পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SసెN9 ASA SSASAS SS SAAAAS AAASASASSMAeMAAAS —হাসালে তুমি, অমন কাও এদেশের নাটঙ্গালার রঙ্গমঞ্চে ছাড়া আর কোথাও হয় না । ঘর পরিষ্কার করে পথে বেরিয়ে-পড়তেই আমি বল্লুম-কিন্তু একটু ত জল ধাওয়া হলো না। —জলতেষ্টা পেয়েছে ? চলো সম্নের বাড়ী যাওয়া যাক । —ওই বাড়ীটায় ? ঠিক যেন মধ্যযুগের ব্যারনদের ক্যাসল ?—জানাশুনো আছে ? –নাই বা রইলো ! —নাই বা রইলো —trespass হয় যদি ? —কি ? কি বলে ? –trespass–etafortą-z{(x" | —ও, মনেই থাকে না তুমি বিদেশী –এদেশে কার Lfশ অধিকার বা কৰ্ত্তব্য তা কেউ জানে না, তাই নিয়ে তর্কসভা ডাকৃতে, কমিটি কমিসান বসাতে বা বড় বড় পুথি রিপোর্ট লিখতেও হয় না –সবাই আনন্দে কাজ করে যায়—যার যখন যা ইচ্ছে হয় —আমাদের জীবনের একটা principle, Goss FTSE-fT ! —আমার বন্ধু, খুলি হচ্ছে ওই যে মেয়েটা সবুজ ঘারা ঘোরাতে ঘোরাতে বাকৃড়া ঝাকৃড়া চুল দুলিয়ে লোহার চাকাটা বে। বে করে' চালিয়ে চলেছে, ওর সঙ্গে একটু চাকা ঘোরাই। —ত চলে না! বা এই যে দুখান৷ চাকা পড়ে রয়েছে, কাটি স্বস্তু-চলো— সত্যিসত্যিই দুজনে দুখান৷ চাকা ঘোরাতে ঘোরাতে চলুম। সবচেয়ে আশ্চর্ঘ্য এই, রাস্তার কোণে বেণুবনের তলায় যে ভট্টাচাৰ্য্য-পণ্ডিতেরা প্রবীণাদের সঙ্গে বসে গল্প কবৃছিলেন, তারা একটুও আপত্তি জানালেন না, একটু ভ্ৰকুটিও কবুলেন না । চাকা ঘোরাতে ঘোরাতে আমরা এক বড় রাস্তায় এসে পৌঁছুলুম। বন্ধুর চাকাটা বলে উঠল—এবার আমরা দোকানে রাস্তায় এসে পড়েছি! স্বাক্ষার্থ এদেশের মেয়ের, এরা লোহার চাকা থেকে নিটি কথা বের করতে পারে। -- - চাকা ঘোরাতে ঘোরাতে বন্ধু এক লাল কাচের প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩২৯ [ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড বাড়ীতে ঢুকে পড়ল। এ বাড়ীগুলোর কোন দরজালাগানে নেই, দরওয়ানও নেই। আমিও বন্ধুর পেছন পেছন গিয়ে সবুজ মখমলে মোড় ঘরে চাকাস্থলু ঢুকে ভারি অপ্রস্তুতে পড়লুম, ভাবলুম এবার বুঝি দোকানের লোকগুলো তেড়েই আসে। কিন্তু একটি যুবক ও নারী হাসতে হাস্তে আমাদের দিকে অগ্রসর হলো দেখে ভরসা হলো। একজনের সাজ লাল সিন্ধের, রাজপুতের মতো ; আর একজনের সাজ ইরাণী সুন্দরীর মত। আমার তরুণী বন্ধু চাকাটা গলায় মালার মত ঝুলিয়ে তাদের দিকে এগিয়ে যেতে যেতে হেসে বল্লে—আজকের রাতে কি সাজ করা যায় বল. তে রাজপুত ? –তুমি যেরকম চাক ঘোরাতে ঘোরাতে এলে, আজ জিপিআর সাজ পরো । —আচ্ছ বেশ । আমার এই নতুন বন্ধুকে একটি বেশ ভালো সাজ দাও । এর গান্ধীর খদ্দর পছন্দ হচ্ছে না। ’ ইরাণী বল্লে—আচ্ছা একে বেদুয়িন সর্দার সাজিয়ে দিচ্ছি । —আচ্ছ তাই, তা হলে শীগ্‌গীর আমাদের দাও । , আমি দেখলুম, বড় ঘরের চারদিকে কত রংয়ের কত রকমের সাজসজ্জা টাঙ্গানো, যেন একটা বড় সিনেমা কোম্পানির গ্রীনূরুম। আফ্রিকার অসভ্যদের সাজ, গ্রিন্থ ল্যাণ্ড-বাণীদের সাজ থেকে চীনে জাপানী কতরকমের সাজসজ্জা। বন্ধুটি বক্সে—এই দুইজনের পৃথিবীর সকল দেশের সকল যুগের সাজসজ্জা সম্বন্ধে জ্ঞান অদ্ভুত। বন্ধু জিপি-তরুণী সাজলে, রক্তের মত লাল মধূমলের ঘাঘরা, উষার মত অরুণ-বরণ সিন্ধের জাম, তার ওপর সমূত্রের মত নীল ওড়নায় তারার মত হীরের কুচি জলছে, মুক্ত বেণীর সঙ্গে রক্ত-গোলাপের মালা জড়ানো। বেদুয়িনসর্দারের জমৃকালে সাজটা পরে আমি এতই অভিভূত হয়ে পড়েছিলুম যে পুরানো জামাকাপড়ের কথা মনে ছিল না। জিঙ্গি স্বন্দরী বল্লে—বেশ সাজ হয়েছে তোমার, চলো। তখন মনে পড়ল পকেটে যে অনেক টাকা ছিল। তাড়াতাড়ি খন্দরের পাtাবীটা ইরাণীর হাত থেকে ছিনিয়ে পকেট থেকে নোট টাকা বের করতে কবৃতে, বন্ধুম—কত দাম দিতে হবে এর, সাজের কত দাম ?