পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&షిe. ه سیمه করেন, সেখানেই থাকেন ।” আমি জিজ্ঞাসা কবুলুম, “উমরাণী কোথায় ?” টুনি একটু চুপ করে রইল। তার পর বললে, "দাদা, সে অনেক কথা। আপনি এখানে আছেন, তা আমি জানুতুম। সেসব কথা আপনাকে বলবো ৰলেই আমার একরকম এখানে অসিা ।” আমি বললুম, “কি ব্যাপার শুনি ? সে ভাল আছে তো ?” টুনি বললে, “সে ভাল আছে কি, কি আছে, সে আপনিই শুকুন না। সেই যে বছর পূজোর সময় আপনি এখানে ছিলেন, বৌদির বাপের নিতে আসবার কথা ছিল, সে তে আপনি জানেন । তখন তিনি ছুটী পান নি ব’লে আগতে পারেন নি, পত্র দিয়েছিলেন পরের মাসে নিয়ে যাবেন। তার বুঝি মাসখানেক পরে খবর এল তিনি কলেরায় মারা গিয়েছেন। বৌদি সেই বিয়ের কনে বাপের বাড়ী থেকে এসেছিল, এমনি তার অদৃষ্ট, আর সে-মুখো হতে হোলো না। তারপর—” আমি জিজ্ঞাসা করলুম, “উমারানীর মা ?” টুনি বললে, “গুমুন না। মা আবার কোথায় ? তিনি তে বৌদির বিয়ে হবার আগেই মারা গিয়েছিলেন। তারপর এদিকে দাদা তার সঙ্গে বিশেষ কোনো সম্বন্ধ রাখেন না। তিনি সেই যেখানে চাকরী করেন, সেখানেই থাকেন, বৌদি থাকে চাপাপুকুরের বাড়ীতে পড়ে। দাদা চিঠিপত্রও দেন না। বৌদি বড় শান্ত, বড় চাপ মেয়ে, সে মুখ ফুটে কখনো কিছু বলে না, কিন্তু তার মুখের দিকে চাইলে বুক ফেটে যায়। মেয়েমাহুষের ও কষ্ট যে কি, সে আপনি বুঝবেন না, দাদ। যতদিন মা ছিলেন, বৌদিকে কষ্ট জানতে দেননি, তা তিনিও আজ দুবছর মারা গিয়েছেন। বাড়ীতে আছেন শুধু পিসিমা ।” সেই শান্ত ছোট মেয়েটির উপর দিয়ে এত ঝড় বয়ে গিয়েচে শুনে আমার মনে বড় কষ্ট হোলৈা । জিজ্ঞাসা কবুলুম, “স্বরেনের এমন ব্যবহারের মানে কি ?” টুনি বললে, “ত তিনিই জানেন। তবে তিনি নাকি বলেম, জোর ক’রে র্ডার বিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিয়ে টুনি বললে, “ছোড়া এখন আবাদে কোথায় চাকুরী [ २२° ७ांगें, ७ञ पं७ করার তার কোন ইচ্ছা ছিল না, এই সব। বড় দাদাও দেশের বাড়ীতে থাকেন না। বাড়ীতে থাকেন শুধু পিসিমা । কাজেই বৌদিদির মুখের দিকে চেয়ে তাকে একটু যত্ন করে, দুটো কথা বলে, এমন লোকটা পৰ্য্যন্ত নেই। পিসিমা আছেন, কিন্তু সে না থাকারই মধ্যে ।” সে খানিকক্ষণ চুপ করে রইল, তার পর বললে, “আপনাকে একটা কথা বলি দাদা। আপনি একবার তার সঙ্গে দেখা ক’রে আসুন । আপনাকে সে যে কি চোখে দেখে তা বলতে পারি নে দাদা। সেবার চাপাপুকুর গিয়েছিলাম, বৌদি বললে, আমার দাদার কথা কিছু জানো, ঠাকুরবি ? আপনি এদেশ ওদেশ ক’রে বেড়াচ্চেন শুনে সে কেঁদে বঁাচে না । মাঝে মাঝে যখনই তার কাছে গিয়েছি, আপনার কথা এমন দিন নেই যে সে বলেনি। বলে, ভগবান আমার ভাইয়ের অভাব পূর্ণ করেছেন, দাদা আর শচীশকে দিয়ে। এখনও পৰ্য্যন্ত ফি চিঠিতেই আপনার খোজ নেয়। তা বডড পোড়াকপালী সে, কারুর কাছ থেকে কোন স্নেহই সে কোনোদিন পেল না । আপনার পায়ে পড়ি, দাদা, আপনি তাকে একবার গিয়ে দেখা দিয়ে আয়ন, আপনি গেলে সে বোধ হয় অৰ্দ্ধেক দুঃখ ভোলে ।” ছাদের আলিসার উপর থেকে রোদ নেমে গেল, পাশের বাড়ীর ছাদের চৌবাচ্চার উপর বসে একটা কাক একঘেয়ে চীংকার করছিল। আমি জিজ্ঞাসা কবুলুম, “স্বরেন কি মোটেই বাড়ী . १ांश्च न! ?" টুনি বললে, “সে এক রকম না যাওয়াই দাদা। বছরে হয় তো দুবার, তাও গিয়ে এক আধ দিন থাকেন। তাও যান সে কি জন্তে, কিন্তী না কি, —সেই সময় ধার কাছে যা খাজনা পাওয়া যাবে তাই আদায় করতে।” তারপর অন্যান্য এক আধটা কথাবার্ভার পর টুনি চ'লে গেল। সেদিন বিকালে সেনেট-হলে একজন বিখ্যাত বৈজ্ঞানিকের বকৃত ছিল, তিনি কেজি থেকে এসেছিলেন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দিতে। বক্তৃতার বিষয়টি ছিল যেমনই চিত্তাকর্ষক,—বক্তৃতার তথ্যাংশও