পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] 會阿爾特 ۹ هاپن - عام AMAMMAeMeMMAMMAMSAASAASAA AAAS AAAAA AAAAMAMAAAS তাই বলছিলুম আজ আমাদের উৎসবের প্রাতে বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডের দিকে আশ্রমের দ্বার উদঘাটিত হয়ে গেছে; আজি, নিখিল মানবের সঙ্গে আমাদের যে যোগ, সেই যৌগটি ঘোষণা করবার রসনৃচৌকি এই প্রাস্তরের আকাশ পূর্ণ করে বাজ চে, কেবলি বাজ চে, ভোর থেকে বাজচে । আজ আমাদের এই আশ্রমের ক্ষেত্র সকলেরই আনন্দক্ষেত্র। কেন ? কেন না, আমাদের প্রত্যেকের জীবনের সাধনায় সমস্ত মানুষের সাধনা চলচে । এখানকার তপস্তায় সমস্ত পৃথিবীর লোকের ভাগ আছে। আশ্রমের সেই বড় কথাটিকে আজ আমাদের হৃদয়মনের মধ্যে আমাদের জীবনের সমস্ত সঙ্কল্পের মধ্যে পরিপূর্ণ করে নেব । সকলের সঙ্গে আমাদের এই যোগের সঙ্গীতটি আজ কে বাঞ্জাবেন ? সেই মহাযোগী, জগতের অসংখ্য বীণাতন্ত্রী যার কোলের উপরে অনন্তকাল ধরে স্পন্দিত হচ্চে। তিনিই একের সঙ্গে অন্তের, অন্তরের সঙ্গে বাহিরের, জীবনের সঙ্গে মৃত্যুর, আলোর সঙ্গে অন্ধকারের, যুগের সঙ্গে যুগান্তরের, বিচ্ছেদ ঘটিয়ে ঘটিয়ে মিলন ঘটিয়ে তুলচেন ; তারই হাতের সেই বিচ্ছেদ-মিলনের ঝঙ্কারে বৈচিত্র্যের শত শত তান কেবলি উৎসারিত হয়ে আকাশ পরিপূর্ণ করে ছড়িয়ে ছড়িয়ে পড়চে ; একই ধুয়ো থেকে তানের পর তান ছুটে বেরিয়ে যাচ্চে, এবং একই ধুয়োতে তানের পর তান এসে পরিসমাপ্ত হচ্চে । বীণার তারগুলো যখন বাজেন তখন তারা পাশাপাশি পড়ে থাকে, তবুও তাদের মিলন হয় না, তখনো তারা কেউ কাউকে আপন বলে জানে না। যেই বেজে ওঠে অমূনি স্বরে স্বরে তানে তানে তাদের মিলিয়ে মিলিয়ে দেয়—তাদের সমস্ত ফাকগুলো রাগরাগিণীর মাধুর্য্যে ভরে ভরে ওঠে। তখন তার স্বতন্তু তবু এক, কেউবা লোহার কেউবা পিতলের তবু এক, কেউবা সরু স্বরের কেউবা মোট স্বরের তবু এক—তখন তার কেউ কাউকে আর ছাড়তে পারে ন। তাদের প্রত্যেকের ভিতরের সত্য বাণীটি যেই প্রকাশ হয়ে পড়ে অমনি সত্যের সঙ্গে সত্যের, প্রকাশের সঙ্গে প্রকাশের অন্তরতর মিলটি সৌন্দর্ঘ্যের উচ্ছ, সে ধৰা পড়ে যায়, দেখা যায় আপনার মধ্যে সুর যতই স্বতন্ত্র হোক, গানের মধ্যে তারা এক । আমাদের জীবনের বীণাতে সংসারের বীণাতে প্রতিদিন তার বাধা চলুচে, হার বাধা এগচে । সেই বঁাধবীর মুখে কত কঠিন অবত, কত তীব্র বেস্তুর । তখন চেষ্টত মূৰ্ত্ত কষ্টের মূৰ্ত্তিটাই বারবার করে দেখা যায়। সেই বেস্থরকে সমগ্রের স্বরে মিলিয়ে তুলতে এত টান পড়ে যে এক এক সময় মনে হয় যেন তার আর সইতে পারল না, গেল বুঝি ছিড়ে ! এমনি করে চেয়ে দেখতে দেখতে শেষকালে মনে হয় তবে বুঝি সার্থকতা কোথাও নেই—কেবলি বুঝি এই টানাটানি বাধাবাধি, দিনের পর দিন কেবলি থেটে মর, কেবলি ওঠা পড়া, কেবলি অহং যন্ত্রটার অচল থোটার মধ্যে বাধা থেকে মোচড় খাওয়া—কোনো অর্থ নেই, কোনো পরিণাম নেই—কেবলি দিনযাপন মাত্র ! কিন্তু যিনি আমাদের বাঞ্জিয়ে তিনি কেবলি কি কঠিন হাতে নিয়মের খোটায় চড়িয়ে পাক দিয়ে দিয়ে আমাদের স্থরই বাধ চেন ? তা ত নয়! সঙ্গে সঙ্গে মুহূর্তে মুহূর্তে ঝঙ্কারও দিচ্চেন। কেবলি নিয়ম ? তা ত নয়! তার সঙ্গে সঙ্গেই আনন্দ ! প্রতিদিন খেতে হচ্চে বটে পেটের দায়ের অত্যন্ত কঠোর নিয়মে, কিন্তু তার সঙ্গে সঙ্গেষ্ট মধুর স্বাদটুকুর রাগিণী রসনায় রসিত হয়ে উঠচে । আত্মরক্ষার বিষম চেষ্টায় প্রত্যেক মুহুর্তেই বিশ্বজগতের শতসহস্র নিয়মকে প্রাণপণে মানতে.হচ্চে বটে কিন্তু সেই মেনে চলবার চেষ্টাতেই আমাদের শক্তির মধ্যে জানন্দের ঢেউ খেলিয়ে উঠচে। দায়ও যেমন কঠোর, খুসিও তেমনি প্রবল । সেই আমাদের ওস্তাদের হাতে বাজবার স্থবিধেই হচ্চে ঐ ! তিনি সব সুরের রাগিণীই জানেন । যে ক’টি তার বাধা হচ্চে, তাতে যে ক’টি স্বর বাজে কেবলমাত্র সেই ক’টি নিয়েই তিনি রাগিণী ফলিয়ে তুলতে পারেন। পাপী হোক মূঢ় হোক স্বার্থপর হোক বিষয়ী হোক, যে হোকৃ ন}, বিশ্বের আনন্দের একটা স্বরও বাজে না এমন চিত্ত কোথায় ? তা হলেই হল ; সেই সুযোগটুকু পেলেই তিনি আর ছাড়েন না । আমাদের অসাড়তমেরও হৃদয়ে প্রবল ঝঞ্চনার মাঝখানে হঠাৎ এমন একটা কিছু স্বর বেজে ওঠে যার যোগে ক্ষণকালের জন্তে নিজের চারদিককে ছাড়িয়ে গিয়ে চিরস্তনের সঙ্গে মিলে যাই। এমন একটা কোনো