পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫১২ --"--AASAASAASA SAAAAS AAAAAASA SAASAASAASAASAASAAASAAA SASAAASAAA SS S SAAAASAASAASAASAASAASAA উদ্ধে ভূমার মধ্যে আত্মাকে উপলব্ধি করে” বিশ্বমানবের বিরাটু সাধনমন্দিরে আজ এখনি তোমাকে নত হয়ে নমস্কার করি—নমস্তেহস্ত-তোমাতে আমাদের নমস্কার সত্য তোক্, নমস্কার সত্য কোক ! ঐরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কলা-বিদ্যা স্বন্দর কল্প-পাদপের শাখায় বসিয়া দুটা পার্থী মধুর স্বরে একই গান দিবানিশি গাঠিতেছে—আনস্তের যাত্রী মোরা এ জগত পান্থনিবাসে ! ইহঁারা কে ? ইহঁাদের একজন কবি এবং আর একজন কলা-বিৎ । সংসারী ও বিষয়াসক্ত মানুষ সচরাচর যে কথা ভাবে না, ভাবিতে চাচে না, সেই কথা ইহঁার দুজনে ভাবিয়া থাকেন। সেই কথা সেই ভাব ইহঁাদের হাতে মূৰ্ত্তি পরিগ্রষ্ঠ করিয়া কৰ্ম্মক্লান্ত মানুষের চোখের সামনে ফুটিয় উঠে। মানুষ তখন বলে—কি সুন্দর ! আহা । কি সুন্দর । সে চিত্র ভাল কি মন্দ বিচার করিয়া দেখিবার আর তাতাদের অবসর থাকে না । সমালোচনার মাপকাটা লোকের আবেশ-বিহবল হস্ত হইতে বিচু্যত হুষ্টয়া পড়িয়া যায় । সকল চিস্তার অতীত একটা মঙ্কণভাবময় সঙ্গীতের একটা পদ, একটা তান, হৃদয়-তন্ত্রীতে ঝঙ্কার তুলিয়া নিমিষে চলিয়া যায় । মানুষের মনোবীণা তারস্বরে বাজিয় উঠে-- অনন্তের যাত্রী মোরা এ জগত পান্থনিবাসে । মানুষ তথন স্তন্ধ হইয়া যায় । বাকাযুক্তি হয় না ; একট প্রবল অনুভূতিতে প্রাণ মন বিহ্বল হইয় উঠে । যথার্থ চিত্র, কাব্য বা মূৰ্ত্তি-কলার (Sculptors) মূল্য নিরূপণ এই ভাবেই জগতে চিরকাল হইয়া আসিয়াছে। কাব্য এবং মুকুমার কল উদেপ্তসাধনে এক হইলেও প্রকৃতিতে বিভিন্ন। কাব্য প্রচ্ছন্ন, ভাষার দূর্গে আবদ্ধ; ইহাকে সাৰ্ব্বজনীন ও সৰ্ব্বলোক-উপভোগা করিতে হইলে ব্যাখ্যা কিম্বা ভাষান্তরিত করিবার প্রয়োজন হয় । সকল মানব জাতির ভাষা এক নয় । আবার সকল মানুষ কাব্যরস পানে সমান অধিকারীও নয়। কিন্তু স্বকুমার-কলা স্বপ্রকাশ, আপন দীপ্তিতে আপনি সমুজ্জ্বল। কাব্যের টীকা কাব্যের গভীরতা-জাপক ; চিত্র বা মূৰ্ত্তিকলার সুদীর্ঘ প্রবাসী—ফাঙ্কন, ১৩১৭ AASAASAASAASAASAAASeAASAASSAAAAAAS AAAAAMAMAAASAASAASAASAASAAASهم می-ه»ه عهه - [ ००ब छांग, २ब्रथe ব্যাখ্যা ইহাদের অপুর্ণতা ও চিত্রবিৎ কিৰ মূৰ্ত্তিকলাবিদের অক্ষমতার পরিচায়ক। ঐতিহাসিক, সামাজিক কিৰ সাহিত্য সম্বন্ধীয় চিত্রের বিষয় উল্লেখই নিতান্ত অজ্ঞ দর্শকের পক্ষে যথেষ্ট । কল্পিত ভাবময় চিত্রের নামোল্লেখ মাত্রেই দর্শক তন্ময় হইয়া যাইবে । টাকা কিম্বা সুদীর্ঘ ব্যাখ্যা সাহায্যে চিত্র বা মূৰ্ত্তিকলা দশককে বুঝাইতে যাওয়া বিফল প্রয়াস। কলাবিদের কৃতিত্ব, ভাবকে সজীব মূৰ্ত্তিতে মানবচক্ষে প্রত্যক্ষ করিয়া তোলাভে, ভাবকে প্রচ্ছন্ন বা কুঙ্কটিকাময় করিয়া রাখাতে নহে । ভাবকে সজীব মূৰ্ত্তি দান করা একটা কথার কথা নয় । অতীব কঠিন ব্যাপার। সুকুমার-কলা (Art) বলিতে আমরা কি বুঝি। যে ভাব বর্ণ, গঠন এবং রেখা-জ্ঞানের সাহায্যে মূৰ্ত্তি পরিগ্রহ করে তাহাঙ্গ স্নকুমার কলা । বর্ণজ্ঞান, গঠনজ্ঞান এবং রেখাঙ্গানের ফলে চিত্রকলার জন্ম। এবং গঠন ও রেখা-জ্ঞানের ফলে মূৰ্ত্তিকলার আবির্ভাব । এই দুই-ই, গভীর প্রেম, প্রবল অমুভূতি (feeling) ও শিল্পকুশলতায় গভীর পারদর্শিতার ফল স্বরূপ । একদিকে যেমন কলাবিদকে গভীর প্রেমিক ভাবুক কবি হইতে হইবে তেমনি অন্যদিকে র্তাহার সেই ভাবকে পরিস্ফুট করিয়া তুলিবার মত বাহিক শিল্পনৈপুণ্যেও (Technique) প্রবল অধিকার লাভ করিতে হইবে । এই দুই দিকেই চরমোৎকর্ষতা লাভ করিলে তবে তাহার পক্ষে যথার্থ চিত্র বা মূৰ্ত্তি-কলা সম্পাদন সম্ভবপর হইবে। এ দুইএর কোনও একটীতে অধিকতর উৎকর্ষতা লাভ করিলে কলা অঙ্গঙ্গীন থাকিয়া যাইবে । আগেষ্ট বলিয়াছি মুকুমার-কলা ভাবের সঙ্গীব মূৰ্ত্তি । কোন একটা সজীব মূৰ্ত্তির কল্পনা মাত্রেই একটা প্রাণবিশিষ্ট দেহী আমাদের চোখের সন্মুখে আসিয়া পড়ে। মুকুমার-কলাও প্রাণময় দেহী । অসুস্থ বা বিকলাঙ্গে যেমন প্রবল প্রাণ সঞ্চার করা সম্ভবে না, তেমনি শিল্পাংশে হীন চিত্র বা মূৰ্ত্তি-কলাতেও গভীর ভাব শুধু কল্পনারই বিষয়ীভূত হইয় থাকে। প্রত্যক্ষ এবং পরিস্ফুট পদার্থ বিষয়ে মতবিরোধ অধিকক্ষণ স্বামী হয় না ; কিন্তু প্রচ্ছন্ন, কুঙ্কটিকাময় যবনিকার অন্তরালবৰ্ত্তী জিনিষ সম্বন্ধে মতবিরোধ যে এ জন্মে আর ঘুচে না। বাহ সপ্রকাশ তাছা চিরদিনই মানবচক্ষে প্রত্যক্ষের বিষয়ীভূত