পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓ 8 প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩১ সকল গুলির পরিচয় লাভ ও গুণ নির্ণয় করিতে পাবে না । তাহাকে বিষয়গুলি বিভাগ করিয়া এক একটীর লক্ষণ নির্দেশ করিতে হয় । এই জন্ত চিন্তাপদ্ধতির মধ্যে পৌৰ্ব্বাপম্য ও ক্রমান্বয় থাকিয়া যায়। দ্বিতীয়তঃ, চিস্তার বিষয়ীভূত পদার্থগুলির মধ্যে এমন বিশেষত্ব ও পরস্পর বৈসাদৃশু আছে যে মানলের বিভিন্ন বয়সে ইহাদের কার্য্য হুইয়া থাকে । ভিন্ন ভিন্ন বয়সে মানব ভিন্ন ভিন্ন জাতীয় পদার্থের চিষ্টা করিতে পারে । সকল অবস্থায়ই কোন পদার্থের সকল প্রকাব ধাবণ সম্ভবপর এজন্ত ভালেব ক্রমিক পকাশ পয়োবুদ্ধি এব* ধারণাশক্তির বিকাশেৰ সক্তিত জড়িত । হয় না । তৃতীয় তঃ, পুৰাতন ভাপ ও ধারণার ভিত্তি অবলম্বন না ক}রয়া, প্রতিষ্ঠিত সুপরিচিত চিন্তার সাহায্য গ্ৰহণ না কবিয়া, মানব নুন্তন ধারণা, নূতন ভাব গ্রহণ করিতে পারে না। পরিচিত পদার্থসমূহের দ্বারা চিত্তের উপর যে যে কার্যা চক্টয়াছে এবং তাঙ্গ দ্বারা পৃথিবীর স্বরূপ সম্বন্ধে, পদার্থের গুণ ও ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে যে জ্ঞান জন্মিয়৷ তুলনা তাঙ্গাদের রহিয়াছে, সেই কাৰ্য্যসমূহ ও জ্ঞানের সচিত করিয়া. তাহাদিগকে প্যবহার করিয়া এবং সচিত সংযোগ বিধান করিয়া, অপরিচিত নতন পদার্থের জ্ঞান জন্মে ; চতাদেব দ্বারা চিত্তেব উপর যে যে কার্য ভয় তাহার প্রকৃতি নির্দিষ্ট হয়, এবং নুতন লক্ষণ ও গুণেব পরিচয় প্রাপ্ত অপরিচিত পদার্থের, দুব ভবিষ্যত বা দূর অতীতের বিষয়ে চিন্তা করিতে পারে না । অপরিচিত আয়ত্ত করিবার পদ্ধতির মধ্যে পৌৰ্ব্বাপর্য্য ও ক্রমান্বয় থাকিয় যায়। চতুর্থতঃ, মানব প্রথমেই চিন্তার বিষয়ীভূত পদার্থগুলির সৰ্ব্ববিধ গুণ উপলব্ধি করিতে পারে না। অথবা এক বয়সেই সে পদার্থের সঙ্গিত পদার্থের তুলনা বা ংযোগ বিধান করিয়া, পদার্থের সহিত নিজের সম্বন্ধ স্থাপন করিয়া ইহাদের সকল প্রকার ধৰ্ম্ম ও লক্ষণ নির্দেশ করিতে পারে না। এই গুণারোপ এবং ধৰ্ম্মপ্রকাশেও পৌৰ্ব্বাপৰ্য্য এবং ক্রমাম্বয় আছে । একাধিক পদার্থ যেমন এক সময়ে মানবের চিন্তার বিষয় হইতে পাবে না ; সৰ্ব্ববিধ বিষয়ই যেমন যে কোনও এক বয়সে মানবের আয়ত্ত হইতে পারে ক্ত ওয়া যায় । এই জঙ্গ মামল প্রথমেই এক সঙ্গেই ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড না ; এবং দূর অতীত ভবিষ্যৎ প্রভৃতি অপরিচিত পদার্থসমূহ যেমন প্রথমেই মানবের চিত্তের উপর কার্যা করিয়া তাঙ্গর নিকট পরিচিত, লক্ষণাক্রান্ত, ধৰ্ম্মসংযুক্ত ও বিশেষরূপে নির্দিষ্ট হইতে পারে না ; সেইরূপ মানব কোন পদার্থের একাধিক গুণ একেবারে এক সঙ্গেই উপলব্ধি করিতে পারে না। সৰ্ব্বলিধ গুণচ যে-কোন এক বয়সে হৃদয়ঙ্গম করিতে পারে না, এবং প্রথমেই স্থল, সূক্ষ্ম, জটিল প্রভৃতি বিচিত্র লক্ষণসমূহ ধারণা করিতে পারে না । বয়োবুদ্ধি এবং চিন্তাশক্তি বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে ভাব ও চিস্তার সংখ্যা বৃদ্ধি হয়। ক্রমশঃ ইহাবা জটিল ও গু হইয়া বৈচিত্র্য প্রাপ্ত হয় । পঞ্চমতঃ, প্রথমেই ধারণাসমূহের মধ্যে শৃঙ্খণ। ৭ সামঞ্জস্ত থাকে না। প্রথমাবস্থায় পদার্থের ভিন্ন ভিন্ন গুণগুণি পৃথক পৃথক ভাবে প্রতীয়মান হয় । ক্রমশঃ তুলনার দ্বারা ইহাদের মধ্যে যোগ সাধিত ও সম্বন্ধ প্রতিষ্ঠিত হয়। এই উপায়ে পদার্থ ও গুণেব বৈচিত্র্য ও জটিলতার মধ্যে প্রণালী ও নিয়ম আবিষ্কৃত হয়, এবং লক্ষণ ও ধৰ্ম্মসমুচ শৃঙ্খলীকত হইয়া ভাবগুলিকে স্বসম্বদ্ধ করে । নিজের মনোগত ভাব সমাজে কোন ব্যক্তির নিকট প্রকাশ করিবার জন্ত মানব কতকগুলি ঈঙ্গিত অপলম্বন যে সকল ইঙ্গিত ব্যবচাব কবিয়া সমাঞ্জস্থ অধিকাংশ পরম্পর করে | লোক তাঙ্গাদেব মনোভাব প্ৰকাশ করে এবং পরম্পরকে সাহায্য কৰে, সেই ঈঙ্গিতসমূহের দ্বারা তাঙ্গাদের ভাষা গঠিত হয়। যদি পৃথিবীতে একজন ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি না থাকি ত, যদি সমাজ বা সঙ্ঘ বলিয়৷ কোন পদার্থ গঠিত না গুইত, তাঙ্গা হক্টলে পৃথিবীর বিবিধ বস্তু তাঙ্গার চিত্তের উপর কার্য্য কবিয়া তাঙ্গাকে বিশ্ব সম্বন্ধে যেরূপ চিন্তা করাষ্ট ত তাং প্রকাশিত হইবাব কোন কারণ থাকিত না, তাঙ্গ হইলে ভাষা সৃষ্টির প্রয়োজন হইত না । কিন্তু মানব যে প্রণালীতে গঠি গু হইয়াছে তাঙ্গতে সমাজের প্রয়োজন আছে, সেঙ্গ সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের মানবীয় ও প্রাকৃতিক পদার্থসমূহের প্রকৃতি ও ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে একজন যাঙ্গ উপলব্ধি করে অপরের নিকট তাঙ্কা বাক্স করিয়া তাহার মনোভাব বুঝাইবার প্রয়োজন আছে। সুতরাং ভাব ও ধারণীর আদান প্রদানের সুবিধার ও প্রয়োজন আছে ।