পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইরা শ্ৰীমণীন্দ্রলাল বস্তু ব্রজেনের বাড়ির চারতলার ছাদে প্রতি সন্ধ্যায় আমাদের আডডা বস্ত। রাধাকান্ত তার নাম দিয়েছিল ‘রুফ-গার্ডেন ক্লাব। জাৰ্ম্মানী থেকে ফিরে এসে ব্রজেন যখন তার পুরাতন বাড়ির ছাদে কাচের ঘর তৈরি করতে মুরু করলে, আমরা ভাবলাম কোন নূতন ধরণের ল্যাবরেটারী হচ্ছে বুঝি, কারণ ব্ৰজেন বার্লিন থেকে কেমিষ্ট্রর ডক্টরেট নিয়ে এসেছিল। কিন্তু একদিন এক নিমন্ত্রণপত্র এসে হাজির, ব্রজেনের বিবাহের নয়, রুফগার্ডেন ক্লাবের উদ্বোধন-উৎসবের নিমন্ত্রণ। গিয়ে দেখি, যে শেওলাধর ছাদে মাছর বিছিয়ে গ্রীষ্মের গভীর রাত পৰ্য্যস্ত ব্রজেনের সঙ্গে কত গল্প কত তর্ক করেছি সেখানে এক রুফ-গার্ডেন! ছাদের পূর্বদিকট হয়েছে এক সুন্দর ঘর, পূবে ও দক্ষিণে কাচের দরজা জানল, পশ্চিমদিকে সিড়ির ঘরের দেওয়ালটা পাওয়া গেছে, আর উত্তরে চারকুট দেওয়ালের ওপর রঙীন কাচের সার্সি, ওপরে কাল প্লেটের ঢালু ছাদের তলায় হাস্থানীল রঙের ক্যানভাসের সিলিং। আমাদের ইঞ্জিনিয়ার বন্ধু হরিদাসেরই এই কীৰ্ত্তি । ছাদের পশ্চিমাংশে লম্বা লম্বা বড় কাঠের বাক্সে মাটি ভরে নানা ফুলের গাছ—লিলি, আমরনথাস, প্যান্সি, ফ্লক্স বেশীর ভাগই বিদেশী ফুল । ঘরটির মেঙ্গে হয়েছে সবুজ পেটেণ্ট ষ্ট্রোণের। আসবাবের মধ্যে রয়েছে নানা ধরণের ছোট-বড় চেয়ার— বেতের চেয়ার, প্রিং-ওয়ালা গদিমোড়া চেয়ার, ইজিচেয়ার, chaise-lounge critori siffrzą रूझान, তাদের পাশে নীচু ছোট টেবিল, হলুদে নীল নানা রঙের কাচ ও পাথর বসান। দেণ্ডস্থলে ক্ষরেখানা জঞ্জি, সেখানে গিয়ে সোয়াস্তির নিশ্বাস ছাড়তে পারে, ব্ৰজেন অবিবাহিত হয়েও আমাদের ব্যথা বুঝেছে, তার জন্যে তাকে অশেষ ধন্যবাদ । স্বপ্রিয়ের একটু আঁকবার সখ ছিল, কিন্তু ভাল আঁকিতে পারত না, তার স্ত্রী ছিলেন তার ছবির সবচেয়ে নিরপেক্ষ সমালোচক, সেজন্য ঘরে বসে তাক! সুবিধা হত না, এখন এ রুফ-গার্ডেনে নিরিবিলি বসে আঁকবার সুযোগ হবে ভেবে সে খুশী হ’ল। বিবাহিত ও অবিবাহিত, সদ্য প্রতীচীপ্রত্যাগত ও আশু ইয়োরোপ দর্শনাভিলাষী আমাদের কয়েকজনের প্রতিসন্ধ্যার আডড হয়ে উঠল সেই রুফ-গার্ডেন—চ-তে কফিতে সিগার-সিগারেটের ধোয়ায় তর্কে গল্পে হাস্তে সন্ধ্যাটা জমৃত ভাল । সে সন্ধ্যায় আকাশ অন্ধকার করে বিষ্টি এল । হরিদাসের ধারণা ছিল সে ভাল গান গায় ; তার গল! মন নয়, তবে চর্চার অভাবে ও রাজমিস্ত্রী মজুরদের সঙ্গে বকবিকি করে খারাপ হয়ে যাচ্ছে, সেজন্য সুবিধা পেলেই সে মাঝে মাঝে হুঙ্কার দিয়ে উঠত। একটা হারমোনিয়ম আনবার কথাও তুলেছিল, কিন্তু আমাদের ঘোর আপত্তিতে আনা হ’ল না, মাঝে মাঝে তার হুঙ্কার সহ করা যেতে পারে, কিন্তু রুফ-গার্ডেনে হারমোনিয়মের বাদ্য অসহ্য হবে। বিষ্টি এল দেখে হরিদাস তার গলা সাধার এক স্থযোগ এসেছে বুঝলে, সে সোফা থেকে চেচিয়ে উঠল,— এ স্কর বাদর, মাহ ভার— মুম্ব ছিল এক কোণে এক বড় গদিওয়ালা চোরের রুশ বিয়া গান সম্ভ করতেই সে লাফিয়ে উঠে

          • । তার গলার অস্বাভাবিক फैर्शनं श्ल्ली সবাই চমকে উঠলাম, তার মত ধীর

শ্বাস্থা যায়ৰ হঠাৎ এমন স্কট হয়ে উঠল কেন ?