পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

で宋堕愛 গু: ৩রা এপ্রিল)। শাহবাজ উদয়পুর এবং গোগুন্দ অধিকার করিয়া ছারখার করিলেন ; কিন্তু মহারাণ। কিছুতেই বশত্য স্বীকার করিবেন না । শাহবাজ খাঁ কিছুদিন পরে ক্লান্ত ও হতাশ হইয়া মেবার ত্যাগ করিলেন। এদিকে শাহবাজ খ্যার সৈন্য চলিয়া যাওয়া মাত্র প্রতাপ অধিকাংশ স্থান আবার অধিকার করিলেন । মন্ত্রী ভাম শাহ মালব লুট করিয়া ২০,০০০ মোহর ও ২৫ লক্ষ টাকা চুলিয়া গ্রামে মহারাণাকে মজর দিলেন । ইহার পর শিশোদিয়াগণ দিবের দুর্গ পুনৰ্ব্বার অধিকার করিল। দিবের হইতে বিজয়ী শিশোদিয়া কুন্তলমীর দুর্গ আক্রমণ করিলেন ; দুর্গরক্ষী মোগল-সৈন্যের প্রাণভয়ে পলায়ন করিল । এ সময়ে আকবর সীমাস্তবাসী ইউসুফঞ্জৈ পাঠানদিগের সহিত যুদ্ধে ব্যতিব্যস্ত ছিলেন। তিনি খান-থানান আবদুর রহিমকে মালব প্রদেশের স্ববাদার নিযুক্ত করিয়৷ সাম ও দান দ্বারা রাণাকে বশীভূত করিবার জন্ত পাঠাইলেন। মহারাণার মন্ত্রী ভাম শাহকে তিনি অনেক প্রকার লোভ দেখাইলেন । কিন্তু প্রতাপের দুর্জয় পণ অটল রহিল । ১৫৭৮ খৃ: ডিসেম্বর মাসে শাহবাজ খ৷ দ্বিতীয় বার মেবার আক্রমণ করিলেন । শত্রুসৈন্যেরা যাহাতে মেবারের নিকটবৰ্ত্তী স্থান হইতে রসদ সংগ্ৰহ করিতে না পারে সেজন্য মহারাণ আদেশ করিলেন পাহাড়ের তলভূমিতে কেহ কৃষি কিংবা পশুচারণ করিতে পারিবে না । কথিত আছে এ আদেশ অমান্য করার জন্য তিনি এক কৃষকের মাথা কাটিয়া ফেলিয়াছিলেন। শাহবাজ থা তিন চার মাস পর্যাস্ত প্রাণপণ করিয়াও কিছু করিতে পারিলেন না । ১৫৮৪ খৃঃ সম্রাট আকবর জগন্নাথ কচ্ছবাহকে অনেক সৈন্যের সহিত মহারাণার বিরুদ্ধে প্রেরণ করিলেন । দুই বৎসর প্রাণপণ চেষ্টার পর হতাশ হইয়া তিনিও মেবার ত্যাগ করিলেন । ১৫৮৬ খৃ: ) । মহারাণা এক বৎসরের মধ্যে ( ১৫৮৬ খৃ: ) চিতোর ও মণ্ডলগড় ছাড়া সমস্ত মেবার হস্তগত করিলেন। ইহার পরে জীবনের শেষ এগার বৎসর শাস্তিতে রাজত্ব করিয়াছিলেন । مخصصبحت م ميb হলদীঘাটের যুদ্ধ ও মহারাণ। প্রতাপের শেষজীবন وع (ميدواية রাজস্থানের চারণ-কাহিনী, যথা—ভীলদের আশ্রয়ে পৰ্ব্বতগুহায় বাস করিবার সময় ঘাসের রুটি খাইয়। মহারাণার জীবনধারণ, কন্যার জন্য রক্ষিত রুটি লইয়৷ বনবিড়ালীর পলায়ন, ক্ষুধাৰ্ত্ত বালিকার হৃদয়ভেদী চীৎকার, প্রতাপের পণভঙ্গ এবং মোগল-সম্রাটের অধীনতা স্বীকার করিবার ইচ্ছা প্রকাশ ; কবি পুর্থীরাজের কবিতাপাঠে প্রতাপের উদ্দীপনা ইত্যাদি সৰ্ব্বৈব মিথ্যা । প্রথমতঃ, উত্তরে কুম্ভলমীর হইতে দক্ষিণে ঋষভদেব পৰ্য্যস্ত অনুমান নব্বই মাইল লম্ব, এবং পূৰ্ব্বে দেবারী হইতে পশ্চিমে সিরোহী সীমান্ত পর্য্যস্ত সত্ত্বর মাইল প্রস্থ পাৰ্ব্বত্য ভূমি কখনও সম্পূর্ণভাবে প্রতাপের হস্তচু্যত হয় নাই ; এই স্থান সমতল না হইলেও স্বজলী, স্বফলা, এবং গরু মহিষ ইত্যাদিও এ অঞ্চলে প্রচুর। সুতরাং টড প্রতাপের যে-ছবি আমাদের সম্মুথে ধরিয়াছেন উহা নাটকীয় চরিত্রের প্রতাপ ; ইতিহাসের প্রতাপসিংহ মহেন । দ্বিতীয় কথা, পৃথ্বীরাজের কবিতা ইতিহাস নহে। পৃথ্বীরাজের কবিতার সহিত প্রতাপের পরিচয়, কাজী নজরুল ইসলামের কবিতার সহিত কামাল পাশার পরিচয়ের চেয়ে হয়ত কিঞ্চিৎ ঘনিষ্ঠ ছিল । সমসাময়িক কবির সমাদর হিসাবে পৃথ্বীরাজের কবিতার মূল্য থাকিতে পারে ; কিন্তু উহাতে ইতিহাস নাই । দুভাগ্যক্রমে এই কবিতাকেই গদ্যে পরিবর্তিত করিয়া অনেকে ইতিহাস বলিয়া চালাইয়া দিয়াছেন। টড সাহেব অন্যত্র লিখিয়াছেন, প্রতাপ শপথ করিয়াছিলেন যতদিন পর্য্যন্ত চিতোর উদ্ধার না হয়, তত দিন তিনি ও র্তাহার বংশধরেরা সোনা ও রূপার থালায় ভোজন করিবেন না ; ঘাসের বিছানায় শুইবেন, দাড়ি কামাইবেন না এবং নাকাড়া বাদ্য মেবার-বাহিনীর সম্মুখে না বাজিয়া পিছনেই বাজিবে । পণ্ডিত গৌরীশঙ্করজী বলেন, এই সমস্ত শুধু মনগড় কথা। উদয়পুরের মহারাণারা এখনও প্রাচীন প্রথা অনুসারে ভোজন করেন। ভোজন-স্থান ভাল করিয়া ধুইয়া উহার উপর ধোলাই সাদা কাপড় বিছানো হয়। ইহার উপর ছয় কোণ কিংবা চার কোণা নয় ইঞ্চি 警論