পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ পাণ্ডুয়া Óv® | অনুসারে মহাস্থান গড় বা বৰ্দ্ধনকোট, পৌণ্ডনগর হইতে भीtद्र न । মহস্থিান গড় বা বৰ্দ্ধনকোট, কামরূপ রাজ্য, কর্ণসুবর্ণ ও পাণ্ডুয়ার প্রাকৃতিক অবস্থান এবং বৌদ্ধ পরিব্রাজকের জীবনকাহিনী ও ভ্রমণবৃত্তাস্তের উপর নির্ভর করিয়া মহানন্দার তীরেই পৌণ্ড রাজ্যের রাজধানীর অবস্থান সম্ভবপর বলিয়া প্রসিদ্ধ ঐতিহাসিক স্বৰ্গীয় অক্ষয় কুমার মৈত্রেয় মহাশয় । স্থচিন্তিত যুক্তিতর্কের অবতারণা করিয়াছেন।* ইহা ছাড়া পাণ্ডুয়াকে তন্নতন্ন করিয়া খুজিলে ভ্রমণকারী লিখিত পৌণ্ড রাজ্যের বাজধানীর অনেক দৃশ্য এখনও পাওয়া যায়। হিউএনসাংএর বৃত্তাস্ত অনুসারে – “পুণ্ড রাজ্যের বেষ্টন ৪০০০ লি, রাজধানীর বেষ্টন ৩০ লি। রাজ্যটি ঘনবসতিসম্পন্ন। রাজধানীতে জলাশয়, রাজকাৰ্য্যালয় ও পুষ্পোদ্যান সকল শ্রেণীবদ্ধভাবে সন্নিবিষ্ট ছিল। রাজ্যের ভূমি সমতল, বালুক ও কঙ্করময়, রাজধানীতে ১০০ হিন্দু দেবালয় আছে। রাজধানীর ২০ লি অস্তরে রাশিভা সঙ্ঘারাম, তাহার অদূরে অশোকস্ত প।” মহানন্দাতীরস্থ ধনামনার টিলাকে অশোক স্তুপ বলিয়া কেহ কেহ আঠুমান করিয়া থাকেন ; তাহা ছাড়া অধুনা পাণ্ডুয়ার নানা স্থানে পরিভ্রমণ করিয়াপ্রাচীন নগরের চতুদিকে পরিখাবেষ্টিত একটি বৃহৎ বাধ পাওয়া গিয়াছে। ইহ বহিঃশত্রুর আক্রমণ হইতে নগর রক্ষার দুলৰ্ভঘ্য গড়, তৎপর উচ্চ প্রাচীর । গড় এখন ভরাট হইয় আবাদে।পযোগী হইয়াছে ; কিন্তু তথাপি ইহা দেখিলেই একটি খালের স্থায় প্রতীয়মান হয়। বাধ বরিজপুর প্রভৃতি গ্রাম এখনও অত্যুচ্চ কিন্তু শ্বাপদসঙ্কুল জঙ্গলে পরিপূর্ণ হইয়া গিয়াছে। স্থানে স্থানে ইচ্ছ। কতকটা সমতল করিয়া লোকে রবিশস্ত উৎপন্ন করিয়া থাকে। দুই একটি স্থানে সাওতালের বাসস্থানও হইয়াছে। পরিখাটি ভরাট হইলেও এই বাধের উপর দাড়াইলে স্পষ্ট চেনা যায়। ঘুরিতে ঘুরিতে পারাহার গ্রামের একস্থানে এই পরিখা সমতল এবং প্রাচীরটিও ভগ্ন অবস্থায় দেখিলাম । অমুসন্ধিৎস্বচক্ষে বিশেষ পর্যবেক্ষণের ফলে ইহাই নগ্নরের

  • “ভারতবর্ষ ১৬৩৭ সালের জাষাঢ় সংখ্যা ষ্টেৰ্য ।

একমাত্র প্রবেশ দ্বার ছিল বলিয়া দৃঢ় ধারণা জন্মিল । তোরণদ্বারের ভগ্নাবশেষ উচ্চ ইষ্টক-স্তুপ সে ধারণা বদ্ধমূল করিয়া দিল। এই তোরণ হইতে পূৰ্ব্ব দিকে রাণীগঞ্জ পর্য্যস্ত একটি ইষ্টকনিৰ্ম্মিত রাজবত্ব বরাবর চলিয়া গিয়াছে। একলক্ষ্মী মসজিদ পারাহার, ছুটীকান্দর, ছয়ঘাটা এবং তাতিবাড়ি প্রভৃতি গ্রামের মধ্যে উক্ত পাকা রাস্তার চিহ্ন পাওয়া যায় । এই ফটকের সোজাসুজি পশ্চিমে নগরের প্রাচীরের প্রায় মধ্যস্থলে বৃহৎ পরিখা এবং অত্যুচ্চ প্রাচীরবেষ্টিত রাজপ্রাসাদের ধ্বংসাবশেয বিদ্যমান। ল। জপ্রাপদ হইতে নগর প্রাচীর উত্তরে দুই মাইল, দক্ষিণে তিন মাইল, পূৰ্ব্বে দুই মাইল এবং পশ্চিমে তিন মাইল দূর হইবে । রাজবাড়ির চতুপাশ্বের পরিখা এখনও বর্তমান আছে। কিন্তু স্থানে স্থানে উহ। সঙ্কীর্ণ হইয়া গিয়াছে। পরিখার পর উচ্চ বাধ তার পর সমতলক্ষেত্র তৎপরে উচ্চ সমতল ক্ষেত্রের উপর রাজপ্রাসাদ । প্রাসাদের চারিদিকে ইষ্টকনিৰ্ম্মিত তিন-চার হাত প্রশস্ত প্রাচীর। তাহা স্থানে স্থানে ভগ্নাবস্থায় আছে এবং স্থানে স্থানে ভিত্তিমাত্রে পর্য্যবসিত হইয়াছে। কালচক্রে এই স্থান এখন ক্রমে সাওতালের বসতি হইতে চলিয়াছে। রাজবাড়িতে তিনটি বৃহৎ দীর্থিক আছে, দুইটি প্রাসাদ প্রাচীরের অভ্যস্তরে,অপরটি পরিখা প্রাচীরসংলগ্ন । শেষোক্ত দীঘিকা নকিশার দীঘি বলিয়া পরিচিত। উৰুলির দৈর্ঘ্য অনুসারে এই দীর্ঘিকাগুলি হিন্দু কর্তৃক খনিত