পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘。。艾等目 છ૨૦ SO9áు কালো ক্যানভাসের মত যে অন্ধকারের আবরণ পৃথিবীর ওপর চেপে ছিল তা ধীরে ধীরে উপরে উঠছে। ইরাদের বাড়িটা ছিল শহর ছাড়িয়ে, শহর থেকে বহুদূরে নদীর ধারে । তার ঠাকুরদা ছিলেন এলাহাবাদের এক নাম-করা উকিল ; শেষজীবনে তিনি ওকালতি ছেড়ে সন্ন্যাসী নিয়ে থাকতেন ; শহরের মধ্যে পুরাতন আমলের বাড়িতে থাকিতেন না, নদীর তীরে উন্মুক্ত প্রাস্তরের মধ্যে নির্জনে বাংলো ধরণের বাড়ি করে ছিলেন। সে-বাড়ির নাম এলাহাবাদের সব টাঙাওয়ালাদের জান, স্বতরাং পথনির্দেশ করতে হ’ল না। স্তম্ভিত আকাশের তলে ভিজেমাটির গন্ধভর পথের দুধারে গাছপালার সজল সবুজের দিকে চেয়ে ভাবতে লাগলাম—কতদিন পরে আবার ইরাকে দেখব —আট বছর পরে ! ইয়োরোপে যাবার সময় বোম্বাই যাবার পথে এলাহাবাদে একদিন থেমেছিলাম, তার পর সাত বছর অষ্ট্রিয়াতে কেটেছে, দেশে ফিরে ইরার কোন খোজ নেওয়া হয়নি, কলকাতায় পৌঁছে ইরার একখানি চিঠি পেয়েছিলুম বটে, অভিমানের চিঠি— কেন কলম্বে দিয়ে এলে ? বোম্বাই দিয়ে এলে আমরা যুঝি পথে খেয়ে ফেলতাম,–আচ্ছা, এলাহাবাদে নাই-ব নামতে, ছিয়োকিতে গিয়ে দেখা করে আসতে পারতাম করে আসছ এলাহাবাদে ? সে চিঠির জবাব বোধ হয় দেওয়া হয়নি, সেও আর কোন চিঠি দেয় নি। চিঠি লেখা সম্বন্ধে সে আমার চেয়েও কুঁড়ে। মাঝে মাঝে তার চিঠি পেতাম ভিয়েনাতে, চির-প্রতীক্ষিত তার পত্র সহসা একদিন অপ্রত্যাশিত ভাবে আসত, শীতের দিনে হঠাৎ বসন্তের বাতাসের মত, অসময়ে আমার অঙ্করে উৎসব সুরু হত । ভাবতে লাগলাম, আট বছর পরে ইরা কেমন দেখতে হয়েছে ? তার একটি ফটে। কতবার চেয়ে পাঠিয়েছি, কিছুতেই পাঠায় নি। একটু বয়স হজেই অঞ্চালী খেয়েদের ফটাে তোলায় সঙ্কোচবোধ কেন এন্ত ক্টে হয়ঃবুৰি না । তার বোৰে না, লোকে প্রিয়ার ফটােগল্প বলে নয়, স্বক্তি স্বলঙ ক্ষয়,প্লাঙ্গীক্সঙ্গে ছবি কল্পনাকে উল্কাপিস্থা।" 蘇 " ; ; * ত৷ ইর। যতই বদলাক, দেখলেই তাকে চিনতে পারব। আমাকে হঠাৎ দেখে সে কি অবাকৃ হয়ে যাবে ! ভাবতে ভাবতে খেয়াল হয় নি, গাড়ীটা কথন শহর ছাড়িয়ে ক্রমান্ধকারাচ্ছন্ন শূন্ত মাঠের মধ্যে নির্জন পথ দিয়ে চলেছে, পশ্চিমের মেঘস্তপের ওপর একটু সোনালী আলে। ঝিকমিক্‌ করছে । সহসা সামনে এক প্রকাও গছ সমস্ত পথ জুড়ে দাড়াল–গাছ নয়, গাছের কঙ্কাল—তার মোট লম্ব। গুড়ি হতে পত্রহীন বিবৰ্ণ শীর্ণ শাখাপ্রশাখার জাল ধূসর আকাশের পট জুড়ে নাগনাগিনীর মত দিগদিগন্তে প্রসারিত ; পেছনে হাৰা কালো মেঘে সন্ধ্যার রঙীন আভ ক্ষীণ রক্তের স্রোতের মত টান । চম্কে উঠলাম। সেই সময়ে গাড়ী থামল । গাড়োয়ান জানালে গাড়ী বাড়িতে হাজির হয়েছে। বজ্ৰদীর্ণ বৃহৎ বৃক্ষটির পাশে কালে বাড়ি চোখেই পড়ে নি, গাছের নীচে তার অস্পষ্ট ছায় দেখে মনে হ’ল, যেন এক বৃহৎ অকৃটোপাস্ বক্র দীর্ঘ বাহুগুলি মেলে বাড়িটাকে চেপে ধরেছে, তাকে পীড়ন করবে শোষণ করবে ! ইরাদের বাড়িতে আগে যতবার গেছি, সকাল বেলায় পৌছেছি। সূর্য্যের আলোভর প্রভাতে এ বিজন শূন্য প্রান্তর প্রজলিত প্রদীপের মত সুন্দর দেখাত, গাছপালায় নদীজলধারায় আলো ঝিকিমিকি করত। বাড়ির পাশ্বে এই বহু প্রাচীন বৃক্ষটিকে পূৰ্ব্বে যতবার দেখেছি তার শাখাপ্রশাখা ঘন সবুজ পাতার ভারে আনত ; এক অদ্ভুত রঙের ফুল ফুটত গাছটাতে, বাড়ি ঢোকবার পথের ওপর ছড়িয়ে থাকত। কিন্তু সেই স্তব্ধতাভারাক্রাস্ত শীত-সন্ধ্যায় দিগন্তপ্রসারিত শূন্ত কৃষ্ণ প্রাস্তরের মধ্যে নিকষমণির পেয়ালার মত আকাশের তলে শীর্ণ-জীর্ণ বৃক্ষত্রেষ্টিত স্তব্ধ বাড়ীটি শুধু অজানা নয়, রহস্যময় ভীতিপ্রদ বলে মনে হ’ল। " - ঠিক সেই সময় পশ্চিমের মেঘস্তুপ ঠেলে স্বর্ঘ্যের সপ্তাশ্বচালিত বর্ণরথের রক্কিম আড়ার প্রকাশ হ’ল, তার অগ্নিৰ ক্ষের ছড়িতে চারিদিক উদ্ভাসিত হয়ে উঠল, ধুলে স্ক্রিীঙ্গে স্বাক্ষাশগ্রান্তর, কালে গাছের ডালের জায়, - ुन्न গোলাঙ্গ বঙ্গ ছাওয়া বাড়ির প্রবেশদ্বার, টলমল নী