পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্য। ] অস্বীকার করতে চায় । অস্তরে বাহিরে এই সমস্ত দুঃসহ বাধাবিরোধ ছিন্নবিচ্ছিন্নতা নিয়ে মানুষকে চলতে হচ্চে ;–অন্তরে বাহিরে এই ঘোরতর অসামঞ্জস্তের দ্বারা আক্রাস্ত হওয়াতেই মানুষ আপনার অন্তরতম ঐক্যশক্তিকে প্রাণপণে প্রার্থনা করচে ;—যাতে তার এই সমস্ত বিক্ষিপ্ততাকে মিলিয়ে এক করে দেবে সচঞ্জ করে দেবে তার প্রতি সে আপনার বিশ্বাসকে ও লক্ষ্যকে কেবলি স্থির রাখবার চেষ্টা করচে। মানুষ আপনার অন্তর বাহিরের এই প্রভূত বিক্ষিপ্ততার মধ্যে বৃহৎ ঐক্যসাধনের চেষ্ট প্রতিদিনই করচে,—সেই চেষ্টাই তার জ্ঞান-বিজ্ঞান সমাজ সাহিত্য, রাষ্ট্রনীতি, সেই চেষ্টান্ট তার ধৰ্ম্মকৰ্ম্ম পূজাঅর্চনা—সেই চেষ্টাই কেবল মানুষকে তার নিজের স্বভাব নিজের সত্য জানিয়ে দিচ্চে—সেই চেষ্টা থানিকটা সফল হচ্চে খানিকটা নিষ্ফল হচ্চে, বার বার ভাংচে বারবার গড়চে,--কিন্তু বারম্বার এই সমস্ত ভাঙাগড়ার মধ্যে মানুষ আপনার এই স্বাভাবিক ঐক্যচেষ্টার দ্বারাতেই আপনার ভিতরকার সেই এককে ক্রমশ সুস্পষ্ট করে দেখ চে— এবং সেই সঙ্গে বিশ্বব্যাপারেও সেই মহৎ এক তার কাছে স্পষ্টতর হয়ে উঠচে,--সেট এক যতই স্পষ্ট হচ্চে ততই মানুষ স্বভাবতই জ্ঞানে, প্রেমে ও কৰ্ম্মে ক্ষুদ্র বিচ্ছিন্নতা পরিহার করে ভূমাকে আশ্রয় করচে। তাই বলছিলুম, ঘুরে ফিরে মানুষ যা কিছু করচে— কখনো বা ভুল করে কখনো বা ভুল ভেঙে—সমস্তর মূলে আছে এই আত্মবোধের সাধনা। সে যাকেই চাক্ ন সত্য করে চাচ্চে এই আপনাকে, জেনে চাচ্চে, না জেনে চাচে । বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডের সমস্তকে বিরাট ভালে একটি জায়গায় মিলিয়ে জড়িয়ে নিয়ে মাতুষ আত্মার একটি অখণ্ড উপলব্ধিকে পেতে চাচ্চে । করে বুঝতে পারচে কোনোখানেই বিরোধ সত্য নয়, বিচ্ছিন্নতা সত্য নয়, নিরস্তর অবিরোধের মধ্যে মিলে উঠে একটি বিশ্বসঙ্গীতকে প্রকাশ করবার জন্তেষ্ট বিরোধের সার্থকতা—সেই সঙ্গীতেই পরিপূর্ণ আনন্দ । নিজের ইতিহাসে মানুষ সেই তানটাকেই কেবল সাধচে, স্বরের যতই স্খলন হোক তবু কিছুতেই নিরস্ত হচ্চে না । উপনিষদের বাণীর দ্বারা সে কেবলি বলচে “তমেবৈকং সে এক রকম আত্মবোধ ASMMAAA SAAAAAS AAAAAMAMAeeeSAASAASAASAAeeMAeAeSeeAMMAeeAeMMSAeeAeeeAe eeeeAeAMAAASAAAAS AAAA S & e (r জানথ আত্মানম্ সেই এককে জান, નોં আত্মাকে । অমৃতস্যৈষ সেতুঃ ইহাই অমৃতের সেতু । আপনার মধ্যে এষ্ট এককে পেয়ে মানুষ যথন ধীর হয়, যখন তার প্রবৃত্তি শাস্ত হয় সংযত হয় তখন তার বুঝতে বাকি থাকে না এই তার এক কাকে খুজচে । তার প্রবৃত্তি খুজে মরে নানা বিষয়কে—কেন না নানা বিষয়কে নিয়েই সে বঁাচে, নানা বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত হওয়াই তার সার্থকতা। কিন্তু যেটি হচ্চে মানুষের এক, মামুষের আপনি—সে স্বভাবতই একটি অসীম এককে, একটি অসীম আপনিকে খুজচে-আপনার ঐক্যের মধ্যে অসীম ঐক্যকে অনুভব করলে তবেষ্ট তার সুখের পূঙ্গ শাস্তি লাভ করে। তাই উপনিষদ বলেন- “একং রূপং বহুধা যঃ করোতি” যিনি একরূপকে বিশ্বজগতে বহুধা করে প্রকাশ কৱচেন “তম্ আত্মস্থং যে অস্পগুস্তি ধীরাঃ" তাকে যে ধীরের আত্মস্থ করে দেখেন, "অর্থাৎ যারা তাকে আপনার একের মধ্যে এক করে দেখেন, “তেষাং সুখং শাশ্বতং নেজরেষাং” তাদেরক্ট মুখ নিত্য, আর কারো না । আত্মার সঙ্গে এই পরমাত্মাকে দেখা, এ অত্যন্ত একটি সহজ দৃষ্টি, এ একেবারেই যুক্তি তর্কের দৃষ্টি নয়। এ হচ্চে “দিবাব চক্ষুরাততং” –চক্ষু যেমন একেবারে সঙ্গজেক্ট আকাশে বিস্তীর্ণ পদার্থকে দেখতে পায় এ সেই রকম দেখা । আমাদের চক্ষুর স্বভাবই হচ্চে সে কোনে। জিনিষকে ভেঙে ভেঙে দেখে না, একেবারে সমগ্র করে . দেখে। সে-স্পেকূটস্কোপ যন্ত্র দিয়ে দেখার মত করে দেখে না—সে আপনার মধ্যে সমস্তকে বেঁধে নিয়ে আপন করে দেখতে জানে। আমাদের আত্মবোধের দৃষ্টি যখন খুলে যায় তখন সেও তেমনি অত্যন্ত সহজেই আপনাকে এক করে এবং পরম একের সঙ্গে আনন্দে সম্মিলিত করে দেখতে পায়। সেই রকম করে সমগ্র করে দেখাই তার সহজ ধৰ্ম্ম । তিনি যে পরম আত্মা, আমাদের পরম আপনি । সেই পরম আপনিকে যদি আপন করেই না জানা যায়, তা হলে আর যেমন করেই জানা যাক তাকে জানাষ্ট হল না । জ্ঞানে জানাকে আপন করে জানা বলে না, ঠিক উণ্টে—জ্ঞান সহজেই তফাৎ করে জানে—আপন করে জানবার শক্তি তার হাতে নেই।