পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१S 8 S99$ు সরকারী কোন কোন লোকের টেরারিজ ম্ আছে কিনা বেআইনী অত্যাচার দ্বারা যদি কোন সরকারী লোক কার্য্য উদ্ধার করিতে চায়, তাহা হইলে আমরা সেই রকম লোককে সরকারী টেরারিট বলি। সৰ্ব্বসাধারণের এবং আমাদেরও বিশ্বাস এরূপ লোক সরকারী কৰ্ম্মচারীদের মধ্যে আছে । সম্ভবতঃ, সরকারী তদন্তের ফলে বঙ্গের গবর্ণরেরও ঐরূপ ধারণ জন্মিয়াছে—যদিও তিনি তাহ স্পষ্ট ভাষায় স্বীকার করেন নাই । তাহার সফর উপলক্ষ্যে একটি বক্তৃত হইতে উদ্ধত নিয়মুদ্রিত কথাগুলি আমাদের অকুমানের ভিত্তীভূত। “For a force which is primarily responsible for carrying out the law to lake the law into its own hands must always be indefensible. More than that. such lapses, if condoriod, won lil qu ekly mndermine and destrov the discipline and the morale of the force. Nothing in the nature of reprisa s will ever he to'erated so long as I am associa'ed with the Government of the province. যদি গবর্ণর বাহাদুর বুঝিয় থাকেন, যে, ঢাকা ও চট্টগ্রাম প্রভৃতি স্থানে কতকগুলা সরকারী লোক “প্রতিশোধ” "reprisals") লইয়াছে, তাহ হইলে অত্যাচারীদের শাস্তি এবং অত্যাচরিত সৰ্ব্বস্বাস্ত লোকদের ক্ষতিপূরণ হইবে কি ? ভারত-গবৰ্ম্মেন্টের নূতন ঋণ ভারত-গবন্মেণ্ট আবার ২৫ কোটি টাকা ঋণ লইতেছেন। অথচ, ভারতসচিব স্তর সামুয়েল হোর বলিয়। আসিতেছেন, যে, ভারতবর্ষের ক্রমশই অবস্থার উন্নতি হইতেছে। এরূপ ক্রমোন্নতি হইতে ভগবান আমাদিগকে রক্ষা করুন । খালাসের পর গ্রেপ্তার সম্প্রতি বাংলা গবন্মেন্টের অন্যতম সদস্য রীড সাহেব বলিয়াছেন, যে, বিচারের ফলে ম্যাজিষ্টেটু বা জজর যাহাদিগকে ছাড়িয়া দিয়াছেন, এরূপ ৪৫ জন লোককে পুলিস বঙ্গীয় সংশোধিত ফৌজদারী আইন অনুসারে গ্রেপ্তার করিয়াছে । ঐ আইন অনুসারে তাহ করা 畿 চলে বটে, কিন্তু বিচারে যাহারা খালাস পায়, তাহাদিগকে অব্যবহিত পরেই বিনাবিচারে গ্রেপ্তার করিলে কাৰ্য্যতঃ ইহাই বলা হয়, যে, জজ ম্যাজিষ্ট্রেটদের রায়ের কোন মূল্য নাই। এই প্রকারে পরোক্ষ ভাবে আদালতের প্রতি অশ্রদ্ধা উৎপাদন না-করিয়৷ যদি সকারণে বা অকারণে সন্দেহভাজন লোকদের বিচার ন|করাইয়৷ সোজাসুজি তাহাদিগকে আটক করিয়া রাখা হয়, তাহ হইলে আদালতগুলির সম্মান রক্ষা পায়। ডেটেলুদের ভাত বিনা বিচারে র্যাহাদিগকে বন্দী করিয়া রাখা হইয়াছে, র্তাহীদের মধ্যে শ্রযুক্ত যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত ও শযুক্ত শরৎচন্দ্র বসুকে যে ভাতা দেওয়া হয়, তাহার উল্লেখ করিয়া বিলাতে পালেমেণ্টে বকৃত দ্বারা এবং বিলাতে ও এদেশে ইংরেজদের খবরের কাগজের লেখা দ্বারা এই ধারণা জন্মাইবার চেষ্টা হইয়াছে, যে, ডেটেহুদিগকে খুব বেশী টাকা দিয় তাহাদিগকে ও তাহদের পরিবারবর্গকে যেন রাজার হালে বা জামাই-অাদরে রাখা হয় । কিন্তু সত্য কথা এই, যে, ঐ দুইজনকে যাহা দেওয়া হয় তাহ ছাড়া অন্তদের ভীতা সামান্ত, এবং ঐ দুইজন যাহ। তাহা তাহাদের রোজগার অপেক্ষ অনেক কম । সাধারণতঃ ডেটেল্পর যাহা পান, তাহাতে র্তাহাদের খরচ । কষ্ট্রে চলে। বিস্তর ডেটেমুর পরিবারবর্গকে সরকারী কোন ভাতা না দেওয়ায় তাহদের ভীষণ অন্নকষ্ট হইয়াছে, এবং র্যাহণদের পরিবারবর্গ ভাতা পান, তাহাও সামান্য । সমুদয় ডেটেমুর নাম, ভাত ও র্তাহাদের পরিবারবর্গের জনসংখ্যা ও ভাতার একটি তালিকা যদি গবন্মেন্টের নিকট হইতে পাওয়া যায়,তাহা হইলে এবিষয়ে সৰ্ব্বসাধারণের নিতুল ধারণা জন্মিতে পারে। বিনা বিচারে মানুষকে বন্দী করিয়া রাখিয় তাহার পোষ্যবর্গের ভরণপোষণের ব্যবস্থা না-করা কখনই ন্যায়সঙ্গত হইতে পারে না। বিদ্যাসাগর স্মৃতিসভা বাংলা দেশে এবং অন্যান্য প্রদেশেও মানুষের মন এখন রাজনৈতিক কারণে অশান্ত এবং অর্থচিন্তায় বিত্রত।