পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Qb"b" AMAMSMAeSAMMASYAMAAASAAAA AAAASASASSMSSSMSSSMSSSAS বিরাগভাজন হতে হয়েছিল । সত্যেস্ত্রের মেজাজের একটি আশ্চৰ্য্য সংযম ছিল ; অতি রূঢ় তিরস্কারও অতি ধীরভাবে অমৃত্তেজিত স্বরে সাদর সম্ভাষণের মতন বলে’ যেতে পারার অসাধারণ শক্তি র্তার ছিল । কিন্তু যার মধ্যে একটুও কিছু গুণ আছে বলে’ তিনি মনে করতেন তাকে তিনি সম্মান করতেন। এই শ্রদ্ধালু স্বভাব থেকেই তিনি দেশ-বিদেশের ধাৰ্ম্মিক ও সাহিত্যিক ও দেশসেবকদের ছবি সংগ্ৰহ করে নিজের পাঠাগারে সাজিয়ে রাখতেন। এই স" গ্রহের মধ্যেও সত্যেন্দ্রের কবি-উপযোগী সৌন্দৰ্য্যবিন্যাসের পরিচয় পাওয়া ধেত ; ছবিগুলি স্বশৃঙ্খলায় মণ্ডলাকারে মুসজ্জিত করে তা থেকে বড় ফটো তুলিয়ে সত্যেন্দ্র লাইব্রেরী সাঞ্জিয়েছিলেন, সাহিত্যপরিষংকে উপহার দিয়েছিলেন। মৃত্যুর পনেরে দিন আগেও তিনি স্বৰ্গীয় মহাত্ম রাজনারায়ণ বস্ব মহাশয়ের ফটোগ্রাফ সংগ্রহের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছিলেন। এই শ্রদ্ধার মধ্যে তার কিছুমাত্র ভেদবুদ্ধি বা সাম্প্রদায়িকতা ছিল না—রাজ রামমোহন, রামকৃষ্ণ পরমহংস, বিদ্যাসাগর, মহর্ষি, বঙ্কিম, দীনবন্ধু, রমেশ, সত্যেন্দ্রনাথ, রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ, দ্বিজেন্দ্রলাল, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ, স্বর্ণকুমারী, গিরিশ, অমৃতলাল, প্রভৃতি এক মণ্ডলে স্থান পেয়েছিলেন । অথচ যখন সত্যেদের শ্রদ্ধেয় কোনো কবি অপর এক ভক্তিভাজন কবির বিরুদ্ধে লেখনী ধারণ করেন তখন সত্যেন্দ্রনাথ সেই শ্রদ্ধাভাজন কবিকেও রেয়াৎ করেন নি—কঠোর সমলোচনা দ্বারা সেই কবির ভ্রান্ত মতের প্রতিবাদ করেছিলেন। কোনে বিদেশিনী মহিলার ভারতপ্রেম দেখে মুগ্ধ হয়ে সত্যেঙ্গ তার একটি মূৰ্ত্তি কিনবার জন্তে ব্যস্ত হয়েছিলেন। আমি তাকে বাধা দি । পবে সেই মহিলাব মত পরিবর্তন হয়েছে দেখে সত্যেন্ত্র প্রায়ই বলতেন— “তুমি আমার পাঁচটা টাকা বাচিয়ে দিয়েছ, নইলে সেই মূর্তাি এখন ভাঙতে হত।” আমাদের অন্য কোনো স্বদেশহিতৈষীর আচরণেও তিনি এই রকম ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। সত্যেন্দ্র সত্য কথা অপ্রিয় হলেও দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে পারতেন। এজন্য একদিন রবীন্দ্রনাথ আমার কাছে কথা-প্রসঙ্গে বলেছিলেন—সে যে সত্যেন্ত্ৰ ! সত্যেন্দ্রের প্রবাসী—শ্রাবণ, )లిశ్చిసి AM MAAA AAAASAASAASAASAASAA [ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড eAeAeA AeAeMSAeMAeMAeMAAA AAAA AAAA AAAA AAAAA চরিত্রের দৃঢ়তাও অসাধারণ ছিল। তার বিস্তৃত বিবরণ দেবার স্থান হবে তার জীবনচরিতে ; এইটুকু এখন বলতে চাই যে তিনি বিবাহিত হলেও গৃহস্থ সন্ন্যাসী ব্রহ্মচারী ছিলেন। আমি তার চরিত্রের দৃঢ়তা ও সংযম দেখে মুগ্ধ হয়ে একদিন বলেছিলাম—“সত্যেন, আমি তোমায় ভাই একদিন প্রণাম করব।” সত্যেক্সের চরিত্রে তেজস্বিতা ও নম্রতার সমন্বয় হয়েছিল । তিনি র্যার প্রতি শ্রদ্ধাম্বিত হতেন তার বাড়ীতে গিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করায় তিনি আনন্দ পেতেন ; এইজন্য তিনি রবীন্দ্রনাথ, দ্বিজেন্দ্রলাল, দেবেন্দ্রনাথ সেন, প্রিয়নাথ সেন প্রভৃতি কবি ও সাহিত্যরসিকদের সঙ্গ কামনা করতেন, কিন্তু কোথাও শ্রদ্ধার খাতিরে নিজস্ব মত ক্ষুণ্ণ হতে দেন নি । সত্যেস্ত্রের এই গুণ ছিল বলে সত্যেঙ্গ তার বন্ধুদেব ছিলেন প্রধান মন্ত্রী । কোনে রচনা সত্যেঞ্জকে দেখিয়ে র্তার পছন্দ না হলে কেউ ছাপৃতেন না। সত্যেন্দ্র বন্ধুত্বের খাতিরে ও চক্ষুলজ্জায় কখনো সত্য সমালোচনা করতে বিরত হতেন না । বন্ধুদের বইএর নাম, ছেলেমেয়েদের নাম রাখৃবারও ভার ছিল সত্যেন্দ্রের উপর । আমার অধিকাংশ বইএর নাম সত্যেন্দ্রের দেওয়া । সত্যেন্দ্রের তীর্থসলিল বই হয়ে বেরোনো পৰ্য্যস্ত তিনি কোনো কাগজে লেখেন নি এক ‘সাহিত্য’ ছাড় । আমি এর কারণ জিজ্ঞাসা করলে সত্যেন্দ্র বলেছিলেন —“সমাজপতি আমাদের পাড়ার লোক, মামার বন্ধু, আমাকে ছেলেবেলা থেকে চেনেন, তিনি আমার কবিতা চেয়ে নিয়ে ছাপেন। যখন অপর কাগজের সম্পাদকের অামাকে চিনে আমার লেখা চাইবেন তখন তাদের দেবে, নিজে ধেচে দেবে না।” ইণ্ডিয়ান পাবলিশিং হাউসে আমি তখন কাজ কবি ; একদিন দোকানে সত্যেন্দ্র আমার কাছে এসেছিলেন, তখন রামানন্দ-বাবুও এলেন । আমি তাদের দুজনের পরিচয় করে দিলাম। সেই মাসের মডার্ণ রিভিউ পত্রে শ্ৰীযুক্ত অররিন ঘোষের To the Sea বলে’ একটি কবিতা ছাপা হয়, রামানন্দ-বাবু সেই করিতাটি মন্থবাদ করে প্রবাসীতে দিতে অনুরোধ করেন। সত্যেন্দ্রের