2 EFTERŲ: ’ ఏ99áు ফাগুনের রৌদ্র, ঝলক দেয় জলে, ঘুঘু ডাকে দূরের আমবাগানে। ধোওয়ার কাজ হ’ল, প্রহর গেল কেটে। পাগড়ি যখন বিছিয়ে দিল ঘাসের পরে রংরেজিনী দেখল তারি কোণে লেখা আছে একটি শ্লোকের একটি চরণ,— “তোমার শ্ৰীপদ মোর ললাটে বিরাজে ।” বসে বসে ভাবল অনেকক্ষণ, ঘুঘু ডাকতে লাগল আমের ডালে রঙীন সুতো ঘরের থেকে এনে আরেক চরণ লিখে দিল— —“পরশ পাইনে তাই হৃদয়ের মাঝে।”— দু-দিন গেল কেটে। শঙ্কর এল রংরেজির ঘরে। শুধালে, পাগড়িতে কার হাতের লেখা ? জসীমের ভয় লাগল মনে। সেলাম ক'রে বললে, “পণ্ডিতজি, অবুঝ আমার মেয়ে, মাপ করে ছেলেমানুষী। চলে যাও রাজসভায় সেখানে এ লেখা কেউ দেখবে না, কেউ বুঝবে না।” শঙ্কর আমিনার দিকে চেয়ে বললে, রংরেজিনী, অহঙ্কারের পাকে-ঘেরা ললাট থেকে নামিয়ে এনেচ শ্রীচরণের স্পর্শধানি হৃদয়তলে তোমার হাতের রাঙা রেখার পথে । রাজবাড়ির পথ আমার হারিয়ে গেল,— আর পাব না খুজে ।
- सिंtनषइ
తిరిu