পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

wo ws#. M করটে তাকে আমি সতজ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্বীকার করেচি, আবার ভারতীয় সাধকেরা আপনার মধ্যে আত্মজ্যোতি দর্শনের যে সাধনাকে গ্রহণ করেচেন তাকেও আমি প্রণাম ক'রে মেনে নিই। এই উভয়ের মধ্যে জাতিভেদ ঘটিয়ে যদি পংক্তি-বিভাগ করি, এবং এক পাশ ঘেষে সমস্ত জীবন কেবল গুচিবায়ুর চর্চা করি তাহলে কৃপণের গতি লাভ করব। কিন্তু একটি কথা মনে রেখে, চতুপথে আমার চল — সম্প্রদায়ের দুর্গে রুদ্ধদ্বারের মধ্যে আমি বাচিনে। এই জন্যে যদিও আমি নিজের মত গোপন করিনে, তবু কাউকে ডাকাডাকি ক'রে কোনদিন বলিনে আমার মত গ্রহণ করো। তুমি নিজের পথে নিজের মতে চললে তোমার প্রতি আমার স্নেহ কিছুমাত্র ক্ষুঃ হবে এমন শঙ্কা কোন দিন ক'রে না। স্বভাবতই তোমার চিত্তশক্তির একটি প্রসার আছে, এই রকম বেগবান চিত্তকে খোটায় বেঁধে বাধ থোরাকে পরিতৃপ্ত করা সহজ নয়। তোমার কঠিন দুঃখ হচ্চে দ্বিধা নিয়ে। তোমার ংস্কার এই যে, চিত্তকে পীড়িত করে খৰ্ব্ব ক'রে তাকে বিশ্বের অধিকার থেকে নানাপ্রকারে বঞ্চিত করে তবে সার্থকত, অথচ তোমার প্রকৃতিতে যে-বুদ্ধিশক্তি ও প্রাণশক্তির প্রাচ্য আছে, সে অবারিত আকাশে আলে চায় হাওয়া চায় গতি চায়। সেই என: তুমি অপরাধ বলে ভয় পাওঁ। পার্থীকে j না করে তাকে আকাশভীরু করে তোলা ....: কিন্তু এই f আকাশভঙ্কত তার স্বভাব না, 4ঃ না দেখেই

  • , টের পাওয়া যায়। :*

ہ عنہم যাইহোক, আমাকে তোমাকুর্বিলে গণ্য করেন। 浏 ఏ99శు আপনার লোক বলেই জেনো। বাইরের দিক থেকে তোমার পরিচয় অল্পই পেয়েচি তবুও তোমাকে স্নেহ করা আমার পক্ষে অত্যন্ত সহজ হয়েচে । তার কারণ তোমার মনের মধ্যে এমন একটি স্বচ্ছতা আছে কোনোরকমের সংস্কারের বাধায় তাকে ছায়াবৃত করতে পারেনি, তোমার স্বাভাবিক বুদ্ধিশক্তিসকলরকম বাধার মধ্যেওতোমাকে মুক্ত রেখেচে। আমার সম্বন্ধে কঠোর বিরুদ্ধতা থাকাই তোমার পক্ষে স্বভাবসঙ্গত ছিল, আমার দেশের লোকের অনেকেরই তাই আছে। কিন্তু অভ্যাসের আচারের মতের নানাপ্রকার বাধা সত্ত্বেও সে সমস্ত পার হয়েও তুমি আমার কাছে আসতে পেরেচ সে তোমার বুদ্ধির অসামান্য উদারতবশত। প্রকৃত আত্মীয়তার মিলনক্ষেত্র এই উদারতা, মতের মিল প্রভৃতিতে নয়। চিঠিতে তোমাদের সাধনের কথা তুমি যেরূপ করে প্রকাশ করেচ তাতে আমি গভীর আনন্দ পেয়েছি, তোমার নিজেকে স্বনিপুণ ভাষায় সুস্পষ্ট ক’রে আমার গোচর করতে পেরেচ। মামুষের প্রতি আমাদের ঔদাসীন্য সেইখানেই যেখানে সে আমাদের কাছে অস্পষ্ট। যে হয়েচে সুপ্রত্যক্ষ তাকে আমরা অস্তরের মধ্যে অনায়াসে গ্রহণ করি। তুমি থে-পথেই চলে না কেন, সে-পথ আমার অধিকৃত না হলেও আমি লেশমাত্র ক্ষোভ করব না, এ কথা নিশ্চিত জেনো। কিন্তু সে-পথ তোমার প্রকৃতিবিরুদ্ধ না হয়, সে-পথে তোমার সম্যক চরিতার্থতা ঘটে, তুমি শান্তি পাও, এই আশা করি। তুমি স্বচ্ছদ মনে সহজে নিজের জীবনকে গ্রন্থিমূক্ত করে আত্মপ্রতিষ্ঠিত হও এই ইচ্ছামাত্র আমার মনে রইল। ইতি ১১ শ্রাবণ ১৩৩৮ ।