পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসী--বৈশাখ, ১৩১৭ । [ ১০ম ভাগ । I ১ম সংখ্য। ] বাগলা অক্ষর । --১৮:১৪, ২৫ মার্চ ২০১৬ (ইউটিসি)SumitaBot (আলাপ) SSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSS br(? میم. م. م. م. b"8 ২১ মিনিট বলিয়া অনুমান রিয়াছিলেন। লয়েল হেবের গণনা সত্য হইলে, শীঘ্রই ভ্রম সংশোধনের আবখ্যক হইবে। ব্রহ্মচৰ্য্যাশ্রম, বোলপুর, ১২ই চৈত্র। ! শ্ৰীজগদানন্দ রায়। . বাণ গলা অক্ষর । ভাগলপুরে গত সাহিত্য-সম্মিলনের-বিচারালয়ে হাস্যরস রসিক শ্ৰীললিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বর্ণমালার অভিযোগ উপস্থিত করিয়াছিলেন। গত চৈত্রের প্রবাসীতে অভিযোগ পত্রের নকল পাইতেছি। একটা দুইটা নয়, চারি নম্বর নালিশ বুজু হইয়াছিল। এক নম্বর,–বর্ণমালা নামে নানা অর্থ ; দুই নম্বর,—কথাদি দ্বারা সংখ্যা এবং বিন্দুনির্দেশ (যেমন, আইনের (ক) ধারা, এবং ক্ষেত্রতত্ত্বে ক খ গ কোণ); তিন নম্বর,—বর্ণের সংখ্যা হ্রাস (যেমন ব ল স্থানে ব) ; এবং চারি নম্বর,–বর্ণ অক্ষর ] ৰূপান্তর করার প্রয়াস (যেমন রূ স্থানে বু)। এই চারির নম্বর অভিযোগের সহিত উপস্থিত লেখকের একটু সম্বন্ধ আছে। বর্ণমালার উকীল মহাশয় সাধারণ সমক্ষে অভিযোগ করিয়া আসামীকে উত্তর দিবার সুযোগ দিয়াছেন। এই কারণে তাহার দ্যায়পরায়ণতার প্রশংসা করিতেছি। আরও করিতেছি যে প্রবাসীর অন্তত: একজন পাঠক বা গল অক্ষর নামক প্রবন্ধ (১৩১৬ সালের কার্তিকের প্রবাসী) পাঠ করিয়াছেন। কিন্তু, অভিযোগের মর্ম হইতে বুঝিতেছি তিনি সমগ্র প্রবন্ধ পড়িবার অবসর পান নাই। হয়ত তিনি বাগ-রসের নিয়মে আমার প্রস্তাব বি-অ•গ করিয়া সাধারণের নিকট কিম্ভূতকিমাকারে উপস্থিত করিয়াছেন। যাহারা মূল প্রবন্ধ পড়েন নাই, তাহারা মনে করিতে পারেন আমি যাবতীয় যুক্তস্বর ও ব্যঞ্জন অক্ষর উঠাষ্টয়া দিতে বসিয়াছি, স্ত্রী না লিথিয়া শর ঈ লিখিতে বলিতেছি ! সত্য সভ্যতা অনেক বন্ধু এজন্য এই দীন জনের প্রতি তীক্ষ বাণ নিক্ষেপ করিয়াছেন, কেহ বা যাবতীয় সংযুক্ত অক্ষর বিযুক্ত করিয়া শূর ঈ প অ অ নু অ ইত্যাকারে পত্র লিথিয়াছেন।

পারে, এই সন্দেহ পাঠকের মনে জন্মিয়াছে। - থাকাতে এই ভুল ঘটিয়াছে। বর্ণমালার অভিযোগ কত ইহাতে কিন্তু, আমি বুঝিতেছি প্রস্তাবটা একেবারে অসার হয় নাই। চিৰপরিচিত লিখনরীতির উন্নতি হইতে পুরে, অক্ষর-বিশেষের আকার-সংস্কারে সুফল ফলিতে সম্প্রতি প্রস্তাবের ইহাই উদ্দেশ্য ছিল। কিন্তু,প্রস্তাবে যাহা নাই, যা তাহার বিরোধী, পাঠক তাহা কেমন করিয়া আনিলেন? - বহু ব্যাপারে এইরূপ ভ্রম হইয়া থাকে। প্রস্তাবের সংগে সংগে ঠিক আদর্শ না ধরিলে এই রকম ভূল হইয়া থাকে। যাহারা শিল্পী তাহারা জানেন, কখনও অসম্পূর্ণ কিংবা অপরিকর্মীকৃত দ্রব্য কেতাকে দেখাইতে নাই; এমন কি সাধারণ বন্ধুকেও দেখাইতে নাই । বহু স্থলে দেখা গিয়াছে, সামান্ত ত্রটিতে বহু শ্রমসাধ্য নানা গুণযুক্ত নূতন দ্রব্য অকেয় হইয়াছে। আমি জানিতাম না লেখাপড়ার ব্যাপারেও সে কথাটা সত্য। ছাপাখানায় আবখ্যক অক্ষর নাই বলিয়া ব্যক্ত, বন্ধু ইত্যাদি লিখিতে হইয়াছিল। যে সকল যুক্তাক্ষরের নূতন অক্ষর চাই, সে সকল পাঠকের মনে পড়াইয়া দিতে ইচ্ছা করিয়াই হসন্ত চিহ্নের বাহুল্য ঘটাইয়াছিলাম। মূল প্রবন্ধে লিখিয়াছিলাম, যুক্তাক্ষর লেখার সময় কাগজ পরিশ্রম বঁাচে, হসন্ত চিত্ন দিতে দিতে ক্লান্ত হইয়া পড়িতে হয় না।’ - কেহ কেহ মনে করিয়াছেন, আমি বা-গলা শব্দের বানান পরিবতন করিয়া ভাষায় বিপ্লব ঘটাইতে বসিয়াছি। এই অভিযোগও অযথা হইয়াছে। বর্ণ শব্দের নানা অর্থ প্রথম নম্বর নালিশ বুজু করিয়াও, ভাষার ধ্বনি এবং ধ্বনিজাপক চিহ্ন, এই দুইএর প্রভেদ রাখেন নাই। আমি | অক্ষর-বিশেষের আকার সংস্কারের প্রয়াসী, কিন্তু এক ধ্বনির সহিত আর এক ধবনির ভ্রম ঘটাইবার বিরোধী। এমন কি, বাগলায় যে দুই একটা নূতন ধ্বনি আছে, যাহার স্থোতক-সরপ অক্ষর প্রচলিত নাই; সে অক্ষরও আনিতে চাই। উকীল মহাশয় নম্বর ওয়ারী’ লিথিয়াছেন, আমি লিখিতে চাই, নম্বরনারী; তিনি লিথিয়াছেন "আজ { কাল আমি লিখিতাম, অীজ কাল কিংবা আজ কা’ল। | কেহ কেহ প’ডিত এবং পংডিত অভিন্ন মনে । - -- - করিয়া আমার অসমসাহসিকতায় ক্ষুব্ধ হইয়াছেন। লোকের ধৈর্য অল্প ; সকলে বাগল দেশ ছাড়া অল্প প্রদেশের ছাপা কিংবা লেখা নাগরী দেখেন নাই। দেখিলে বুঝিতেন, • চিহ্ন জ্ঞাদি পাচ অমুনাসিক বর্ণের যুক্ত আকারের ষ্ঠোতক-সরূপ বহুকাল হইতে প্রচলিত আছে। বাংগলা, প’ক্তি, সংথ্যা, ইত্যাদি শব্দের বানান ঠিক কি ? যদি ঠিক, তবে বাগলা প’ক্তি, সংখ্যা লেখাও ঠিক । শৃষ্ঠে ( ) হসন্ত চিহ্ন দিলে অম্বুম্বার হয়। কিন্তু, হসন্ত চিহ্ন অনাবগুক, শূন্ত চিহ্নই যথেষ্ট। . বাগলা উচ্চারণে অযুম্বার ঈ, তুল্য হইয়া গিয়াছে। এই কারণে পণ্ডিত লিখিলে পঙ্গ ডিত উচ্চারিত হইবার আশংকা হইয়াছে। যখন আশংকা আছে, তখন এই ? ষ্ঠোতক এঃ, ৭, স্থলে প্রয়োগ করা বাংগলায় চলে না। একথাও কেহ কেহ জানাইয়াছেন। আবার বলি, শব্দের বানান ও লিখন এক নহে। শব্দের ধ্বনি-বিশ্লেষণের নাম বানান অর্থাৎ বর্ণন, এবং ধ্বনির মূর্তিপ্রদর্শনের নাম লিথন। প্রথমটিতে কান, দ্বিতীয়টিতে চোখ আবশ্যক। প্রথমটি গীতকলার, দ্বিতীয়টি চিত্রফলার অন্তর্গত মনে করা চলে। স্বরের ব্যঞ্জনায় গীতকলা, রাগের সমাবেশে চিত্রফলা। ভাষা—অর্থযুক্ত ধ্বনি, বাগলা ভাষা--অর্থযুক্ত ধ্বনিবিশেষ—মুরবিশেষ। মুর নৈসর্গিক, অক্ষর কৃত্রিম । বা-গলা স্বরের স্বরলিপি নাম বাগলা অক্ষর । ক এই ধ্বনির বাগলা লিপি অংকুশযুক্ত ত্রিভুজ। এই মূল আদর্শ রাথিয়া আকারের পরিবতন করিলেও ক লিপি থাকিবে। এই কারণে হাতের লেখা ক অক্ষরের নানা আকার ঘটিলেও ক থাকে। কিস্ত, ব্রু এবং ক্র অক্ষরে মূল আদর্শ নাই। নাগরী স্ক অক্ষরে ত্রিকোণত্ব নাই। সেই নাগরী অক্ষরের নীচে বাগলা ত বসাইয়া ত অক্ষরের উৎপত্তি মনে হয়। পরে দেখা যাইবে, অনেক বাগল যুক্তাক্ষরে নাগরী অক্ষর রহিয়া গিয়াছে। আমি বলি এই রূপান্তর অনাবগুক, আদর্শ এক রাখায় শিক্ষার্থীর সুবিধা আছে। ক ও ত এর যোগে যে অক্ষর, তাছাতে ক ও ত প্রদর্শন করিলে ক্ষতি কি ? ছাপাখানায় সে অক্ষর সম্প্রতি নাই বলিয়৷ কত ছাপিতে হইয়াছে। নুতন অক্ষর নির্মিত হইলে কত লিখিতে হইবে না, ক এর নীচে ত লেখা চলিবে। - প্রস্তাবের উদ্বেপ্তের দোষ গুণ বিচার করুন, তার পর ক এর নীচে ত, কি ক এর পাশে ত বসাইলে উদ্দেশু । সিদ্ধ হইবে তাহার বিচার আদিবে। - এক প্রদ্ধের লেখক অক্ষর-সংস্কারের বিরুদ্ধে যে হেতু প্রদর্শন করিয়াছেন, তাহা এখানে উদ্ধৃত হইল। তাহার বানান অবিকল রাখা গেল। তিনি লিথিয়াছেন, “অক্ষরের রূপ কয়েক স্থলে সহজে সংস্কার্য্য হইতে পারে। কিন্তু যুক্তবর্ণের সংস্কার সর্বত্র সম্ভবে না। আপনি যুক্তবর্ণ ভাঙিয়া সংখ্যা কমাইতে চেষ্টা করিয়াছেন, কিন্তু কয়েকটি স্থলে মাত্র কৃতকাৰ্য্য হইয়াছেন। ইহাতে শিশু শিক্ষার্থীর বর্ণ শিক্ষাবিষয়ে কিছু সাহায্য হইবে, অল্প সময় ও পরিশ্রম লাগিবে। কিন্তু বয়স্কের পক্ষে কতটা উপকার হইবে, তাহ বিচাৰ্য্য।” “শিশুশিক্ষার্থীর উপকার ভিন্ন এই পরিবর্তনে আর বিশেষ উপকার দেখি না। কেন না অধিকাংশ স্থলে আপনিও প্রচলিত রূপ রাখিতে বাধ্য হইয়াছেন। থ ফল। র-ফলা রেফ ইত্যাদি চিহ্ন আপনি অপরিবৰ্ত্তিত রাখিয়াছেন। ‘ক্ষ’ প্রভৃতি যুক্তবর্ণের পরিবর্তনের চেষ্টা করেন নাই। কাজেই কতিপয় পরিবর্তনে ছেলেদের পরিশ্রম লাঘব হইবে কি ?” “বর্ণের রূপ একটা convention মাত্র। সকলে মিলিয়৷ মিশিয়া সহজ করিয়া লইলে কোনই গোল থাকে না।” “প্রত্যেক বর্ণের রূপের একটা ইতিহাস আছে। বহু সহস্ৰ বৎসরের পরিণতিতে প্রত্যেক বর্ণের রূপ দাড়াইয়াছে। পরামর্শ করিয়া ঐ রূপ পরিবর্তন অসাধ্য ন হইতে পারে। কিন্তু যতদিন ঐ পরামর্শে স্বফল না পাওয়া বাইতেছে, ততদিন এ বিষয়ে ব্যক্তিগত স্বাধীনতা সংযত করা উচিত নহে কি ?” - আমি মূল প্রস্তাবে লিথিয়াছিলাম, “কোন অক্ষর ভাল বলা যায় ? ( ১ ) যে অক্ষর কলমের এক টানে লিখিতে পারা যায়, অর্থাৎ যাহা লিখিতে কাগজ হইতে কলম তুলিতে ফেলিতে হয় না ; (২) যে অক্ষর দ্বারা অন্ত অক্ষরের ভ্রম হয় না ; (৩) যে অক্ষর দেখিয়া পড়িতে চক্ষু পীড়ন করিতে হয় না ; সেই অক্ষর ভাল। -- • • সংস্কার চাই, আমূল পরিবর্তন চাই না। যে যুক্তাক্ষরে মূল অক্ষর এত ছোট, অস্পষ্ট কিংবা বিকৃত যে বুঝিতে কষ্ট হয়,