পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vờứ& ত সে উল্লেখ করিতে পারে না। প্রতাপের সমস্ত আচরণেই যামিনীর আশা গাঢ়তর হয়, কিন্তু আশা ७ छिब्रकांजई कूशकिनैौ । निब्रांजांग्र श्रांशां★ कब्रियाब्र थानिकüी अञ्चड: शविषां *ॉईंटल थिनिषप्ने भश्छ झ्हेम्नां यांनिऊ श्ब्रङ, किङ्ग कि कब्रिध्ना डांशंब्रझे बां यायश করিবে, তাহাও যামিনী স্থির করিতে পারে না। উপলক্ষ্য কষ্টি করিয়া সে দু-একবার প্রতাপকে নিমন্ত্রণ করিতে পারে, কিন্তু তাহা কি লোকের চক্ষে বড় বেশী করিয়া পড়িবে না? সম্ভাবনাতেই যামিনী শিহরিয়া উঠিল, লোকের কথা জিনিষটিকে সে বমের মত ভয় করিত। চিঠিপত্র লেখা যায়, কিন্তু তাহারই বা উপলক্ষ্য কই! প্রতাপের মনোভাব যামিনী যদি ভুলই বুঝিয়া থাকে, তাহা হইলে নিজের প্রগস্ভতার লজ্জা সে রাখিবে কোথায় ? কিন্তু নিজের হৃদয়াবেগের নিকট নিজেই সে পরাস্ত হইতে বসিয়াছিল। এত অশাস্তি, এত দুঃখ কেন তাহার অদৃষ্টে? ভগবান কি তাহাকে পথ দেখাইয়া দিতে পারেন না ? কোন দিক সে রাখিবে ? পিতামাতার মনে আঘাত দিয়া নিজের হৃদয়াবেগের অনুসরণ করিবে না নিজেকে বঞ্চিত পীড়িত করিয়া আত্মীয়স্বজনের ইচ্ছার কাছে নিজের হৃদয়কে বলি দিবে ? খানিকক্ষণ অস্থিরভাবে ঘুরিয়া বেড়াইয়া, সে টেবিলের কাছে চেয়ার টানিয়া বসিয়া পড়িল । চিঠির কাগজের প্যাড এবং কলম বাহির করিয়া মাকে চিঠি লিখিতে আরম্ভ করিল। কিছুই গুছাইয়া লিখিতে পারে না, মনটা এমন বিচলিত হইয়া আছে । কোনোমতে তিনি ষে কয়টা কথা জানিতে চাহিয়াছিলেন, তাহার উত্তর দিয়া সে চিঠি শেষ করিল। খামের ভিতর কাগজ ঢুকাইয়া দিয়া বেশ গোটা গোটা করিয়া শিরোনামা লিখিল । তাহার পর খানিকক্ষণ এ-বই সে-বই লইয়া নাড়াচাড় করিল, কোনোখানা খুলিয়া পড়িবার উৎসাহ কিছুতেই সঞ্চয় করিতে পারিল না । মনে মনে ভাবিল, “এই রকম হ’লেই, আমার পরীক্ষা পাস করা হয়েছে আর কি ?” মা তাহাকে রাখিয়া গেলেন পড়াশুনার স্ববিধার জন্ত, কি জুবিধাই না তাহার হইতেছে । ইহার চেয়ে তাহার a{2ial:|} S99āు गएक कृजिल्ला cभंट्णहे कि खोज इहेड न ? भने किरू সায় দিল না । কিছুক্ষণ শুধু শুধু বসিয়া থাকিয়, আবার সে চিঠির কাগজের প্যাডটা বাহির করিল। একমনে খানিকক্ষণ লিখিল । এই তাহার প্রথম প্রণয়লিপি, কিন্তু ইহা কোনোদিন কাহারও নিকটে সে পাঠাইতে পারিবে না । চিঠিখানা শেষ করিয়া আবার সমস্তটা পাঠ করিল। নির্জন ঘরে একলা বসিয়াই তাহার লজ্জা করিতে লাগিল, চিঠিখানা একবার ছিড়িয়া ফেলিতে গেল। কিন্তু প্রাণ ধরিয়া ছিড়িতে পারিল না, কাগজগানা প্যাড হইতে খুলিয়া লইয়া দেরাজের সব কাগজপত্রের তলায় লুকাইয়া রাখিল । তাহার পর আবার উঠিয়া গিয়! জানালার ধারে দাড়াইয়া রহিল । মনের ভিতর কত ভাবের তরঙ্গ যে আছাড় খাইতে লাগিল, তাহার ঠিকানা নাই । যামিনীর এমন কেহ বন্ধু নাই, যাহার নিকট এ কথা সে বলিতে পারে। বেদনার ভারে হৃদয় যেন ফাটিয়া পড়িতে চায়। প্রতাপ কি কোনোদিন মুখ ফুটিয়া কিছু বলিবে না ? হঠাৎ অস্ফুটম্বরে বলিল, “ন, তার টাকা দিয়ে দিই, হয়ত কত অস্থবিধে হচ্ছে। দরজীকে টাকা পরে দিলেও চলবে।" আবার সে দেরাজের কাছে ফিরিয়া গেল। আবার চিঠির কাগজ, খাম বাহির করিল। এবার আর প্রণয়লিপি নয়। সাধারণ একটি ক্ষুদ্র চিঠি । প্রতাপকে বইগুলি কিনিয়া দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ দিয়া যামিনী নোট দুইখানি নিপুণভাবে ভাজ করিয়া চিঠির ভিতর প্রবেশ করাইয়া তবে খামে বন্ধ করিল। বাহির হইতে দেখিয়া বুঝিবার জো নাই যে, খামের ভিতর চিঠি ছাড়া আর কিছু আছে। বসিয়া বলিয়া অনেকক্ষণ ধরিয়া খামের উপর প্রতাপের নাম লিখিল । ঠিকানা কিছু লিখিল না, প্রতাপ যখন বিকালে মিহিরকে পড়াইতে আসিবে, তখন চাকর দিয়া তাহার কাছে পাঠাইয়া দিবে। একটু কিছু করিতে পাইয়া যেন যামিনীর মনটা শাস্ত হইল, সে তখন রান্নাঘরের তদারক করিতে একবার নীচে নামিয়া গেল । মিহিরের স্কুলে যাওয়ার আগে রোজ একট-ন-একটা