পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানবপুত্র রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মৃত্যুর পাত্রে খৃষ্ট যেদিন মৃতু্যহীন প্রাণ উৎসর্গ করলেন বরাহুত অনাতুতের জন্তে, তার পরে কেটে গেছে বহু শত বৎসর । অণজ তিনি একবার নেমে এলেন নিত্যধাম থেকে মৰ্ত্ত্যধামে । চেয়ে দেখলেন, সেকালেও মাহুষ বিক্ষত হ’ত যে সমস্ত পাপের মারে,— যে উদ্ধত শেল ও শল্য, যে চতুর ছোরা ও ছুরি, যে ক্রর কুটিল তলোয়ারের আঘাতে, বিহ্য দ্বেগে আজ তাদের ফলায় শান দেওয়া হচেচ হিসহিস শব্দে স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে বড়ে বড়ে মসী ধূমকেতন কারখান। ঘরে । কিন্তু দারুণতম যে মৃত্যুবাণ নুতন তৈরি হ’ল, ঝক ঝক করে উঠ ল নরঘাতকের হাতে, পূজারী তাতে লাগিয়েছে তারই নামের ছাপ তীক্ষ নখে আঁচড় দিয়ে । খুষ্ট বুকে হাত চেপে ধরলেন,— বঝলেন শেষ হয়নি তার নিরবচ্ছিন্ন মৃতু্যর মূহূৰ্ত্ত, নূতন শূল তৈরি হচ্চে বিজ্ঞানশালায়, বি ধচে তার গ্রন্থিতে গ্রন্থিতে । সেদিন তাকে মেরেছিল যার। ধৰ্ম্মমন্দিরের ছায়ায় দাড়িয়ে, তারণই আজ নুতন জন্ম নিল দলে দলে, তারণই আজ ধৰ্ম্মমন্দিরের বেদীর সামনে থেকে পূজামস্ত্রের স্বরে ডাকচে ঘাতক সৈন্তকে, বলচে, “মারো, মারে৷ ” মানবপুত্র যন্ত্রণায় বলে উঠলেন উদ্ধে চেয়ে, “হে ঈশ্বর, হে মানুষের ঈশ্বর, কেন অামাকে ত্যাগ করলে ।”