পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিল্পী ত্রযুক্ত ঘামিনীরঞ্জন রায়ের প্রদর্শনী ১২৯ ৷ প্রাচীন পট তিনি বাংলার গ্রামে গ্রামে বাংলা চিত্র সংগ্ৰহ করিবার গদ্য ঘুরিয়াছেন। কালীঘাট হইতে কুরু করিয়া মেদিনীপুরের ঝাড়গ্রাম ও বাকুড়ার বেলিয়াতোড় প্রভৃতি নান। গ্রামে তিনি যে-সকল পুরাতন পট সংগ্রহ করেন তাহাও তাহার প্রদর্শনীর একটি ঘরে সজ্জিত দেখিলাম। তিনি দেখিলেন বাঙালী পটুয়ারাও প্রধানত: রেখার সাহায্যেই তাহদের মনের কথা আশ্চৰ্য্য নিপুণ ভঙ্গীতে বলিয়া গিয়াছে। ইহারা শুধু যে শিবপাৰ্ব্বতী, দশানন, বালী-স্ব গ্রীব, লক্ষ্মী-সরস্বতীর ছবিই আঁকিয়াছে তাহ নয়, তাহাদের চোখে-দেখা এই বাংলা দেশের নানা ছবিও তাহার এই তুলির কালো রেখার স্বচ্ছন্দ ও । শক্তিশালী ভাষায় বলিয়া গিয়াছে। প্রসাধনশেষে সুন্দরী কবরীতে স্বহস্তে ফুল পরাইয়া দিতেছেন, তাহার অানত খ, দেহ্যটিতে বেষ্টিত বস্ত্রাঞ্চল, উন্ধে উখিত বাহুলঙ্কা, গঙলের ডগায় সযত্ন স্পর্শে ফুলধরার ভঙ্গী—সব যেন পটুয়া একটি রেখারই বহুমুখী গতির সাহায্যে জাকিয়া গিয়াছে। বৃষ্টির জলধারা যেমন মাটির উপর দিয়া - ר צ সন্ধান্ত বাঙালী ও তাঙ্গর পত্নী-দুইজনেরই হাতে একটি করিয়া পানের থিলি । ডালপালার ভঙ্গীতে স্বাভাবিক ভাবে গড়াইয়া চলিয়া যায়, পটুয়াদের এই রেখাগুলিও যেন তুলির মুখ হইতে তেমনি সহজে বাহির হইয়া ছবির রূপ ধরিয়া উঠিয়াছে। বাঙালী ধনী হুক-হাতে তামাক থাইতে বসিয়াছেন, প্রণয়ীযুগল পরস্পরকে সপ্রেম-ম্পর্শে প্রেম নিবেদন করিতেছে, তরুণী দীর্ঘকেশ রোদে শুখাইতেছে, বিড়াল প্রকাণ্ড চিংড়ি মাছ ধরিয়া খাইতেছে—এইরূপ নানা বিষয়ই দেড় শত বৎসর পূৰ্ব্বে বাঙালী পটুয়ার তুলির বাক৷ টানে আঁকিয়া গিয়াছে। বাংলার গ্রামের ঘর হইতে এই রেখাচিত্রগুলি এবং রঙীন পটগুলি সংগ্ৰহ করিতে করিতে যামিনীবাবুর মনে হয়, বাংলার চিত্রশিল্পকে পুনৰ্জ্জীবন দান করিতে হইলে অজন্ত৷ রাজপুত কিংবা মোগল-পদ্ধতি অনুকরণ করিয়া চলিলেই হইবে না। এগুলি ভারতীয় চিত্ৰপদ্ধতি সন্দেহ নাই, কিন্তু বাংলা ভাষা যেমন বাঙালীর নিজস্ব ভাষা, ভেমনি बांश्लॉब्र नई बॉडबैौद्र uरूछ मिजच किल्ला इंडोजै নিীৰ এই পাই অগ্রসর হইতে ইৰে কৰে ।