পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రిఫ్బిసి جایگاه AeSAe Aee SAAA AeSA SAeSeSAAAA যন্ত্ৰ স্বল্পমূল্য, ছোট; পিড়ার এক কোণে পড়িয়া থাকে। স্থতাকাটা অল্প অচ্যাসে আসে। পরে সন্ধ্যার পর অন্ধ কারেও চলিতে পারে। এমন আর একটি কম দেখিতে পাই না। এই সোজা কথা, এমন করিয়া বলিতে হইতেছে, এই দুঃখ। কারণ কলিকাতাবাসী সংবাদপত্র-লেখক ও দেশানভিজ্ঞ দেশ-হিতৈষী দেশের অর্থ বৃদ্ধির উপদেশ দিয়া থাকেন, কিন্তু তাহা কাগজে-কলমেই থাকিয় যায়। ইহার FeLgð Cottage industry FRf5tz Vefnl vfsAl “কুটার-শিল্প” জানিয়াছেন। কিন্তু ভজমায় যে বুদ্ধির উদয়, সে বুদ্ধি কাজের সময় অন্তহিত হয়। আমার বিশ্বাস, এই অদ্ভুত নামটাতেই দেশের বৃদ্ধদিগকে দিশাহারা করাইয়াছে। “কুটার-শিল্প সমিতি”, না “সভা”, নাম ঠিক স্মরণ হইতেছে না; কিন্তু স্মরণ হইতেছে চরকায় স্বতকাটা সে শিল্পের মধ্যে গণ্য হয় নাই। আশ্চৰ্য্য এই, এত বড় ব্যবসায় ( industry ), এত প্রয়োজনীয় কল ( manufacture), যাহাতে দেশের গ্রামে গ্রামে, পরিবারে পরিবারে, ধন বৃদ্ধির প্রত্যক্ষ উপায় বর্তমান, তাহাতে চোখ পড়িল না ! কেতাবী অর্থনীতি জিজ্ঞাসা করিতেছে, উৎপন্ন স্থতার দাম কত ? কলের সুতার চেয়ে সস্তী, না আক্রা ? চরকা কখনও কলের সঙ্গে যুঝিতে পারে ? যত গোল এই খানে। কিন্তু, কেতাব রাখিয়া ভাবিয়া দেখিলে বুঝি, যে স্থতায় পরিবারের বস্ত্রকষ্ট দূর হয়, তাহ অ-মূল্য। স্বর্ণপুরী লঙ্কাষ সোনা সন্তা হইতে পারে, কৃষকপরিবার সোনা চায় না, চায় পিতল। বাজারে কলের স্থত যত সন্ত হউক, কৃষকপত্নী কিনিতে যাইতেছে না, তাহার স্কোপার্জিত ক্ষুদের স্তায় তাহার স্বতাও বহুমূল্য। চরকার প্রত্যেক ঘুরণে তাহার চিত্ত ও শক্তি মিলিয়া গিয়াছে। পতি, পুত্র, কন্যা নূতন কাপড় পরিতে পাইবে ; কেতাবী অর্থনীতি তাহার আনন্দের সংবাদ রাখে না। তাহার অবসর নাই। কিন্তু কমময় জীবনের একটানা ম্রোতের মধ্যে যখন উৎসব আসে, পর্ব পড়ে, তখন সে-ই আনন্দ ভোগ করে ; অবসাদ-গ্ৰস্ত নিষ্কম নারীর উদাসমনে সে আনন্দ প্রবেশ করিতে পারে না। প্রবাসী—অষাঢ়, ১৩২৯ [ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড গ্রামের অন্ত নারীর সম্বন্ধেও সেই কথা। তফাৎ এই, তাহাকে তুলা কিনিয়া লইতে হইবে। কাপড় চাই, স্বতা কাটিতেছে। ভাত চাই, রাধিভেছে। কেহ রাধুনীর বেতন কবে না । কত ভাতে কত খরচ পড়ে, কেহ ভাবে না। ভাবিলে বুকিত যত পরিবার তত হাড়ী না করিয়া এক হাড়ীতে সকলের রান্না হইলে কত কষ্ট কত পয়সা বাচিয় ঘাইত। তবু ত লোকে মানে না । কেবল সুতা-কাটার বেলা তর্ক ? তথাপি বিজ্ঞ ঘাড় নাড়িতেছেন, কলের সুতা অনেক সন্তা। কিন্তু সে কথা কে অস্বীকার করিতেছে ? যদি কেহ সুতাকাটনীকে বেতন দিয়া সুতা কাটাইয়া বিক্রির নিমিত্তে বাজারে আসে, সে দেখিবে তাহার' স্থত। বিকাইতেছে না ; কারণ তাহার সুতা কলের স্থতার মতন সমানসর নয়, সমান-পাকও নয়। যদি বা বিক্রি হয়, দেখিবে তাহার লাভের অঙ্ক শূন্য হইয়া মূলে টান পড়িয়াছে। কিন্তু, এখানে সে কথাই যে নয়। বাস্তবিক, উল্লিখিত নারীর কাট। সুত সস্তা। কারণ কাটিবার বেতন বা বাণি লাগে না । যে সময়ে কাজ ছিল না, সে সময়ে কাটা । যে সময় বাচাইতে পারিয়াছে, সে সময়ে কাটা। তাহার একটা পয়সাও খরচ হয় নাই, তুলার দামে স্বতা পাইয়াছে। এমন কোন কল আছে, যেখানে তুলার দামে স্থত পাওয়া যায় ? তথাপি বিজ্ঞ মানিতেছেন না। অতএব গ্রাম হইতে এক দৃষ্টান্ত দিই।--রামধন দেখিল, বর্ষা আদিতেছে, সে , সময়ে আনাজ পাওয়া যায় না, এই কুমড়ার দিনে কিছু কুমড়া কিনিয়া রাখিলে ভাল হয়। গ্রামের নিকটের হাটে এক একটা।• আনা। কিন্তু পাচক্রোশ দূরে e/sআনা। সে সকালবেলা গোর লইয়া পাচক্রোশ গেল, কুমড়া কিনিয়া গোরুর পিঠে ছাল ভরিয়া সন্ধ্যাবেলা ঘরে ফিরিল। কুমড়া আনিল দশট, দশক্রোশ জানা-গনা করিয়া লাভ করিল ৮• আনা। কিন্তু সে যখন খাটনি পায়, তখন নিজে পায় ৮ আনা, গোরু পায় ॥• আলা। কেতাবী অর্থনীতি বলিতেছে, রামধন নিবোধ, wye খরচ করিয়া ॥৮• আন। পাইয়াছে। g go অথচ এইরূপ ঘটনা গ্রামে অহরহ ঘটিতেছে। এই