পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৫৪ প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩২৯ [ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড চরকা ও একশত তাত চলিতেছে। সপ্তাহে পাচ মণ এবং করিয়া জানিলাম চোঁদ-ছটাৰী এক কোঁটার তিন টাকার SBBB BB BB BB tD DDDDS BBBD BBB BD BBBB SBBBDD BBB BD DDDD kBBBBB BBB DDDD DBBDD S BBBBS BB BBB BBS D DD BBBB BB BBB yB BBB BDD SDDDD DDD DDDDD DDD BeSBDG GtDD DDD B DDSDDSBB DDDDD তাতে দৈনিক পাঁচসিক রোজুকার করিতে পারেন। আজ সংস্কার এবং বিকৃত রুচি। মুড়ি এবং নোলেন গুড় কাল বি-এ, এম-এ, পাস করিয়া চাকরী লাভের জন্ত ধে ছর্ভোগ ও লাঞ্ছনা সদ্ধ করিতে হয়, তাহাতে স্বাধীনভাবে ঘরে খাইয়া, দৈনিক পাঁচসিক রোজুকার নিতান্ত উপেক্ষার যোগ্য নহে। গৃহলক্ষ্মীগণ যদি দিবানিদ্রা, পরচর্চা ইত্যদি একটু ছাড়িয়া এ বিষয়ে মনোযোগী হন, তাহা হইলে এই আয় ঘরে ঘরে হইতে পারে এবং দেশের শোচনীয় .বৃন্ত্রসমস্যার সমাধানও যুগপৎ হয়। বাংলাদেশে প্রতিবৎসর অনূ্যন ২-২৫ কোটা টাকার বিদেশী বস্ত্র বিক্রয় হয় । ধিনি একজোড়া বস্ত্র ক্রয় করিলেন, তাহার স্মরণ রাখা কৰ্ত্তব্য যে তিনি তাহাতে বিদেশে ৩/৪৷৫ টাকা মনিঅৰ্ডার করিয়া পাঠাইলেন। এই প্রকারে বিজ্ঞহীন দরিদ্র দেশ হইতে বস্ত্রের জন্য আমরা সম্বৎসর ২২• কোটা টাকা যেন বিদেশে হেলায় নিক্ষেপ করিয়া আসিতেছি । সহরে অর্থ উপার্জনের জষ্ঠ মাহুষের সরল জীবনগতি ক্রমশই জটিল হইয়৷ পড়িতেছে। অর্থাগমের অপেক্ষাকৃত স্থবিধা বশতঃ বিলাসিতাও সহরে অধিক। সহরে স্বামী ও পুত্রগণ বেশী অর্থোগার্জন করিয়া থাকেন। স্বতরাং সহরের রমণীগণের আলন্ত ও বিলাসিত বেশী হওয়া বিচিত্র নয়। তাই আমি গ্রামে গ্রামে মা-লক্ষ্মীগণের নিকট চর্কার ধার্তা প্রচারে বাহির হইয়াছিলাম। গৃহলক্ষ্মীগণ যদি মোটা কাপড় পরিয়া অগ্রসর হইয়া স্বামী ও পুত্রগণকে লঙ্গ দেন,তরে এ শ্লোত, ফিরাইতে বেগ পাইতে হইবে না। কলিকাতা বাংলা দেশে রূচি ও শিক্ষার আদর্শস্থান। কলিকাতাবাসিনীগণের দায়িত্ব কৃত্ব গুরুতর, তাহ স্মরণ রাখা কৰ্ত্তব্য. কেননা তঁহাদেরই প্রবর্তিত ফ্যাশন স্বদুর পল্লীগ্রান্তে প্রভাব বিস্তার করবে। মানুষের স্বভাবই গতানুগতিকতা। তাই ফ্যাশুনের প্রতাপ এত বেশী । সেদিন মফঃস্বলে এক ভদ্র গৃহস্থের বাড়ীতে চায়ের সঙ্গে হান্ট লী পাম্বারের বিস্তুট দেখিয়া-প্রখ দিয়া কে আজ অতিথি সংকার করিতে সাহসী হইবেন ? বাহিরের চাক্‌চিক্যের মোহে, আমরা ভিতরে ঢু চোর কীৰ্ত্তন হইলেও বাহিরে ক্টোচার পত্তন করিতেছি। সকলেরই স্বামী এমন অনেক কিছু রোজগার করেন না। সীমস্তিনীগণ “মিহির উপর খাপী” না হইলে বস্ত্র পরিধান করিতে লজ্জা বোধ করেন। এই প্রসঙ্গে বলা প্রয়োজন মনে করিতেছি যে বিলাতী স্বতায় প্রস্তুত,স্বল্প দেশী ধুতি স্বদেশীবন্ত্র বলিয়া পরিগণিত হইতে পারে না। বঙ্গললনাগণ কি ওজনে ভারী বলিয়া তাহাদের সৰ্ব্বাঙ্গের অলঙ্কাররাশি ফেলিয়া দেন ? সৰ্ব্বাঙ্গে অলস্কারের ভার বহন করা যদি ক্লেশকর না হয়, তবে মোটা খন্দর বসন পরিধানে কেন কষ্ট হইবে ? এই সমস্তেরই মূলে দেখি ফ্যাশান। তাই বলিতেছি, আপনার পূর্বাসিনীগণ আপনার পথপ্রদর্শন করুন। এ দায়িত্বভার আপনাদের । উচ্চশিক্ষিত অবস্থাপন্নগণই সমাজের সর্ববিধ আন্দোলনের নেতৃত্ব করেন। যুদ্ধারম্ভে ইংলণ্ড হইতে সৰ্ব্বাগ্রে কেন্থিজ অক্সফোর্ডের বনিয়াদী আভিজাত্যাভিমানী ঘরের পুত্রগণই রণক্ষেত্রে জীবন দান করিতে অগ্রসর হইয়াছিলেন। শ্রমজীবী কিম্বা অন্ত সম্প্রদায় হইতে এ আন্দোলন উখিত হয় নাই। দেশের সৰ্ব্ববিধ কল্যাণীর আন্দোলন সমাজের উচ্চস্তর হইতেই নিম্নস্তরে আসিয়াছে। তাই কলিকাতাবাসী সমবেত মহিলাবৃন্দের প্রতি আমার অনুরোধ তাহারা যেন তাঁহাদের দায়িত্ব স্মরণ করিয়া এ দিকে একটু মনোযোগ প্রদান করেন। কেননা তাদের স্মরণ রাখিতে হইবে, অর্ধশিক্ষিতা পল্লীগ্রামের ভগিনীগণ র্তাহাদিগকেই অল্পকরণ করিবেন। "আজ আমি সেই স্বদিনের প্রতীক্ষায় জাছি যখন প্রষ্টি পল্লীতে তাত চলিযে, মধ্যবিত্ত গৃহস্থগণের সন্তানগণ বৃথা আত্মমর্ধ্যাদার মোহে জীবনে শ্রেয়কে বরণ করিতে কোন কুষ্ঠা বোধ করিবেন - গৃহের আনন্ম বালক-বান্ত্রিকা