পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] AASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS অঙ্কুরিত করাকে হাপোর দেওয়া বলা হয়। কিন্তু অম্মদেশে সমুদ্রের মৃত্তিকার অভাবে আমরা মৃত্তিকাতে লবণ ও গড়ের গুড়া মিশ্রিত করিয়! তাহার উপর নারিকেল রাখিয়া উদ্দেশু সাধন করিয়াছি । ফ্লুে এপ্রিল মাসের প্রারস্তেই সিংহলবাসীরা উক্ত চারাগুলিকে রোপণ করিয়া থাকেন। যেস্থানে বুক্ষ রোপণ করিতে হইবে সেই স্থানে ২০ ফুট অন্তর একটা করিয়া ৩ ফুট গভীর গর্ত খনন করেন । উক্ত গর্তে লবণই হউক বা সমুদ্রের মৃত্তিকাষ্ট হউক স্থাপন করিয়া বৃক্ষ রোপণ করেন । এই সময়ে বর্ষার সমাগমে যথেষ্ট বারিবর্ষণ হওয়াতে বৃক্ষের মুলে আর পৃথকভাবে জলসিঞ্চন করিতে হয় না । অঙ্কুরোদগমের সময়ে যেমন রৌদ্র নিবারণের উদ্দেশুে উপরে ছাউনি করা হয়, এই চারাগাছগুলির উপরেও সেইরূপ ছাউনি দেওয়া হয় । দেখিতে দেখিতে বৃক্ষসকল পাচ সাত বৎসরের মধ্যেই ফল প্রদান করিতে আরম্ভ করে । আমরা দেখিয়াছি যে এইরূপে তত্ত্বাবধান করিতে পারিলে প্রতোক বৃক্ষে প্রায় ৬০ট নারিকেল উৎপন্ন হইয়া থাকে । গ্রীষ্মকাল অতিবাহিত হইলে পুনরায় বর্ষ আসিবার পূৰ্ব্বেষ্ট বৃক্ষগুলির গোড় খনন করিয়া দেওয়া হয় ; সমগ্র বর্ষাকাল ধরিয়া এই সকল বৃক্ষের মুলে জল সঞ্চিত হইয়া থাকে। অবশেষে বর্ষার অবসানে উক্ত বৃক্ষের চতুপাশ্বের মৃত্তিক লইয়া একত্র করিয়া বৃক্ষের গোড়াকে উন্নত করিয়া দেওয়া হয় । এই সময়ে বৃক্ষের শিকড়ও কিঞ্চিৎ ছাটিয়া দেওয়া হয়। বর্ষার অবসানেই ইচ্চার শুষ্ক পাতা এবং শুষ্ক চুংরি কাটিয়া দিবার প্রশস্ত সময় ৷ নারিকেলও এই সময়ে পাড়াইল্পী লইতে হয়। সিংহলবাসীরা এক্টরূপে চাষ করিয়া নারিকেলের যে কিরূপ আয়তন বৃদ্ধি করিয়াছেন তাহ বর্ণনাতীত। যাহারা সিংহলের নুরিকেল দেখিয়াছেন তাহারা জানেন উছ আমাদিগের দেশের নারিকেলের অপেক্ষা আকারে কত বৃহৎ। এতদেশে একশ্রেণীর ভিখারী বা সন্ন্যাসী ফকীরদিগের ইস্তে এক প্রকার ভিক্ষণপাত্র দেখিতে পাওয়া যায় তাহ হয়ত অনেকে দেখিয়া থাকিবেন । ঐ পাত্র উক্ত সিংহল হোরী AASAASAASAASAASAASAASAA খেলা ৬৩৭ প্রদেশের নাবিকেলের খোলা। উক্ত ফলের শাস হইতে তৈল বা উহার ছাল হইতে রজ্জ্ব প্রস্তুত হয় তাহা অস্মদেশীয় প্রায় সকলেষ্ট জ্ঞাত আছেন, সুতরাং উক্ত বিষয়ে সিংহলবাসীদিগের সবিশেষ বিবরণ দেওয়া অনাবশুক । স্তার জে, ই, টেষ্টাণ্টস্ লিথিয়াছেন, সিঙ্গাপুরের কোন একব্যক্তি একবার সিংহলে যাত্রা করেন । তিনি সিংহলের নারিকেলের আয়তন দেখিয়া যৎপরোনাস্তি আশ্চর্য্যান্বিত হইয়াছিলেন । স্বীয় দেশে কয়েকট নারিকেলও আনয়ন করিয়া রোপণ করেন । কিন্তু যখন র্তাহার বৃক্ষে নারিকেল জন্মিল তখন তিনি দেখিলেন যে উক্ত নারিকেল সিংহল দেশীয় নারিকেল অপেক্ষ অনেক ক্ষুদ্র । কিন্তু নারিকেল ভাঙ্গিয় দেখেন যে তাহার মধ্যে আদেী জল নাই, মাখনের স্তায় এক প্রকার নরম দ্রব্য রহিয়াছে । এই দ্রব্য আস্বাদনে অতি সুমিষ্ট, ইহাতে তৈলের ভাগ সেই অবধি সিঙ্গাপুরে উক্ত নারিকেল প্রভূত পরিমাণে উৎপন্ন হইয়া থাকে। আমরা সিঙ্গাপুর হইতে কয়েকট চারা আনাইয়া রোপণ করিয়াছি, এখনও ফল হয় নাই। এতদূব্যতীত সিঙ্গাপুরে আরও অনেক প্রকার নারিকেল দেখিতে পাওয়া যায় । আমরা যত প্রকার নারিকেল দেখিয়াছি, কোন দেশের নারিকেলই সিংহলের সহিত সমকক্ষ হইতে পারে না । আমরা আরও দেখিয়াছি অস্মদেশীয় নারিকেল বৃক্ষে পূৰ্ব্বে যেরূপ নারিকেল জন্মিত আমরা সিংহলদেশীয় নিয়ম অবলম্বন করাতে তাহার দ্বিগুণ ফল জন্মিতেছে। সুতরাং র্যাহারা নারিকেল বৃক্ষ রোপণ করিয়া তাহা হইতে লাভবান হইতে ইচ্ছা করেন, তাছারা যদি পূৰ্ব্বলিখিত সিংহল দেশের প্রথা অবলম্বন করেন, তাহা হইলে তাহারাও ষে যথেষ্ট লাভবান হইবেন তাহাতে সন্দেহ নাই। শ্ৰীনাবায়ণচন্দ্র চক্রবর্তী। হোরী খেলা । ভাল লুকাইয়া বসি, হে লীলাচতুর, খেল আজ হোরী খেলা ! শু্যামা দিগ্বধুর সুনীল অঞ্চল খানি ফাগে লালে লাল । রক্ত কিশলয় শোভা শৃঙ্গক বিশাল অত্যন্ত অধিক ।