পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা } ^Leశ్నా 47*Af^^ణ్కోల్కో ట్కా ^ ^ ^ 4~& এত বিরোধ হইতে পারে না। এই পরের অংশটুকু निकब्रहे चकृख श्रड यांगिब्रांद्दछ । Ethnological Survey Central Provinces& দেখিতে পাই যে মধ্য ভারতেও সপের ওঝাকে বাইগা বলে—ইহার বাংলার বেদে ও পূর্ববঙ্গের বাইদার মত। সেখানেও পান-লতার কৃষি যারা কবে তারা “বারই” । তারা সৰ্প-পূজা করে। সিন্ধুদেশের ও কচ্ছের লোকেরা বিষকী পূজা করে—ইহা বাংলাদেশের বিষহী। বাংলা প্রাচীন কোনো কোনো কাব্যে বিষী রূপও দেখিতে পাওয়া যায়। কিন্তু বাংলাদেশের মনসা-পূজার সঙ্গে ইহাদের পূজার মিল তত নাই যত আছে দ্রবিড়দের সৰ্প-পুজার সঙ্গে । কাশীতে বাল্যকালে দেখতাম মালাবারের লোকেরা সৰ্প-পূজাতে আলপনা আঁকিয়া পূজা করিত। বাংলা দেশেরই মত পঞ্চবর্ণ গুড়িকায়, তুষপোড়া, হরিদ্রা-চুর্ণ, বিল্বপত্র গুড়া, কুসুম-ফুলের গুড়া ও চালের গুড়া দিয়া বাংলাদেশের মতই আলপনা করিত। (দ্রষ্টব্য Thurston, Epigraphic Notes on Southern India, 290 page.) 鐵 * বাংলার মত সে দেশেও বিশ্বাস আছে ওঝা মন্ত্ৰ পড়িয়া সাপকে টানিয়া আনিয়া বিষ চুবাইয়া বাহির করাইতে পারে (ঐ, ২৮৫ পৃষ্ঠা )। মহীশূরে দেবীর “মরী” নামে খ্যাত। তাদের মধ্যে একজন আছেন বিশাল দেবী । নামটা আমাদের বাগুলির কাছাকাছি । আমাদের দেশের মারীভয় কি দেবীদের প্রকোপকে বুঝায় না ? সেখানে মরী অর্থই দেবী। কানাড়া ও তেলেগু প্রদেশের পূজা-পদ্ধতি অনেকট মেলে । কানাড়াতে যেমন বিশালদেবী আছেন, তেমনি "মনে মাঞ্চী” দেবী আছেন। ইনি নাগদেবী। বল্পীকশুপেই প্রায় জাতি-সাপ থাকে। তাই বল্পীক-স্তুপেই কানাড়াতে ও ভেলেণ্ডদেশে সাপের পুজা হয় । বৎসরে একবার মাত্র "মনে মাষ্ঠীর" পূজা। বিশালদেবীর পূজার সঙ্গে এই মাঞ্চীর পূজা জড়িত। এই “মাঞ্চী' দেবীকে সেখানে "মঞ্চাঙ্গা" বা "ল অন্মা" অর্থাং বাংলায় মনসা-পূজা లిసి) zعخیيج؟حميجه মন্‌চা মাতা বলে। ইহারা “চ”কে প্রায় "স"এর মতন উচ্চারণ করে। কাজেই “মন্‌স * অন্ম৷” মনসা মাতায় গিয়া দাড়ায়। বাল্যকাল হইতেই এই কথাটি জানি । তবু কোনো পুস্তকে পাই নাই বলিয়া এই বিষয়টি লিখি নাই। কেবল নানা পুস্তকে খোজ করিতেছিলাম। cafra àos Henry Whitehead asse “The Religious Life of India srrw* w«-bra श्रृं5ाग्न “মনে মন্‌চি” বা “মন্‌চা অন্মার" বিষয় লিখিত হইয়াছে দেখিলাম। বিশাল দেবীর সঙ্গেই ইহার সম্বন্ধ, আর ইনি সপেরই দেবতা । - এখন কথা—ঐ দেশ হইতে মন্ণ পূজা আসে কেন ? একথাও বহুকাল হইতেই হয়তো অনেকের মনে মনে আছে, প্রকাশ করিয়া বলা হয় নাই । সেন রাজারা যে দক্ষিণ হইতে আসিয়াছেন, বহু কাল হইতেই তাহার প্রমাণ দিন দিন বাহির হষ্টতেছিল । অনেকের সঙ্গে এ বিষয়ে মুখে কথাবাৰ্ত্তা বলিয়াছি, তবে কখনও লিখি নাই। রাজা রাজেন্দ্রলাল মিত্র ইহা সন্দেহ করিয়াছিলেন ; তার প্রশ্ন হইল—মুগ্ধবোধ পাণিনির দ্যায় বৈজ্ঞানিক বা কাতন্ত্রের ন্যায় সরল নয় । তবে স্বদুর দক্ষিণের এই পুথি বাংলাতে আসিল কেন ? সেন বংশীয় রাজাদের জাতিটা ঠিক বাংলা দেশে কেন ঠfওর হইতেছে না। এমন সময় বাহির হইল যে সামন্ত সেন কর্ণাট রাজবংশ হইতে আসিয়াছেন। প্রমাণে বাহির হইল দক্ষিণ হইতে আগমন । শ্ৰীযুক্ত রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় এই বিষয়ে অনেক প্রমাণাদি দিয়| বিষয়টি পরিষ্কার করিয়া দিয়াছেন । তার পর অধ্যাপক শ্ৰীযুত বিজয়চন্দ্র মজুমদার মহাশয় দেখাইলেন বল্লাল নামে একটি পুরোহিত শ্রেণী দক্ষিণে ছিল । তার পর ভিনসেন্ট মীথ তার ভারতের ইতিহাসের নূতন গ্রন্থে সেন রাজাদের পরিচয় আরও স্পষ্ট করিয়া দিয়া কহিলেন যে ইহারা দক্ষিণ হইতে আগত ব্রাহ্মণ । সেদিন দেখিলাম অধ্যাপক শ্ৰীযুত রমেশচন্দ্র মজুমদার সেন রাজাদের বিষয়ে যাহা লিথিয়াছেন তাহাতে এই বিষয়টির দিকে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করিবে । তিনি বলেন সেন বংশীয়রা কর্ণাটের জৈন আচাৰ্য্য সম্প্রদায় । Epigraphic