পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জৈন জল-মন্দির শ্ৰীহেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষ ১৮৩৯ খৃষ্টাব্দে ভারতবর্ষে আসিয়া ভারতীয় ও প্রাচ্য স্থাপত্যের ঐতিহাসিক ফাগুসন লিখিয়াছিলেন, তিনি বৃন্দাবনের উপকণ্ঠে গোবৰ্দ্ধনে একটি মন্দির-নিৰ্মাণ প্রত্যক্ষ করিয়াছিলেন এবং সেই মন্দিরের ভারতীয় স্থপতির নিকট মধ্যযুগের শিল্প সম্বন্ধে যত রহস্য জানিতে পারিয়াছিলেন, নানা (যুরোপীয় ) পুস্তক পাঠ করিয়াও তাহ জানিতে পারেন নাই। এদেশে ইংরেজশাসন প্ৰবৰ্ত্তনাবধি অবজ্ঞা ও উপেক্ষা সহ করিয়াও যে ভারতীয় স্থপতিবিদ্যা তাহার বৈশিষ্টা রক্ষা করিতে পারিয়াছে, তাহার মৌলিকতা ও সজীবতা এবং জাতির সভ্যতার সহিত তাহার স্বাভাবিক ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধই তাহার কারণ। বিহারে পাওয়াপুরীতে জৈন তীর্থঙ্কর মহাবীরেয় সমাধিস্থানে সংস্কৃত জল-মন্দির দেখিলেও ইহাই মনে হয় । বারাণসীতে যেমন নদীর জলকূল হইতে ভিত্তি নিৰ্ম্মিত করিয়া সৌধ নিৰ্ম্মিত, তেমনই ভারতের নানা স্থানে কৃত্রিম জলাশয়-মধ্যে মন্দির বা সমাধিসৌধাদি নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। এই সকলের মধ্যে অমৃতসরের শিখ মন্দির, উদয়পুরের প্রাসাদ ও সাসারামে শের শাহের সমাধি বিশেষ প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছে। অতঃপর পাওয়াপুরীর জল-মন্দিরও ঘে সেইরূপ প্রসিদ্ধিলাভ করিবে, তাহাতে সন্দেহ নাই। বৰ্ত্তমানে ভারতবর্ষে জৈনধৰ্ম্মমতাবলম্বীরা সংখ্যায় অল্প হইলেও ভারতের দর্শনে ও শিল্পে জৈন-প্রভাব বড় অল্প নহে ৷ এক সময় এই ধৰ্ম্মমত বৌদ্ধমতের উপর প্রাধান্তপ্রতিষ্ঠার চেষ্টাও করিয়াছিল এবং জৈনদিগের শেষ তীর্থঙ্কর মহাবীর গৌতম বুদ্ধের সমসাময়িক ও প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। পাওয়াপুরীতে তিনি নিৰ্ব্বাণলাভ করেন এবং যে স্থানে জল-মন্দির প্রতিষ্ঠিত তথায় তাহার দেহ ভস্মাবশেষ श्ब्राझिल । সমগ্র ভারতে জৈনদিগের তীর্থস্থানের সংখ্যা অল্প नश् ।। ऎञ्चाङ्गांश् ७ फूबरनक्षत्रि नेिरुं श्रृि ७ जूरु গুহামন্দিরের সঙ্গে জৈনদিগের গুহামন্দির বিদ্যমান । তদ্ভিন্ন গোয়ালিয়রে, পরেশনাথে ও অন্যান্য স্থানে জৈনদিগের কারুকার্য্যবহুল মন্দির আছে। .. -- ساساس-ا r; r- খ্ৰীযুক্ত পুনামটা শেঠের রাজপুতানা আৰুপৰ্ব্বতে ও পলিস্ট পৰ্ব্বতে দিনগুলি আনিলাহার কারুকার্য দর্শকে