পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা | MAeSeAeSAASAASAASAASAAAS এই কথা শুনিয়া গঙ্গামণির হৃদয়ে দারুণ নৈরাশু উপস্থিত झहेडा । * কিয়ৎক্ষণ পরে বৃদ্ধা বলিল—“রাত হল। আয়, ময়দা মেখে নে—আমি উনান জেলে দিই।” গঙ্গামণি বলিল—“না মাঈ—থাকৃ। আজ আর উনান জালতে হবে না ।” “খাবিনে ?” “না, আজ আর কিছু খাব না। ক্ষিধে নেই।” “কিছু থাবিনে ?” “দুটো পেয়ার অাছে তাই খাব এখন ।” বৃদ্ধ বেশী পীড়াপীড়ি করিল না । তাঙ্গার কতকটা মেহনৎ বাচিয়া গেল—তাঙ্গতে সে খুসৗষ্ট হইল। কুটীরে সেই অনাস্বাদিত বোতলটির কাছে বুড়ীর মনটি পড়িয়াছিল । তাই সে বিদায় চাঙ্গিল । গঙ্গামণি বলিল—“একটু বোস্ না—যাধি এখন এত তাড়াতাড়ি কি ? তোর হু কোটা কোথা গেল, তামাক থাবিনে ?” বৃদ্ধ বলিল—“আচ্ছ—এক ছিলিম তামাক খেয়ে নিষ্ট । তুষ্ট তোর শ্বশুর বাড়ীর গল্প বল ।” বৃদ্ধ তামাক সাজিতে বসিল । গঙ্গামণি বলিল— “আমার শ্বশুর বাড়ীর কি গল্প শুনবি ?” “সেখানে কে কে আছে ?” “আমার ভাস্থর আছে, যা আছে, দুটি ভাস্করপো আছে ।” “ভাস্করপো দুটি কত বড় ?” “একটির বয়স দশ–একটি চার বছরের । আমি বিধবা হয়ে গেলাম-আমার ত ছেলেপিলে হল ন—তাষ্ট ছোট ছেলেটিকে মানুষ করতে লাগলাম। সে আমার কাছে থাকত, আমার কাছে গুতো, আমায় মা বলত।”— বলিতে বলিতে গঙ্গামণির চক্ষু দুষ্টটি অশ্রুতে পূর্ণ হইয় উঠিল । বৃদ্ধ বলিল—“এরা তোকে কি করে ধরে আনলে ?” “আমার বুদ্ধির দোষে। ছোট ছেলেটি আমার নেওটো—আমায় মা বলত বলে—আমার যা আমার ফুচক্ষে দেখতে পারত না । আমার ভাস্কর—সেও যখন নবীন সন্ন্যাসী AASAASAASSAAAAAAS AAAAAMAAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS AAASASAAAAASAAAAS AAASASAAA శ్రీa ఢీ eeSASAeAAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASSAAAAAAS SSAAAASA SAAAAS AAAAA AAASA SSASAS SS SAAAAAS AAASAS তখন আমায় গালিমন্দ দিত। আমার কোনও কাজে একতিল দোষ পেলে আমার ভাস্কর আমার যা—দুজনেই রেগে চেচিয়ে বাড়া মাথায় করত । অনেক দিন ধরে এই রকম জ্বালা যন্ত্রণা সহ করে করে ক্রমে আমার মন খারাপ হয়ে গেল। আমি তখন তাদের বল্লাম—আমি বাপের বাড়ী যাব—এখানে থাকব না । তা শুনে তার আমার উপর আরও রেগে উঠল, আমাকে বেশী করে জালাযন্ত্রণ দিতে লাগল । শেষে যখন আমার অসহ হয়ে উঠল, তখন ভাবলেম এখান থেকে পালিয়ে বাপের বাড়ী চলে যাই । কে আমায় পৌছে দেবে ? সঙ্গী কোথা পাব ? গ্রামে একজন বুড়ী ছিল - সদ্‌গোপের মেয়ে— তারই সঙ্গে গোপনে পরামর্শ করতে লাগলাম। একদিন সন্ধ্যাবেল তাকে সঙ্গে নিয়ে বেরুলাম । সে বিশ্বাস ঘাতকতা করে, আমায় এখানে এনে ফেল্লে । যে যন্ত্রণার হাত এড়াবার জন্ত পালিয়েছিলাম, তার দশগুণ যন্ত্রণা এখানে এসে আরম্ভ হল । ভগবান এ পর্য্যন্ত আমার ধৰ্ম্মরক্ষা করেছেন —এখন কোন রকমে এখান থেকে উদ্ধার হতে পারলে বাচি ।” গঙ্গামণি যে সময় কথা শেষ করিল, তখন তাঙ্গর দুষ্ট চক্ষু দিয়া দরদর ধারায় অশ্রু বঠিতেছে। বুদ্ধা বলিল— “বেটী—কাদিস না–কাদিস না। কালী মাঈ তোর ভাল করবেন।” তাঙ্গর পর নিস্তদ্ধ কষ্টয়া বুদ্ধ ধূমপান শেষ করিল । তথন উঠিয়া বাহির কক্টয়া গেল । বাহিরের দ্বারে তালাটি উত্তম রূপে বন্ধ করিয়া দুই তিন বার সেটিকে টানিয়া দেখিল । কুটীরে গিয়া চাবিটি জামাতার হস্তে দিয়া রন্ধন কার্য্যে মনোনিবেশ করিল। বুদ্ধ চলিয়া গেলে অনেকক্ষণ অবধি গঙ্গামণি গালে হাত দিয়া বসিয়া রহিল । বৃদ্ধার শেষ কথাগুলি—“কালী মাঈ তোর ভাল করবেন”—তাছার মনে বারম্বার ঘুরিতে ফিরিতে লাগিল। জানালা খুলিয়া দেখিল, বান্তিরে বিষম অন্ধকার। জঙ্গলের মধ্যে অবিশ্রাম ঝিল্লিধ্বনি হইতেছে। ঝোপে ঝোপে অসংখ্য জোনাকি পোকা জলিতেছে । জানালার কাছে—ভারাক্রাস্ত হৃদয়ে গঙ্গামণি অনেকক্ষপ দাড়াইয়া রহিল। দাড়াইয়া দাড়াষ্টয়া, সেষ্ট অগাধ অন্ধকারের মধ্যে নিজ সজল নেত্রযুগল ডুবাইয়া দিয়া,