পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ꬃጫዕ গরিব, এদের যেখানে ধর সেইখানেই ঘর । এর খাচার পার্থী নয় ; বনের পার্থী। ভারী আনন্দ হ’ল এদের দেখে, তাই তাবুগুদ্ধ দুই-চারি জনকে স্কেচ ক’রে নিলুম। গাড়ী আবার চলল। বেলা আট্‌টার সময় গাড়ী থামল গিয়ে ঘাস রাওয়ালীদের উবু পাটনা শহরে । এখানে টাঙার প্রচলন বেশী, বাস, ট্যাক্সির সংখ্যা কম। টঙ ক’রে পিণ্ট হোটেলে গিয়ে ওঠ গেল । হোটেলটির একটু বিশেষত্ব আছে । সাহেবী ধরণে টেবিল, চেয়ার, ফুলগাছের টব প্রভৃতি দিয়ে সাজান, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ! হোটেলওয়ালা বাঙালী ভদ্রলোক । খাবার-দাবারও বাঙালী ধরণের—ভালই। এখানে একটা পাহাড়ী ময়না আছে। ময়নাটা ‘বন্দেমাতরম, ‘মহাত্মাকী জয়, 'দেশবন্ধুকী জয়’ বেশ বলতে পারে। যে-কয়দিন পাটনায় থাকা হবে, তা এখান থেকে উঠে গিয়ে রাজা রামমোহন সেমিনারীতেই কাটিয়ে দেওয়া যাবে ঠিক হ’ল । প্রকাগু হলঘরে দেয়ালের চারিদিকে ছবি টাঙানো, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। এই সেমিনারিটি পাটনা নিউ-সিটিতে অবস্থিত। এই নিউ-সিটিতে সরকারী বাড়িগুলো অতি সুন্দর, অথচ সাদাসিধে খরণের। খুব উচু উচু। সব বাড়িরই প্রবেশদ্বার দক্ষিণ মুখে, বাড়িগুলির রং হলদে। এ শহরে পিচের বড় রাস্তা বলতে একটি। এখানকার কলেজগুলিও বেশ, কলেজের ছাত্রদের ভিতর মুসলমানের সংখ্যাই বেশী। ছাত্রদের "প্রবাসী; S59శు খেলার মাঠ, জিমন্যাসিয়াম হল দেখলে বেশ আনন্দ श्१ ।। 源 এখানে দ্বারভাঙ্গার মহারাজার বাড়িটি বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য । গঙ্গার উপরেই এই বিশাল বাড়ি, দ্বারভাঙ্গার মহারাজার ঘাট, পাটন। বাড়িটিকে বহু অর্থব্যয় ক'রে কারুকার্যখচিত করা হয়েছে। এর পিছনে বাড়ির সংলগ্ন দ্বারভাঙ্গা মহারাজার ঘাট, ধাপে ধাপে নেমে গিয়েছে গঙ্গায় । পাটনায় গঙ্গার ধার অতি কদৰ্য্য । ইটের ফাক দিয়ে সব কাটা গাছ উঠেছে। বড় বড় নালা যত সব ময়লা দুৰ্গন্ধ জল কাদা নিয়ে গঙ্গায় এসে পড়ছে, এখানে সেখানে দু-একটা আধ-খেকো মরা, পচা কুকুর-বেরাল পড়ে রয়েছে, দুই একটা শব কাপড়ের পুটলির ভেতর পচে ফেঁপে যত রাজ্যের মাছি সংগ্রহ ক’রে গঙ্গার ধারে যে-জায়গায় জল কম সেখানে এসে লেগে রয়েছে । এরই মাঝখান দিয়ে গিয়েছিলুম প্রায় মাইলখানেক