পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ বিবি প্রসঙ্গ—কংগ্রেসর অধিবেশনের চেষ্টা of »(የፃ পাছিয়াছে। পরে কি ঘটে, তাহা দৈনিক কাগজে দ্রষ্টব্য । ংগ্রেস বসিবার সংবাদ কাগজে বাহির হইবার কয়েক দিন পূৰ্ব্বে সরোজিনী দেবী কাশী গিয়া মালবীয়জীর সঙ্গে অনেকক্ষণ কথাবাৰ্ত্ত কহেন, ও দিল্লী ফিরিয়া যান। পরে মালবীয়জীও দিল্লী যান। এখন এই সব চলাফির ও কথাবাৰ্ত্তার কারণ ও উদ্দেশ্য অতুমিত হইতেছে। কংগ্রেস বসিবার সংবাদ বাহির হইবার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই খবর বাহির হয়, যে, সরোজিনী দেবী বলিয়াছেন, যে, এই অধিবেশন সাধারণ বাধিক অধিবেশন, এবং তাহ বসাইবার বা আহবান করিবার দায়িত্ব একমাত্র তাহারই । মলিবীয় মহাশয়ও, তাহার উপর জাতির আস্থা ও বিশ্বাস আছে বলিয়া, ভারতীয় জাতিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন । পণ্ডিতজী অবশ্য “সৰ্ব্বসাধারণের” বিশ্বাসভাজন বাক্তি, তাহাতে সন্দেহ নাই। কিন্তু তাহাকে সভাপতি নিৰ্ব্বাচন কর দূরে থাক, তাহার কৃতজ্ঞতাপ্রকাশস্থচক “বাণী” বাহির হইবার পূৰ্ব্বে “সৰ্ব্বসাধারণ” কংগ্রেস বসিবে বলিয়া স্বপ্নও দেখে নাই। সুতরাং এই ধন্যবাদপ্রদানাদি ব্যাপারের মধ্যে একটু হাস্যরস আছে তাহ পণ্ডিতও স্বীকার করিবেন । বস্তুতঃ ধন্যবাদ কাহারও প্রাপ্য থাকিলে তাহা সরোজিনী দেবীর এবং পণ্ডিতজীরও ! কংগ্রেসের বৈঠক হইবে, এমন একটা খবর বিলাত পৌছিতে বিলম্ব হইল না। একদিনের মধ্যেই এদেশে এই সংবাদ সম্বন্ধে বিলাতী কতকগুলা কাগজের মত তারযোগে আসিয়া পৌছিল। তাহার সার কথাটা এই, যে, এখনও মহাত্মা গান্ধী ও র্তাহার দলের লোকেরা জেলে, এই অবসরে কংগ্রেসের নরম দলের লোকেরা গান্ধীকে দলপতির আসন হইতে সরাইয়া আপনাদের নেতা মালবীয়জীকে সেই আসনে বসাইবে এবং কংগ্রেসের আইনলঙ্ঘনাদি চরম প্রচেষ্টার পরিবর্তে অপেক্ষাকৃত নরম ও “বিজ্ঞোচিত” নীতির প্রবর্তন করিবে, ও গবষ্মেন্টের সহিত রফা করিবে। কংগ্রেসের মধ্যে দলাদলি নাই বলা যায় না ; আছে { গান্ধীর নেতৃত্ব কাহারও ঈর্ষ্যার বিষয় হইতে পারেন; পারেন না, ইহাও সত্য নহে। কিন্তু কংগ্রেসের প্রস্তাবিত বৈঠকের উদ্বেশ্ব যদি বাস্তবিক গান্ধীর দলকে ক্ষমতাচ্যত করা এবং চরম পন্থার পরিবর্তে নরম পন্থা প্রবর্তন হইত, তাহা হইলে তাহ গবন্মেন্টের অভিলষিত জিনিষই হইত এবং এরূপ বৈঠকে গবন্মেটি কোন বাধা না দিয়া বরং তাহার সহায়তাই করিতেন । কিন্তু বৈঠকের প্রতি সরকারী ভাবভঙ্গী ত সেরূপ নয়। সুতরাং বিলাতী কাগজগুলার মন্তব্য ঠিক বলিয়া মানিতে পারা যায় না। তবে, ব্যাপারটার মধ্যে গভীর চা’ল থাকাও অসম্ভব নহে। শ্ৰীমতী সরোজিনী দেবী ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশের কংগ্রেস ডিক্টেটার বা অন্য প্রধান কংগ্রেসকৰ্ম্মীকে যে চিঠি পাঠান এবং যাহ। ইংরাজী দৈনিক কাগজসমূহে মুদ্রিত হইয়াছে, তাহাতে অন্যান্য কথার মধ্যে ছিল— এখন এইরূপ স্থির আছে, যে, কংগ্রেসের আগামী বৈঠকে সভাপতির অভিভাষণ হইবে এবং তিনটি প্রস্তাব ধাৰ্য্য করা হইবে। যথা, (১) সম্পূর্ণ স্বাধীনতা কংগ্রেসের লক্ষ্যস্থল বলিয়া পুনৰ্ব্বার নিশ্চিতরূপে বলা, (২) নিরুপদ্রব আইনলঙ্ঘন কোন কোন অবস্থার অধীন ভাবে পুনঃপ্রবর্তনকল্পে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির শেষ অধিবেশনের প্রস্তাবগুলি অনুমোদন করা, এবং (৩) নিশ্চিত করিয়া বলা যে মহাত্মা গান্ধী কংগ্রেসের একমাত্র প্রতিনিধি, এবং তিনিই উহার মুখপাত্র। যে বৈঠকে এইরূপ প্রস্তাব উপস্থাপিত ও গৃহীত হইবার কথা, গবন্মেণ্ট তাহাতে বাধা দিবেন না, এরূপ আশা সরোজিনী দেবী ও মালবায়ুজী করিয়াছিলেন কিনা জানি না ; কিন্তু উহা দুরাশা ৷ হইতে পারে, যে, কংগ্রেস-বৈঠক করিবার প্রস্তাব এবং তাহাতে করণীয় কাজের তালিকা সম্বলিত শ্ৰীমতী সরোজিনী দেবীর চিঠি, ইংরেজীতে যাহাকে কাইট-ফ্লাইং বলে, তাহাই ; অর্থাৎ উহ। ঐ সব বিষয়ে জনমত ও গবন্মেন্টের মত জানিবার একটা কৌশল। গবন্মেণ্টও সম্ভবতঃ দৃঢ়তার সহিত বলিতেছেন কখনই বৈঠক হইতে দিবেন না,এই অভিপ্রায়ে ও আশায়, যে, তাহ হইলে উহার উদ্যোক্তারা যদি নরম হইয়া করে লক্ষ হিনী । গবন্মে প্টের সঙ্গে রক্ষা করেন। . বিলাতী ীে মেল গবষ্মেন্টের দৃঢ়তা খুনী হইয়া বলিয়াছে ৰঞ্জী আগে ইরকম দৃঢ়তাণ্ডাইলে ভিারতবর্ষের অবস্থার্ট এত খারাপইত না , ;,&