পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سواسی وك\ ধ্বসবাস : :

  • S99ab

অজয় যেখানে বসিয়াছে সেখান হইতে তাহার মুখ দেখিতে পাওয়া যাইতেছে না। বিমানের সঙ্গে সিড়ি উঠতে উঠিতে যন্ত্রসঙ্গীতের অস্ফুট গুঞ্জন শুনিতে পাইয়াছিল, তাহার প্রবেশ করিবার সঙ্গে সঙ্গে তাহ থামিয়া গিয়াছে, স্বছ কথার গুঞ্জন উঠিতেছে । যাহার কথা বলিতেছে তাহারা মোটামুটি দুই দলে বিভক্ত হইয়া বসিয়াছে। ফরাস ঘিরিয়া তিন দিকের দেয়ালের গা ঘেষিয়া কুড়ি-পঁচিশটি বেতের তৈয়ারী আসন, শুভ্ৰ লেসের আস্তরণে ঢাকা । এক কোণে একখগু শুভ্র বস্ত্রে আচ্ছাদিত টিপয়ের উপর বড় পিতলের বাটিতে একরাশ টকটকে লাল গোলাপ | প্রায় সব-কাট আসনই খালি । অজয় যেদিকে বসিয়াছে, সেদিকে একসারে আরও চারিজন যুবক এবং হলের একেবারে দূরতম প্রান্তে পিয়ানোর সব-চেয়ে কাছের আসনগুলি অধিকার করিয়া বিভিন্ন বয়সের কয়েকটি মহিলা বসিয়া আছেন। কিন্তু বাহিরে গাড়ী-বারান্দার ছাতে আধ-অন্ধকারে যাহারা পায়চারী করিয়া বেড়াইতেছে তাহারা সংখ্যায় কম নয় এবং চকিতদৃষ্টিতে একবারমাত্র চাহিয়াই অজয় বুৰিতে পারিল, তাহারা সকলেই তরুণী। সেদিকৃ হইতে মুছ কিন্তু অজস্র হাসি দিয়া মণ্ডিত কোণ গোপন রসালোচনার রেশ রহিয়া রহিয়া ভাসিয়া আসিতেছে। হলের ভিতরের দিক্কার একটা ঘর হইতে মাঝে মাঝে মুভজের উচ্চ কণ্ঠস্বর কানে আসিতেছে, বুঝা যাইতেছে সেখানে যুবকদের ভিড় । অজয়ের মনে পড়িল, কলিকাতায় আসিয়া অবধি এই স্থানটির কথা স্বভত্রের কাছে কয়েকবারই সে গুনিয়াছে। সমাজ-শ্রোতকে স্বস্থগতিতে প্রবাহমান রাখিতে হইলে স্ত্রীপুরুষের অবাধ কিন্তু বিধিবিহিত মিলনের ধারায় প্রতিপদে তাহার পরিপুষ্ট থাকা আবগুক, তর্কের ক্ষেত্রে চিরকালই অজয় তাহা স্বীকার করিত ; কিন্তু স্বভদ্রের আগ্রহাতিশয্য সত্ত্বেও তাহার সঙ্গে তাহার এই নব-প্রতিষ্ঠিত ক্লাবটিতে আসিতে কিছুতেই সে রাজি হয় নাই। দেনা-পাওনার হিসাবে গোল বাধিয়াছে। এই স্থানটিতে মনের খোরাক নিজে অত্যন্ত বেশী পাইৰে আশা করিতেছিল বলিয়াই প্রতিদানে বেণী-কিছু ষে দিতে পরিবে না এই সঙ্কোচ তাহার বড় হইয়াছে। কিন্তু এই নাকি স্ত্রীপুরুষের বিধিবিহিত মিলনের নমুনা ? इ,ि इब्रि ! अथरबब्र चनङाख मूरिउस श्ख्द्रजब्र अज्र আগ্রহাম্বিত সমাজস্থষ্টিপ্রয়াসের নিষ্ফলতা অত্যস্ত হাস্যকর কিন্তু করুণ হুইয়া ধরা পড়িল । একটি অপরিচিত যুবক ভিতরের দিক হইতে আসিয়া তাহার পাশের আসনটি অধিকার করিয়া বলিয়-পড়িল, কহিল, “বিমানবাৰু আপনাকে পৌঁছে দিয়েই সরে পড়েছেন বুঝি ? ওঁর ঐরকম স্বভাব। বাইরে গাড়ী-বারান্দার ছাতে বেড়াচ্ছেন বোধ হয়, ডেকে দেব ?” ভাল করিয়া তাহার দিকে না চাহিয়াই অজয় কহিল, “থাক্ দরকার নেই।” যুবক কহিল, “আপনার সঙ্গে আমার পরিচয় নেই, যদিও আমি আপনাকে খুব ভাল ক’রেই জানি। আমার নাম রমাপ্রসাদ ঘোষ। আমাদের এই ক্লাবটা হয়ে এই একটা লাভ হ’ল দেখুন, আপনার সঙ্গে পরিচয় হয়ে গেল, যা আর কোনও রকমে হবার বোধ হয় কোনও সম্ভাবনা ছিল না।” श्रखटग्रब्र भनछै। ७८कबां८ब्रहें डिछिब्रl cश्रांज, cछब्रांब्रüां८क অল্প একটু টানিয়া রমাপ্রসাদের দিকে ঘুরিয়া বসিয়া বলিল, “ক্লাবগুলোর এই একটা মস্ত সুবিধা আছে বটে। কিন্তু আপনাকে এর আগে কোথায় দেখেছি বলুন ত ?” রমাপ্রসাদ কহিল, “কোথাও দেখেছেন কিনা বলতে পারব না, দেখলেও লক্ষ্য করেননি নিশ্চয়ই, আপনাকে দু-একবার আমি দেখেছি। তাছাড়া কাগজে আপনার লেখা পেলেই আমি পড়ি । আৰ্য্যাবর্তের সভ্যতার ইতিহাস বিষয়ে আপনার কতগুলি ধারাবাহিক প্রবন্ধ গত বৎসরের ষোড়শীতে বেরিয়েছিল, সেগুলি যে আমার কি ভাল লেগেছিল তা আর কি বলব! কি নাম যেন ছিল প্রবন্ধগুলোর—‘জার্ধ্যাবর্তের সভ্যতার পূর্বাভিমুখীনতা' না ? কেলে স্নবিড় আর খ্যাদা তিব্বতী-বর্মী খিচুড়ি পাকিয়ে বাঙালী জা”ত তৈরি হয়েছে,ছেলেবেলা থেকে এই ত কেবঃ শুনে আসছি, কিন্তু ভারতের বহুপ্রাচীন আৰ্য্যসভ্যতার আমরা বাঙালীয়াই যে সত্যিকারের উত্তরাধিকার’