাচ বার হয় । কেমন ভাল ! তুষ্ট যদি বাঙ্গালী না হতিস্ত তোরও সাদি হত । তোর এই কাচা বয়স, এমন খাপস্থরত চেহারা, কত লোকে তোকে সাদি করবার জন্ত পাগল হত ।” গঙ্গামণি শিঙ্গরিয়া বলিল—“না—না --ছি--ছি । ও কথা বলিসনে ৷” বৃদ্ধ কিছুক্ষণ চুপ করিয়া রচিল । গঙ্গামণি বলিল— “মাঈ-এ বকুলগঞ্জ থেকে আমাদের দরিয়াপুর কতদূর ?” “অনেকদূর। সাত আট কোশ হবে।” . “বকুলগঞ্জের বাবু আমায় কত দিন আর আটকে রাখবে ? অামায় ছেড়ে দিক মা এখন ।” বৃদ্ধ বলিল—“যদি ছেড়ে দেয় ত তুই কোথা যাবি ?” “কেন, আমার শ্বশুরবাড়ী রয়েছে—বাপের বাড়ী রয়েছে—এক জায়গায় যাব ।” "তারা কি আর তোকে ঘরে নেবে ?” এই কথা শুনিয়া গঙ্গামণি নিস্তব্ধ হইয়া বসিয়া রহিল । পলাইবার কোনও ভরসা না থাকিলেও, সে মাঝে মাঝে মনে করিত, যদি কোন দিন কোনও স্বযোগে পলাইতে পারি, তবে কোথায় যাইব--আমার আশ্রয় কোথায় । কে বিশ্বাস কৱিবে ষে আমি নিষ্কলঙ্ক ? আজ বৃদ্ধার মুখেও
পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৯২
অবয়ব