পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘ੇ চণ্ডীদাসের পদাবলী والا

নেক পরিবর্তন হইয়াছে, অনেক স্থলে প্রাচীন শব্দের নে আধুনিক শব্ব প্রযুক্ত হইয়াছে, কিন্তু মৌলিক ভাব ঘে কবির নিজের সে-বিষয়ে দ্বিধা করিতে পারা যায় না । ধে-আকারে এই সকল পদ প্রথমে রচিত হইয়াছিল, তাহা জানিবার উপায় নাই, কিন্তু যে ভাবে এই সকল কবিতা অনুপ্রাণিত তাহ কবি ব্যতীত আর কেহ উদ্ভাবন করিতে

পারে না | পদাবলীর সঙ্কলন কীৰ্ত্তনীয়াদের মুখে চণ্ডীদাসের গান শুনিতে পাওয়া ঘাইত। তাহাদের কাছে ও বৈষ্ণবদের ঘরে বৈষ্ণবগানের ছোটখাট পুথি ছিল। বৈষ্ণব-সম্প্রদায়ের বাহিরে বিদ্যাপতি চণ্ডীদাসের নাম বড়-একটা কেহ জানিত না। বৈষ্ণব গ্রন্থ বটতলা ছাড়া আর কোথাও ছাপা হইত না। যাহারা অল্পস্বল্প বা অধিক ইংরেজী জানিতেন, তাহাদের স্থির ধারণা ছিল যে, প্রাচীন বৈষ্ণব কাব্য সকল অশ্লীল, অপাঠ্য বচন । কবি নবীনচন্দ্র সেন তাহার ‘অবকাশরঞ্জিনী’ নামক কাব্যগ্রন্থে ব্যঙ্গবিদ্রুপ করিয়া অথব| যে-কোন ভাবেই হউক লিখিয়াছিলেন, মহাজন পদাবলী রাধাকৃষ্ণ চলাচলি । ললিত লবঙ্গলত। গোস্বামী খুড়োর মাথ । মহাজন পদাবলী তিনি নিজে পড়িয়াছিলেন কি না বলিতে পারি না। বটতলার পুস্তক শিক্ষিত লোকে পড়িত না। মাইকেল মধুসূদন দত্ত শ্রুতিমধুর ও ভাবমধুর ব্রজাঙ্গন। কাব্য রচনা করেন, চতুর্দশপদী কবিতাবলীতে তিনি জয়দেব, কাশীরাম দাস, কৃত্তিবাস ও ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের যশ কীৰ্ত্তন করিয়াছেন, বিদ্যাপতি অথবা চণ্ডীদাসের উল্লেখ করেন নাই। ইহা হইতে তিনি বৈষ্ণব কবিদিগের রচনা পাঠ করিয়াছিলেন কি-ন। সে-বিষয়ে সংশয় হয়। করিলে ঈশ্বর গুপ্তের অপেক্ষা চণ্ডীদাস যে কত বড় কবি তাহ সহজেই বুঝিতে পারিতেন। মহাজন পদাবলীর প্রধান ও অমূল্য সঙ্কলন কবি বৈষ্ণব দাসের পদকল্পতরু' । কত পরিশ্রম করিয়া, কত অম্বুরাগ, গ শ্রদ্ধা ও বিনয়ের সহিত তিনি এই বিপুল মহাগ্রন্থ সঙ্কলন করিয়াছিলেন তাহা স্মরণ করিলে চমৎকৃত হইতে হয় । এই গ্রন্থ না থাকিলে অনেক বৈষ্ণব কবির নাম কেহ জানিত না, অনেক বৈষ্ণব কবিতা লুপ্ত হইত। সে কালে নৌকা ও পদব্রজে গমন ছাড়া যাতায়াতের অন্য উপায় ছিল না । বৈষ্ণব দাস নান স্থান ভ্রমণ করিয়া, প্রধান প্রধান বৈষ্ণবদের ঘরে গিয়া, উত্তম উত্তম পুথি বাছিয়া লইয়া স্বহস্তে সমস্ত পদ নকল করিয়া লইতেন । পদকল্পতরু'র প্রচার প্রথমে বটতল হইতে হয়, কিন্তু নব্য শিক্ষিতসম্প্রদায়ের লোকেরা সে পথ মাড়াহত না। যে-কালে ‘মেঘনাদবধ কাব্যে’র অমিত্রাক্ষর ছন্দ লোকে আবৃত্তি করিবার চেষ্টা করিত ও ঐ গ্রন্থের অনুকরণে চারিদিক হইতে নানাবিধ প্রাণিবধ মহাকাব্যের স্বষ্টি হইতে লাগিল, যে-কালে হেমচন্দ্রের ‘ভারত সঙ্গীত’ ইত্যাদি কবিতা লোকে চীৎকার করিয়া আওড়াইত, তখন বৈষ্ণব কাব্যের কথা শিক্ষিত বাঙালীদের মধ্যে কয়জন জানিত ? অন্ধকার খনির মধ্যে যেমন অমূল্য রত্ন লুক্কায়িত থাকে সেইরূপ এই সকল মহামূল্য গীতিকবিতা বটতলার পুস্তকালয়ে ও হস্তলিখিত পুথিতে প্রচ্ছন্ন ছিল । বৈষ্ণব কাব্য যে যথার্থ গীতিকাব্যের আকর ও তাহাতে অক্ষয় অমুতরাশি সঞ্চিত আছে একথা সাধারYসাহিত্যসমাজে প্রচার হইতে তখনও বিলম্ব ছিল। মধুস্থ" কাব্যের প্রভাব " কাব্য-রচনায় ইংরেজী কাব্যের প্রতিধ্বনি শ্রুত সঞ্জ ষব কাব্যের অতুলনীয় ভাষা, শব্দের বিচিত্র ག:ང་བཅུ་ কোমলতা, ভাবের নিবিড় প্রগাঢ়তা ইংরেজী-শিক্ষিত দুখক ও পাঠকের অবিদিত ছিল। বৈষ্ণৰ কাব্যের : সের আস্বাদনে অনেক বাঙালী বঞ্চিত বটতলা হইতে" - ை. \ আকারে প্রকাশিত হয়। এই সঙ্কল"র প্রধান অবলম্বন পদকল্পতরু'। কিন্তু ইহাতেও শিক্ষিউN उशबारे भाई अड्ड*;ऋश्यकबैरैक्ले