পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(? ) о দাও—আমি বলচি, আবিরাবীন্ম এধি—ছে প্রকাশ, আমার মধ্যে তুমি প্রকাশিত হও । আমি তোমার ধৰ্ম্মপত্নী, ভোগের দাসী নহি । আমার কাছে লীজ কি স্বামী নিষ্কপটে কহি । আমায় প্রভু দেখাইয়োনা স্বখের প্রলোভন, তোমার সাথে দুঃখ বহি সেষ্ট ত পরম ধন । ভোগের দাসী তোমার নfহ তাই ত ভূলাও নাকো, মিথ্যা সুখে মিথ্যা মানে দূরে ফেলাও নাকে । পতিব্ৰতা সতী আমি তাই ত তোমার ঘরে হে ভিখারী, সব দারিদ্র্য আমার সেবা করে ! মুখের ভৃত্য নই তব, তাই পাইন মুখের দান,— আমি তোমার প্রেমের পত্নী এই ত আমার মান ॥ মানুষ যখন প্রকাশের সম্পূর্ণতাকে চাবার জন্তে সচেতন হয়ে জাগ্রত হয়ে ওঠে তখন সে মুখকে স্বথষ্ট বলে না—তখন সে বলে “যে বৈ ভূম তৎ মুখং যা ভূম তাই মুখ। আপনার মধ্যে যখন সে ভূমাকে চায়—তখন আর আরামকে চাইলে চলবে না, স্বার্থকে চাইলে চলবে না, তখন আর কোণে লুকোবার জো নেই, তখন কেবল আপনার হৃদরোচ্ছ,াস নিয়ে আপনার আঙিনায় কেঁদে লুটিয়ে বেড়াবার দিন আর থাকে না—তখন নিজের চোখের জল মুছে ফেলে বিশ্বের দুঃখের ভার কাধে তুলে নেবার জন্তে প্রত্বত হতে চবে, তখন কৰ্ম্মের আর অস্তু নেই, তাগের আর সীমা নেই-তখন ভক্ত বিশ্ববোধের মধ্যে, বিশ্বপ্রেমের মধ্যে, বিশ্বসেবার মধ্যে আপনাকে ভুমার প্রকাশে প্রকাশিত করতে থাকে। প্রবাসী— ফাঙ্কন, ১৩১৭ SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAA । ००म छान, २ख्न थ७ ایحه محاسبه ه ۰"همه ۰۰۰.۰۰۰۰«...هه «ممه، همه محیه همه مه... یه ۰۰۰... ভক্তের জীবনের মধ্যে যখন সেই প্রকাশকে আমরা দেখি তখন কি দেখি ? দেখি, সে তর্কবিতর্ক নয়, সে তত্ত্বজ্ঞানের টীকাভাষ্য বাদ প্রতিবাদ নয়—সে বিজ্ঞান নয়, দর্শন নয়—সে একটি একের সম্পূর্ণতা, অখণ্ডতার পরিব্যক্তি। যেমন জগৎকে প্রত্যক্ষ অনুভব করবার জষ্ঠে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষণশালায় যাবার দরকার হয় না— সেও তেমনি ; ভক্তের সমস্ত জীবনটিকে এক করে মিলিয়ে নিয়ে অসীম সেখানে একেবারে সহজরূপে দেখা দেন । তখন ভক্তের জীবনের সমস্ত বৈচিত্র্যের মধ্যে আর বিরুদ্ধতা দেখতে পাইনে—তার আগাগোড়াই সেই একের মধ্যে সুন্দর হয়ে মহৎ হয়ে শক্তিশালী হয়ে মেলে। জ্ঞান মেলে, ভক্তি মেলে, কৰ্ম্ম মেলে ; বাঙ্গির মেলে, অন্তর মেলে ; কেবল যে স্বথ মেলে তা নয়, দুঃথও মেলে ; কেবল যে জীবন মেলে তা নয়, মৃত্যুও মেলে ; কেবল যে বন্ধু মেলে তা নয়, শক্রও মেলে ; সমস্তই আনন্দে মিলে যায় ; রাগিণীতে মিলে ওঠে ; তখন জীবনের সমস্ত সুখ দুঃখ বিপদ সম্পদের পরিপূর্ণ সার্থকতা মুডোল হয়ে নিটােল অবিচ্ছিন্ন হয়ে প্রকাশমান হয়। সেই প্রকাশেরই অনিৰ্ব্বচনীয় রূপ হচ্চে প্রেমের রূপ । সেই প্রেমের রূপে স্বথ এবং দুঃখ দুই-ই সুন্দর, ত্যাগ এবং ভোগ দুই-ই পবিত্র, ক্ষতি এবং লাভ দুই-ই সার্থক ;—এই প্রেমে সমস্ত বিরোধের আঘাত, বীণার তারে অঙ্গুলির আঘাতের মত, মধুর স্বরে বাজ তে থাকে ;–এই প্রেমের মৃদুতাও যেমন মুকুমার, বীরত্বও তেমনি মুকঠিন ; এই প্রেম, দূরকে এবং নিকটকে, আত্মীয়কে এবং পরকে, জীবন-সমুদ্রের এপারকে এবং ওপারকে প্রবল মাধুর্ঘ্যে এক করে দিয়ে, দিগদিগন্তরের ব্যবধানকে আপন বিপুল সুন্দর হাস্তের ছটার পরাহত করে দিয়ে উষার মত উদিত হয় ; অসীম তখন মামুষের নিতান্ত আপনার সামগ্রী হয়ে দেখা দেন পিতা হয়ে, বন্ধু করে, স্বামী হয়ে, তার মুখদুঃখের ভাগী হয়ে, তার মনের মানুষ হয়ে —তখন অসীমে সসীমে যে প্রভেদ, সেই প্রভেদ কেবলি অমৃতে ভরে ভরে উঠতে থাকে, সেই ফাকটুকুর ভিতর দিয়ে মিলনের পারিজাত আপনার পাপড়ি একটির পর একটি ক’রে বিকশিত করতে থাকে— তখন জগতের সকল প্রকাশ, সকল আকাশের সকল