পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

નાથ8 মহেন-জোদাড়ো ত আধুনিক স্থানীয় নাম মাত্র ; ইহার অথব। হরপপার কোন নাম যে তাহীদের আদি অধিবাসীরা ব্যবহার করিত তাহ আমরা জানি না। লিপি ও শাসনাদির অভাবে পাচ ছয় হাজার বৎসর মোহেন-জো-দাড়োতে খননকাৰ্য্য পূর্কের সিন্ধু তীরের ইতিহাস জাকিয়া ফেলা যেমন অসম্ভব হইয়া দাড়াইয়াছে, লেপ-চিত্রদির অভাবে তাহাদের জীবনযাত্রা প্রণালী অঙ্কনও তেমনি কঠিন হইয়া পড়িয়াছে। অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রমাণ একটি একটি করিয়৷ জোড়া দিয়া ধীরে চিত্রটি গড়িয়া তুলিতে হইবে। মোহেন-জো-দাড়োর মানুষ নিজেকে ও নিজের আশপাশকে রূপ ও ভূষণে সাজাইয়া তুলিতে চাহিত না বলিয়া, তাহাদের সেই অর্থে শিল্পী বলা চলে না। প্রাচীন মিশরের সমাধি, মন্দির এবং প্রাসাদাদিতে অঙ্কিত চিত্র ও ভাস্কৰ্য্য দেখিয় তাহদের ধৰ্ম্ম ও সংসার, শিল্প ও কারিগরী, এমন কি রুটি ও মদ তৈয়ারীর বিষয়ও জানা যায় ; আমাদের চোখের সম্মুখে বলিয়াই যেন গহনা গড়া, ঝুড়ি বোন, দড়ি তৈয়ারি চলিতেছে। স্থমার, আসিরিয়া ও বাবীলোনিয়াতে খোদাই কাজ, ভাস্কৰ্য্য, রঙ্গীন টালি ইত্যাদিতে তখনকার জীবনযাত্রা দেখা যায়। Tell Ubaid কুটিম চিত্রে (inlay) চাষী পিছন দিক হইতে গরু ছহিতেছে, কিশের (Kish) রাজা বঙ্গীদের তাড়াইয়া লইয়৷ যাইতেছেন ; উর-নযু ইটের ঝুড়ি লইয়া চন্দ্রদেবতার আদেশে মৃদির চুড়া গাঁথিতে চলিয়াছেন ; এবং আলিরিয়ান S509$ు রাজা শিকার করিতেছেন, শক্র আক্রমণ করিয়া যুদ্ধ তাহাকে পরাজিত করিয়া তাহার গায়ের ছাল তুলিয়া লইতেছেন। সিন্ধুতীরের নগরগুলির এ-সকল খবর কিছুই আমর জানিতে পাই না ; গৃহপ্রাচীরে লেপচিত্র এক সময় ছিল, এখন নষ্ট হইয়া গিয়াছে, এমন মনে করাও চলে না। মাঝে মাঝে দেয়ালের উপর পলস্তয়ার চিহ্ন আছে, কিন্তু তাহা বিশেষ উল্লেখযোগ্য নয় ; তাহাও লম্বা লম্বা টানা রঙের পোচ ছাড়া আর কিছু চিত্রে শোভিত কোথাও নহে। এক রঙের জমিতে অল্প রঙের জিনিষ বসাইয়া (inlay : ভূষিত করার প্রথা ছিল, কিন্তু নকসাগুলি সব জ্যামিতিক এবং বাক আসবাব ইত্যাদি শোভিত করিবার জন্তই কেবল ব্যবহৃত হইত। প্রাচীরে ইহার চলন ছিল না। ভাস্কৰ্য্য বলিতে মোটারকমের খোদাই মূর্তাি মাত্র আবিষ্কৃত হইয়াছে। পাথরের কাজে ইজিপ্ট ও আসিরিয়ার প্রাচীরচিত্রের শিল্পচাতুর্য্য ও নৈপুণ্যের কাছাকাছিও যায় এমন এখানে কিছুই নাই ; শীলখোদাইয়ে একমাত্র ব্যতিক্রম দেখা যায়। মাটির জিনিষের উপর পালিশের কাজ সিন্ধুতীরবাসীরা জানিত, কিন্তু ছোটখাট কুচো গহনা জীবজন্তুর মূৰ্ত্তি এবং inlay-এর টুকরা ছাড়া আর কিছুতে ইহা দেখা যায় না। সমুদ্ধির দিনে নগরটি বেশ বড় ও জমকাল ছিল বোঝা যায়। শহরে সর্বসাধারণের ব্যবহার্য্য প্রকাণ্ড প্রকাগু অট্টালিকা ও বেশ আরামদায়ক শক্ত শক্ত বাসগৃহ এক বর্গমাইল জুড়িয়া আছে। সরই পোড়া ইটের তৈয়ারী, মাঝে মাঝে কেবল পুরাণো ধ্বংসগৃহাদি কাচ। ইটে ভরাট করিয়া উচ্চ বেদী প্রস্তুত করা হইত, যাহাতে তাহার উপরে নিৰ্ম্মিত নূতন গৃহগুলি বারংবার জাগত বন্যার কবল হইতে উপরে থাকে। পথঘাট ও চত্বরগুলি এমন সযত্নে নক্সা কাটিয়া করা যে অট্টালিকাগুলি সৰ্ব্বত্রই