পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা 1 SAeAeAAASAAAAASA SAASAASAASAASAAAS ----- আমরা নগরবাসী শুনি, বলিও, আমাদের দেশ গরীব। কিন্তু সবাই যে কথাটার মম হৃদয়ঙ্গম করি, তা নয়। ধারা গ্রামে থাকেন না, গ্রামবাসীর স্বখদুঃখের ভোগী নহেন, তারা দারিদ্র্যের মাত্রা পাইবেন না । কথায় বলে, যা কষ্ট অন্ন-বন্ধের । এই কষ্টের তুল্য কঃ আর নাই। রোগের যন্ত্রণা, চিকিৎসার কষ্ট, ঔষধ অপ্রাপ্তির দুঃখ, প্রত্যহ পাই না। “পাই না” বলিতেও পারি না। দেশ যে উজাড় হইতে চলিয়ছে, লোকে যে অকালে মরিতেছে, সে কি কেবল আগন্তু মালেরিয়া ও কলেরার আক্রমণে ? পথ্য বিনা লোকের আয়ু কমিয়া গিয়াছে, শরীর দুর্বল হইয়াছে, রোগও প্রবল হইয়াছে। দেশের ছয় আনা লোক দুই বেলা পেট ভরিয়া খাইতে পায় কি ন সন্দেহ। আট আনা খাইতে পায়, কিন্তু, বলকর ও পুষ্টিকর আহার পায় না। নূন-ভাত ও শাগ-ভাত দুই বেলা দুই থালা পাইলেই বীর্য ও আয়ু রক্ষিত হয় না। যাক, সে অনেক কথা । এক রাজপুরুষ অঙ্ক কষিয়া আমাদের বাধিক আয় ২৮২ টাকা স্থির করিয়াছিলেন। শুনিতেছি, এই আয় হইতে ৭২ টাকা ইন্‌কম টেক্স দিতে হয়। বাকি থাকে ২১২ টাকা। চারানিতে আমাদের প্রত্যেকের আয় এই ,াড়ায়। কিন্তু বাস্তবিক কাহারও আয় বেশী, কাহারও কম। যদি কাহারও আয়২ ১০২ টাকা হয়, তাহা হইলে অন্য দশজনের আয় ০ । যদি২ ১০০ টাকা হয়, শতজনের আয় কিছুই থাকিবে না। ব্যবসাই ধরি, বাণিজ্যই করি ; হাকিমই হই, ওকালতি বেরেষ্টারি করি ; ২১২ টাকার উপর এক পয়সাও আসে না। যদি মাসে ২০ টাকাও ধরি, টাকায় ৬ সের দরে ১৫ সের চলের দাম । যার ভাতই এক সম্বল, আধ সের চাঁলে তার দিন চলে না। তথাপি দেখিতেছি, আমাদের মাত্র চলের পয়সা আছে। অপর কিছুর নিমিত্ত এক পয়সাও নাই। যদি কাপড় কিনিতে হয়, ওষুধ আনিতে হয়, নুন-তেলের জোগাড় করিতে হয়, মাথা খুঁজিবার একখান চালা । তুলিতে হয়, বহুজনকে পেটে শুখাইতে হইবেই। এই ছাঁ লঘু করিবার উপায় কি ? আয়-বুদ্ধি । জায় বৃদ্ধির উপায় কি ? শ্রম-বৃদ্ধি। অর্থাৎ লোকে চরকা ও থদর ৩২৫ ണ്.ണ്.ണ്.ണ്. സം്-്.ണുങ്ങു.പ ہ-یے ہم -------- এখন যত শ্রম করিতেছে, যত জনা করিতেছে, তত থাকিলে দুর্দশা ঘুচিবে না, বরং বলহীন ও আয়ুীন হওয়াতে দৈন্যদশা দিন দিন বাড়িতে থাকিবে। বস্তুতঃ অবস্থা সঙ্কটের । ধন নইলে বল ও আয়ু থাকে না, বল ও আয়ু নইলে ধন হয় না। সোজা দৃষ্টাস্তে, টাকা না হইলে মালেরিয়া দূর হইবে না, মালেরিয়া দূর না হইলে টাকাও আসিবে না। সে যাহা হউক, যদি ধনবৃদ্ধি আকাঙ্ক্ষা করি, লোকের শ্রম বৃদ্ধি করিতে হইবে, তাদিকে কম দিতে হইবে। যদি তাদিকে মানুষ রাখিতে চাই, এমন কম দিতে হইবে যে কমে স্বাধীনতা আছে আত্মতুষ্টি আছে; এমন কম যা স্ব স্ব গ্রামে থাকিয়া করিতে পারা যাইবে । এই অতিরিক্ত কমের সময় আছে কি ? আছে। দেশের বার আনা কবি-জীবী। কিন্তু কৃষিকমে বার মাস লাগে না, কিংবা লাগাইবার উপায় নাই । যারা বড় কৃষক, তাদেরও আট মাসের বেশী লাগে না । অধিকাংশের ছয় মাস তা-না-না-না করিয়া কাটে। পুরুষেরাই ৪৫ মাস কম পায় না, মেয়েদের কথা স্বধায় কে ? গৃহস্থালীতে যদি যায় এক বেলা, অলিস্যে কাটে আর এক বেলা । অর্থাৎ মেয়েরাও বছরে ছয়মাস কর্মহীন। শিশু ও আতুরের কথা নয় ; যারা খাটিতে পারে, তারা কালবৈগুণ্যে ছয় মাস কর্মহীন হইয়া পড়িয়াছে। বোধ হয় কোনও দেশ এত রোজগারী নয় যে আট আনা লোকের পরিশ্রমে সকলে সুখে কাল যাপন করিতে পারে। কৃষক যদি কাপাস চাষ করে, তাহার ও তাহার পরিবারের কম বাড়িয়া যায়। পাচ রকম চাষের মধ্যে একট, কৃষকের পক্ষে কঠিন নয়। কিন্তু স্থবিধা এই, ধানচাষের মধ্যে যে অবসর থাকিত, সেই অবসরে কাপাস চাষ হইয়। যায়। ফল পাকিবার সময় ছেলেদের কম জোটে। কারণ সব ফল একদিনেই পাকিয়া ফাটিয়া যায় না । তার পর কাপাস শুখান, খাজই দিয়া বীজ ছাড়ানা আছে। বীজ হেতু গ্রামের তৈলকার কম পাইল, গো বাছুরে খইল থাইল, কৃষকপরিবারে কিছু তেলও আসিল । যে তুল হইল, তাহাতে মেয়েনের কম জুট’ স্থগকাটা এমন কম, যতক্ষণ ইচ্ছ। যখন ইচ্ছা তখন করিতে পারা যায়।