পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

રે છે૭ S99áు বলিয়াছেন এবং ভারতীয়দের সাহায্য অধিকন্তু আর একট। জিনিষ মনে করেন ? ইংরেজদের মত ত বরাবরই চূড়ান্ত রকমে বিভীষিকাবাদের বিরুদ্ধে ছিল ; তাহার আর বৃদ্ধির সম্ভাবনা কোথায় ? যাহা হউক, ভূতপূৰ্ব্ব বঙ্গের লাটের বাক্য-বিন্যাসের দোষে কিছু সন্দেহ জন্মিলেও আমর ধরিয়া লইতেছি তিনি দেশী লোকদের মতকেও লোকমত বলিয়াছেন। বিভীষিকাবাদের উচ্ছেদসাধনে আস্তরিক লোকমতের কাৰ্য্যকারিত আমরাও স্বীকার করি । কিন্তু অন্যান্য সৰ্বের মধ্যে এই কাৰ্য্যকারিত এই একটি সর্বের উপর নিভর করে, যে, গবন্মের্ণীকে সকল বিষয়েই লোকমতকে শ্রদ্ধেয় মনে করিতে হইবে। যখন লোকমত বলিবে, “বিভীষিকাবাদ সাতিশয় গহিত, জঘন্য, অনিষ্টকর ও ঘৃণা,” তখন গবন্মেস্ট বলিবেন, “এদেশের লোকেরা বড় বুদ্ধিমান বিচক্ষণ ও সত্যভাষী” ; কিন্তু যখন লোকমত বলিবে, “বিনা বিচারে বন্দীকরণ, লাঠিপ্রয়োগ, সভাসমিতি ও সংবাদপত্রের দ্যাঘ্য স্বাধীনতার লোপ নিন্দনীয় ও অহিতকর, অতএব এই সমস্ত রহিত কবিয়া অচিরে তারতবর্ষে স্ববাজ স্থাপন আবশ্যক” তখন গবন্মেটি বলিবেন, "তোমরা অতি নিৰ্ব্বোধ এবং ভারতের হিতাহিত বুঝ না, আমরা তাহ খুব ভাল করিয়া বুঝি",– এরূপ হইলে কোন ফল হইবার কথা নয়, ফল হইতেছেও না ; যদিও সভাসমিতিতে ও সমুদয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত লোকমত একবাক্যে বরাবর বিভীষিকাবাদকে মন্দ বলিয়াছে । গবন্মেণ্ট যদি বিভীষিকাবাদীদিগকে বুঝাইতে চান, যে, লোকমতের অমুসরণ করা তাহদের কর্তব্য, কারণ উহ। শ্রদ্ধেয় ও মূল্যবান, তাহ হইলে গবন্মেন্টের নিজের ব্যবহার দ্বারা প্রমাণ করা চাই, যে, সরকার সত্যসত্যই লোকমতকে মূল্যবান ও শ্রদ্ধেয় মনে করেন। ভূতপূৰ্ব্ব লাটসাহেব বলিতেছেন, অনেক বিভীষিকাবাদী প্রবল স্বদেশপ্রেম দ্বারা অনুপ্রাণিত, অন্যের প্রবল জাতিগত বিদ্বেষ দ্বারা প্রণোদিত, এবং এই জাতিগত বিদ্বেষ চতুর প্রচারকদের এবং দেশভাষার সংবাদপত্রসমূহেরও দ্বারা সযত্বে বাঙালীদের মধ্যে বপন করা হয়। এখানে জাতিগত বিদ্বেষ বলিতে অবশ্ব বক্তা ইংরেজ বিদ্বেষ বুঝাইতে চান। ইহা সত্য কথা, যে, ভারতবর্ষের ও বাংলা দেশের লোকেরা ইংরেজ কিংবা অন্য কোন বিদেশীর অধীন থাকিতে চায় না এবং ইহাও চায় না, যে, বাণিজ্য বা অন্ত সূত্রে ভারতবর্ষের ধন বাহিরে যায় । কিন্তু মমের এই রকম ভাবকে জাতিগত বিদ্বেষ মনে করা ও বল ভুল। পৃথিবীর প্রত্যেক জাতিরই মনের ভাব এই রকম ; কোন জাতিই অন্য জাতি কর্তৃক শৃঙ্খলিত ও শোধিত হইতে চায় না। যে-সব সরকারী বা বেসরকারী ইংরেজ বিভীষিকাবাদ সম্পর্কে জাতিগত বিদ্বেষের কথা তুলেন, তাহদের মনে রাখা উচিত, ভারতবর্যে ও বঙ্গে যত ইংরেজ বাস করে, তাহদের অতি অল্পসংখ্যক লোক ছাড় সবাই নিৰ্ভয়ে দেহরক্ষীর সাহায্য না লইয়া বাস করে ও চলাফির করে, খুন কচিং দু-একজন হয়। তাহারাও, মিঃ ভিলিয়াস এবং টেগার্ট ভ্রমে হত অন্য একজন ভদ্রলোক ছাড়া, সবাই রাজকৰ্ম্মচারী। সুতরাং সমুদয় ভারতপ্রবাসী ইংরেজের প্রাণ বধ করিবার জন্য এক দল লোক ব্যগ্র, এরূপ মনে করা ভুল । বাংলা দেশের খবরের কাগজগুলা এই অর্থে জাতিবিদ্বেষ প্রচার করে বলা নিতান্ত মিথ্যাবদিতা। সিপাহী-বিদ্রোহের সময়ও বিদ্রোহীদের প্রভাবাধীন দুই একটা স্থান ছাড়া প্রত্যেক ইংরেজের প্রাণসংশয় তারতে কোথাও হয় নাই ; এখন শান্তির সময়ে ত কোথাও গ্রত্যেক ইংরেজ বিপন্ন নহে। প্রত্যেক ইংরেজের প্রাণসংশয় এক সময়ে গ্রেটব্রিটেনেরই অন্তর্গত ওয়েলসে হইয়াছিল। সেই বিষয়ে বার্ক তাহার আমেরিকার সহিত সদ্ভাব স্থাপন বিষয়ক বক্তৃতায় বলিয়াছেন – “The people [of Wales] were ferocious, restive, savage, and uñeultivaleil ; sometimes _composed never pacified. Wales, within itself, was in perpetual disorder , and it kept the frontier of England in perpetual alarm,” ... “. . . an Englishman travelling in that country could not go six yards from the high road without being murdered.” ইংরেজরা স্বদেশে বিদেশে এই ধারণা জন্মাইতে চেষ্টা করিতেছেন, যে, এদেশে তাহারা বড়ই বিপন্ন, বেজায় বীর সাহসী ও সতর্ক বলিয় তাহার কোনমতে টিকিয়! আছেন । কিন্তু বার্ক যেমন ওয়েলসের সম্বন্ধে বলিয়াছিলেন, তাহারা কি বাংলা দেশ সম্বন্ধে তেমনি বলিতে