পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8సె8 কাধে পাৰী যেন উড়িয়া চলিয়াছে। দূরে মিলাইয়৷ CI 1 রজত ধীরে গাড়ীতে উঠিল। গাড়ী চলিতে লাগিল । সেইদিন সন্ধ্যায় মৈত্রীবনের স্নিগ্ধছায়ায় এক বটগাছের নির্জন কোণে রজত ও রমলা পাশাপাশি আসিয়া বসিল । সমস্ত দিন ধরিয়া তাহার কোনারকের মন্দির ঘুরিয়াছে, প্রতি শিলা, প্রতি মূৰ্ত্তি যেন প্রদক্ষিণ করিয়াছে। রজত রমলাকে সব বুঝাইয়া দিয়াছে—এই উড়িষ্যার শিল্পধারার সঙ্গে ভারতের অন্য শিল্পধারার যোগাযোগ, ইহার শিল্পপ্রণালীর কৌশলগুলি, স্বৰ্য্যমূৰ্ত্তি সম্বন্ধে কোন পণ্ডিত কি বুলিয়াছেন, রাজহস্তীর স্থবিপুল গাম্ভীৰ্য্যময় মূৰ্ত্তি, অরুণ-আশ্বে গতির ভাবাত্মক মূৰ্ত্তি, ইত্যাদি নানা কথা বলিয়া সালাস্কুল নরসিংহের এই আশ্চৰ্য্য শিল্পকীৰ্ত্তির ব্যাখ্যা করিয়াছে । هي সমস্ত দিন বাহিরের কথাই হইয়াছে, দুই জনের মনে যে কথাগুলি কানায় কানায় ভরা ছিল, সে মনের কথা কেহ কিছুই বলে নাই । দুইজনে পাশাপাশি বসিল, চারিদিকে আলোছায়ার মায়, সম্মুখে একাদশীর চন্দ্র উঠিতেছে। রমলা ধীরে বলিল—আচ্ছ, তুমি আমন করে চলে গেলে কেন ? ধীরে রমলার হাত নিজের হাতে টানিয়া প্লজত বলিল—সে আর-একদিন বলব, আজ থাকৃ–আচ্ছা তুমি যতীনের বিয়েতে গিয়েছিলে ? রমল বলিল - ন যাইনি। তুমিও যাওনি ? আঙ্গুলে আঙ্গুল জড়াইয়া ধরিয়া রজত বলিল— আমি ত কলকাতায় ছিলুম না ; চিঠিটা কলকাতা ঘুরে আগ্রায় যায়, সেদিন তাজমহল দেখে ফিরছি, ঘরে এসে দেখি একখানা লাল চিঠি, সমস্ত রাত সেখান খুলতে সাহস হয়নি। sts ও,—বলিয়া রমলা হাসিয়া উঠিল, গাছের পাতাগুলিও সে হাসিতে নাচিয়া উঠিঙ্গ । রঞ্জত বলিল,—ই, পরের দিন যখন খুলে পড়লুম মাধবীর সঙ্গে বিয়ে-- প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩২১ [ २२ल खां★, sथ थेख ^^^^^ তারপর, কি করলে ?—বলিং রমলা দুষ্টামিভরা চোখে চাহিল। - তাহার হাতের সোনার চুড়িগুলি নাড়িয়া টুং টুং মিষ্টি শব্দ করিতে করিতে রঞ্জত বলিল,—ভক্ষুনি প্যাক করে ষ্টেশনের দিকে ছুটুলুম। —বিয়েতে যেতে ? || alة سحصد রমলার মুখের দিকে বিদ্যুৎ-কটাক্ষ করিয়া রজত বলিল—তোমার সন্ধানে। ভাবলুম সৌন্দৰ্য্যলক্ষ্মী যখন বাধা পড়েন নি, একবার ত দেখা পেয়েছিলুম এই পাথরের রাজ্যে, কবর ঘুরে শিল্পম্বন্দরীর সন্ধান করে আর কি হবে । –শিল্প দেখার নাম করে বেশ দেশে দেশে ঘুরে বেড়ান হয়েছে ! কোথায় কোথায় গিয়েছিলে ? - —দিল্লী, আগ্রা, অমৃতসর। —বেশ, দিব্যি একা এক বেড়িয়ে আসা হল !—জান, তোমার জন্তে এবার আমার পরীক্ষা দেওয়া হল না ? হাতে হাত জড়াইয় রজত বলিল,—আর তোমার জন্যে আমার একখানাও ছবি আঁকা হয় নি, আর কিছুদিন হলে starve করিয়ে ছাড়তে । কাধে কাধ ঠেকাইয়া দুইজনে বসিয়া রহিল । রমলা ধীরে বলিল—আচ্ছা, জীবনটা কি মজার, নয় ? পৃথিবীটা মাঝে মাঝে এমন अडूडें লাগে, যখন ভাবতে বসি কিছুই বুঝতে পারি না। তাহার চুলগুলি লইয়৷ খেলিতে খেলিতে রজত বলিল —বুঝতে না চেষ্টা করাই সবচেয়ে ভাল, ততক্ষণ পিয়ানা বাজালে— রমলা ধীরকণ্ঠে বলিয়া যাইতে লাগিল—আচ্ছা ধরে, সাত মাস আগে, তুমি কোথায় ছিলে, আমিই বা কোথায় ছিলুম, কেউ কাউকে জানুতুম না ত, মাঝে মাঝে ভাবি কে যেন টেনে নিয়ে যায়, সে কি ঘটাবে, কি দেখাবে, কোন পথে নিয়ে যাবে, কত লোক তাঁকে কত for szM, coșB ztm Fate, cwè circumstances, cris God, কেউ Life force, আমি কিছুই বুঝতে পারি না।