পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা , বঙ্গে তখন বৃদ্ধ আলিবর্দী, মহারাষ্ট্রগণ কর্তৃক উত্যক্ত— র্তাহার অন্তে যুবক সিরাজদ্দৌলা পলাশী যুদ্ধে পরাজিত । তদনন্তর মুর্শদাবাদের মসনদে তখনই মিরজাফর, তখনই মিরকাসিম—আজ এখানে যুদ্ধ, কাল স্থানান্তরে রাষ্ট্রবিপ্লব—নিত্য অশাস্তি—প্রজাসাধারণ পরিবারবর্গ লইয়া নিয়ত শশব্যস্ত । ইহার উপর আবার ছিয়াত্তরের মন্বন্তর ! আমাদের ক্ষুদ্র বীরভূমও এই ভারতব্যাপী বিপ্লবতরঙ্গের ঘাত প্রতিঘাতে যথেষ্ট আলোড়িত হইয়াছিল । বীরভূমের বিলাসপরায়ণ পাঠান নরপতি বাদিওজমান খাঁ ( ১৭১৮—১৭৫২ ) কিছুকাল বীরত্বের সহিত স্বাধীনভাবে বাজত্ব করিয়া পরিশেষে দ্বিতীয়াস্ত্রী-জাত অাসদজমান খাকে রাজ্যভার প্রদান করিয়া ফকীরের সঙ্গে জীবনের অবশিষ্ট উনবিংশতি বর্ষকাল ধৰ্ম্মালোচনায় নিযুক্ত ছিলেন । এ দিকে তাতার প্রথমাস্ত্রী-জাত ইতিহাস-প্রখ্যাত পুৰ্ব্বোক্ত আলিলকি খা, মুর্শদাবাদের নবাবের অধীনে সেনাধ্যক্ষের কার্যা করিয়া যথেষ্ট বীরত্বযশ অর্জন করিতেছিলেন । এই সময়, মহারাষ্ট্রগণ বীরভূমে আসিয়া দেশবাসিগণকে সমধিক ত্রস্ত ও উত্যক্ত করিয়া তুলিয়াছিল । আসদ্যজমানের রাজত্বকালে ( ১৭৫২—১৭৭৭ খ্ৰী: ) বীরভূমের পাঠান রাজ উন্নতির চরম সীমা লাভ করিয়া বীরভূমে সংঘটিত যুদ্ধ বিগ্রঙ্গে অচিরকাল মধ্যেই একবারে রিক্তচস্ত ও ছত্রভঙ্গ ঠক্টয় পড়েন । স্বতরাং, এই অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যকাল ভারতইতিহাসে মহাবিপ্লবের কাল—মোগল শক্তির তিমিরগর্ভে চিরতরে বিলোপ এবং প্রচণ্ড বৃটিশস্থৰ্য্যের প্রখররশ্মিসমুদ্ভাসিত বরাভয়পূর্ণ উজ্জ্বলমূৰ্ত্তির দ্রুত বিকাশ ! এই অভাবনীয় বিপ্লব ও অশাস্তির মধ্যে বাস করিয়া যাহার জনসাধারণ হইতে বহু উদ্ধে বিমল অক্ষয় শান্তিপূর্ণ সাহিত্য-কাননের আশ্রয় লাভ করিয়া নিশ্চিন্ত মনে বঙ্গবাসীর পরিচর্য্যায় রত কষ্টয়াছিলেন, তাঙ্গাধা বঙ্গবাসী মাত্রেরই শ্রদ্ধা ও ভক্তির পাত্র সন্দেহ নাই । কবি গঙ্গানারায়ণ, নিজ পরিচয় কবি-পরিচয় । প্রসঙ্গে একস্থলে লিখিয়াছেন— নিবাস মেটের গ্রাম श्रृिंडांअश् ब्रांभब्रांभ তিন্ডুরাম ऊांङॉब्र नम्मन ! ఇ গঙ্গানারায়ণ-বিরচিত “ভৰানী-মঙ্গল” তার স্বত রাম নিজ গঙ্গানারায়ণ দ্বিজ উমা-গীত করিল রচন ॥ এই মেটেরী গ্রাম বৰ্দ্ধমান জেলার অন্তর্গত কাটোয়ার সন্নিকট স্বনামখ্যাত মেটেরী গ্রাম। এই গ্রামে গঙ্গানারায়ণের পূর্বপুরুষগণের বাস , পরিচয়স্থলে তিনি তাহারই উল্লেখ করিয়াছেন মাত্র । গঙ্গানাবায়ণের পিতা, ‘কুলীনসন্তান’ তিতুরাম মুখোপাধ্যায়, উত্তর কালে পৈত্রিক আবাস পরিত্যাগ করিয়া বীরভূম জেলার অন্তর্গত রামপুরহাট মহকুমার অধীন এবং মলুটাব দুষ্ট মাইল অস্তরে অবস্থিত হস্তিকান্দা নামক গ্রামে তত্রত রায়-বংশীয় শ্বশুর-আশ্রয়ে বাস করেন । এষ্ট হস্তিকান্দ গ্রামে, ইহাদের আবাসস্থানের ভিটা এখনও বর্তমান আছে । তিতুরামের দুষ্ট পুত্ৰ—গঙ্গানারায়ণ ও রামদুলাল । বিবাহ করিয়া গঙ্গানারায়ণ সাত আট মাইল দূরবর্তী উদয়পুর নামক গ্রামে এবং রামদুলাল আখিরা নামক গ্রামে বাসস্থাপন করেন। গঙ্গানারায়ণের বুদ্ধপ্রপৌত্র কৃষ্ণনাথ উদয়পুর পরিত্যাগ করিয়া নিকটবৰ্ত্তী দেখুড়িয়া নামক গ্রামে বাস করেন । এই গ্রামে গঙ্গানারায়ণেব বংশধরগণ এবং পূৰ্ব্বোক্ত আখিরা গ্রামে তাঙ্গার ভ্রাতার লংশধবের পাস করিতেছেন । গঙ্গানাবায়ণ দীক্ষিত হইয়াছিলেন । মেটেরীর সন্নিকটু নলঙ্গিটা জগণনন্দপুরে ঠকার ইষ্টদেবের বাস । গঙ্গানারায়ণের কুণদেবতা ধাতুময়ী অন্নপূর্ণার মূৰ্ত্তির নিত্য পূজা হইয়া থাকে। কবির স্বচস্তলিখিত গ্রন্থ এক্ট বিগ্রন্সের সহিত এক সিংহাসনে তাহাব ভক্ত বংশধরগণ কর্তৃক পূজিত হইত। কয়েক পৎসব হইল, গৃহদাহে এই পথিখা ন নষ্ট হইয়া গিয়াছে ! গঙ্গানারায়ণ সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিত ছিলেন, তাহার রচনাভঙ্গী দেখিলেই তাহ সহজেই অনুমান করা যায়। কবি, মুলুটী রাজদরবারের সভাসদ ছিলেন, একথা পূৰ্ব্বেষ্ট উক্ত হইয়াছে । তিনি, এষ্ট রাজ-আশ্রয়ে অবস্থান করিয়া বহু ‘নানকার’ বা নিষ্কর ভূমি প্রাপ্ত হইয়াছিলেন–র্তাহার বংশধরগণ এখনও পর্যন্ত ইহার উপসত্ত্ব ভোগ করিয়া নিশ্চিন্ত মনে জীবন যাপন করিতেছেন। - কবি গঙ্গানারায়ণ, “ভবানী-মঙ্গল” ব্যতীত অপর কোন গ্রন্থ রচনা করিয়াছিলেন কি না তাঙ্ক। এপর্য্যন্ত অবগত শক্তি-মন্ত্রে