পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] SAMA Aee eAMAAAA ভাল বাসিত । প্রথম যখন তাহীদের দেশে গম লাগান হয়, তখন তাহারা অপেক্ষা করিতে করিতে অধীর হইয়৷ শেষে গম গাছ উপ্‌ড়াইয় তাহার গোড়ায় ফলের সন্ধান করে । রান্না বাম্পের সাহায্যেই হইত। গোল করিয়া গৰ্ত্ত কুরিয়া তাহাতে আগুন ধরান হইত। তাহার উপর পাথরের কুচি ফেলিয়া দেওয়া হইত। পাথর গরম লাল হইয়া উঠিত। তখন তাহার উপর গাছের পাতা ছড়াইয়া দেওয়া হইত এবং পাতার উপর জল ছিটাইয়া দেওয়া হইত। পাতার উপর খাদ্য রাখিয়া পাতা চাপ দেওয়া হইত। খুব ভাল করিয়া পাতা চাপা দেওয়া হইলে পর বাপের পলায়নপথ বন্ধ করিবার জন্য তাহার উপর মাটি চাপা দেওয়া হইত। লোকে দুবার খাইত, সকালে এবং সন্ধ্যায় । মধ্যে মধ্যে তিনবার খাওয়াও চলিত । রান্না করিতে এক ঘণ্টার বেশী সময় লাগিত না । রান্না হইতে হইতে মেয়েরা খাইবার জায়গায় পাতার ঝুড়ি রাথিত । এই ঝুড়িতে খাবার রাখিয়া খাওয়া হইত। সর্দার একলা একটা ঝুড়িতে থাইত। অন্যান্য সকলে ৪৷৫ জন করিয়া একটা ঝুড়িতে খাইত। সকলে চুপচাপ থাকিয়া কোন কথা না বলিয়া খাইত। মেয়ের আলাদা খাইত। দাসের তাহদের প্রভুর সামনে বসিয়া খাইত না । অভ্যাগতদের জন্য আলাদা স্থানে খাবার দেওয়া হইত। একসঙ্গে বসিয়া খাইলে অতিথিদের অপমান করা হইত। থাইয়া হাত মুছিবার দরকার হইলে পাশের কুকুরটার লোম বেশ কাজে লাগিত। মাছ এবং পাখীর মাংস অনেক সময় সমুদ্রের জলে বেশ করিয়া ধুইয়। রোঁত্রে বা আগুনের ধোয়ায় শুকাইয়া রাখা হইত। অকালে তাহ খাওয়া হইত। যে-সব স্থানে গরম জলের ঝরণা ছিল, সেখানের লোকে মাংস বা মাছ সিদ্ধ করিয়াও খাইত। তবে ঝলসাইয়া খাওয়ার পদ্ধতিই বেশী চলিত ছিল। গরম ঝর্ণা জলে মাওরিদের স্বানের খুব স্ববিধ হইত। গরম জল পাইলে তাহারা আর অক্ষ কোথাও স্বান করিতে ভাল বাসিত না। . এক দলের লোক অন্য দলকে দূত পঠাইয়া নিমন্ত্রণ মহিলা-মজলিস্—নিউজিল্যাণ্ডের নারী SAAAAAA AAAAeAM MAeeAMMe AMAeAAAA AMA AMAMA AMMMMeMMA SAMAMMMMMAMAMMAMMMAMeAAAA ՏԵ-) মাওরি মহিলাদের নাকে নাক ঘসিয়া অভ্য ন-ইহঁদের পোষাক গাছের আঁশ হইতে তৈয়ারী। করিত। নিমন্ত্রিতের দল স্ত্রী পুরুষ ক্রীতদাস সব লইয়া নিমন্ত্রণ রক্ষা করিতে আসিত । অবশ্য শত্রুদলকে কেহ নিমন্ত্ৰণ করিত না । ১৮৩৬ খৃঃ অন্ধে একটা এই রকম ভোজের কথা জানা যায়। সেই ভোজে ৮• • • ঝুড়ি আলু, ৫ লক্ষ মাছ, ৮০০ শূকর এবং ১৫ পিপা তামাক খরচ হয় ! অতিথির দল কেল্লায় প্রবেশ করিবার পূৰ্ব্বে নারীরা একটা উচু জায়গায় দাড়াইয়া গাছের ডাল নাড়িত এবং চীৎকার করিয়া তাহীদের অভিনন্দিত করিত। তাহার পর সকলে খোলা ময়দানে গিয়া একসঙ্গে বসিত। এই খানে “টাঙ্গি” করা হইত। “টাঙ্গি" অর্থাৎ বিলাপ করা। যুদ্ধ হইতে যখন পুরুষরা ফিরিয়া আসিত তখন এই “টাঙ্গি” একটি অবশ্যকৰ্ত্তব্য ছিল। “টাঙ্গি” করিতে করিতে অনেক সময় মেয়েরা পাথরের টুকরা দিয়া নিজেদের শরীর ক্ষত-বিক্ষতু করিত। “টাঙ্গি” নাকি তাহাদের খুব একটা আনন্দের ব্যাপার ছিল। টাঙ্গি শেষ হইলে পর অতিথিরা নাকে নাক ঘসিয়া কোলাকুলি করিত। অতিথিদের খুব আদর করিয়া খাওয়ান হইত। নারীরাই অনেক সময় খাদ্য বিতরণ