পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সিদ্ধি স্বর্গের অধিকারে মীমুল বtধ পাবে না এই তীর পণ । তাই কঠিন সন্ধানে অমর হবার মন্ত্র সে শিপে নিয়েচে । এপন একল বনের মধ্যে সেই মন্ত্র সে সাধন করে । বনের ধারে ছিল এক কাঠকুড়নি মেয়ে । সে মাঝে মাঝে আঁচলে করে তাঁর জন্তে ফল নিয়ে আসে, আর পাতার পাত্রে আনে কুণার छल । ক্রমে তপস্তা এত কঠোর হল যে, ফল সে অীর ছোয় না, পাখীতে এসে ঠুকরে খেয়ে যায়। - আরো কিছুদিন গেল। তখন ঝরণার জল পাতার পাত্রেই শুকিয়ে যায়, মুখে ওঠে না । কাঠকুড়নি মেয়ে বলে, “এখন আমি করব কি ? অামার সেবা যে বৃথা হতে চলুল ।" তারপর থেকে ফুল তুলে সে তপস্বীর পায়ের কাছে বেখে যায়, তপস্বী জানতেও পায়ে না। - মধ্যাহ্নে রোদ যখন প্রখর হয় সে আপন আঁচলটি তুলে ধরে’ ছায়া করে দ্বাড়িয়ে থাকে । কিন্তু তপুর্থীর কাছে রোদও য 陵한 5 || কৃষ্ণপক্ষের রাতে অন্ধকার যপন লন হয় কাঠকুড়নি সেখানে জেগে বসে থাকে। তাপলের কোনে ভয়ের কারণ নেই, তবু সে পাহারা দেয় । • 있 娥 একদিন এমন ছিল যখন এই কাঠকুড়নির সঙ্গে দেখা হলে নবীন তপস্বী স্নেহ করে জিজ্ঞাসা করছ, “কেমন আছ ?” কাঠকুড়নি বলত, “আমার ভালই কি গার মন্দই কি ! কিন্তু তোমাকে দেখুবার লোক কি কেউ নেই ? তোমার মা ? তোমাব বেন ?” সে বলত, “আছে সবাই, কিন্তু আমাকে দেখে হবে কি ? তার কি আমার চিরদিন বঁচিয়ে রাখতে পারবে ?” কাঠকুড়নি বলুত, “প্রাণ থাকে না বলেই ত প্রাণের জন্য এত দরদ ” তাপস বলত, আমি অমর করব।” এই বলে সে কত কি বলে যেত, তার নিজের সঙ্গে নিজের কথা, সে কথার মানে বুঝবে কে ? কাঠকুড়নি বুঝত না, কিন্তু আকাশের নব মেঘের ডাকে ময়ুরীর ধেমন হয় তেমনি তার মন ব্যাকুল হয়ে উঠত। তার পরে আৱে কিছু দিন যায়। তপস্বী মৌন হয়ে,এল, মেয়েকে কোনো কথা বলে না । - - •তাঁর পরে অরেী কিছুদিন যায়। তপস্বীর চোখ বুঙ্গে এল, মেয়েটি৭ দিকে চেয়ে দেখে ন । - “আমি পুজি চিরদিন বঁছবার পথ। মানুষকে মেয়ের মনে হল সে আর ঐ ভাপসের মাঝখানে বেন তপস্তার লক্ষ যোজন ক্রোশের দূরত্ব । হাজার হাজার বছরেও এতটা বিচ্ছেদ পার হয়ে একটুখানি কাছে অস্বীর অীণ নেই। তা নাই বা রইল আশা। তবু ওর কান্ন আসে, মনে মনে বলে, দিনে একবার যদি বলেন, কেমন আছ, তাহলে সেই কথাটুকুতে দিন কেটে যায়, একবেলা যদি একটু ফল আর জল গ্রহণ করেন তাহলে অল্পজল ওব নিজের মুখে রোচে। E এদিকে ইন্দ্রলোকে খবর পৌছল, মানুষ মৰ্ত্ত্যকে লঙ্ঘন করে স্বৰ্গ পেতে চায়—এত বড় স্পৰ্দ্ধ ! 聯 ইন্দ্র প্রকাষ্ঠে রাগ দেখালেন, গোপনে ভয় পেলেন। বললেন, “দৈত্য স্বর্গ জয় করতে চেয়েছিল বাহুবলে, তাঁর সঙ্গে লড়াই চলেছিল ; মানুষ স্বৰ্গ নিতে চায় দুঃখের বলে, তার কাছে কি হীর মনতে २८रा ?" • মেনকাকে মহেন্দ্র বললেন, “যাও তপস্ত ভঙ্গ করগে ।” rমনুক বললেন, “স্বররাজ, স্বর্গের অস্ত্রে মৰ্ত্তোর মানুষকে যদি পরাস্ত করেন তবে তাতেও স্বর্গের পরাভব। মানবের মরণবাণ কি মানবীর হাতে নেই ?” ইন্দ্র বললেন, “সে কথা সত্য ।” 8 ফাল্গুন মাসে দক্ষিণ হাওয়ার দোল লাগতেই মৰ্ম্মরিত মাধবীলতা প্রফুল্ল হয়ে ওঠে । তেমনি ঐ কাঠকুড়নির উপরে একদিন নন্দনবনের হাওয়া এসে লাগল। আর তার দেহ মন একটা কোন উৎসক মাধুর্য্যের উন্মেষে উন্মেবে ব্যথিত হয়ে উঠল। তার মনের ভাবনাগুলি চাক্‌ছাড়া মৌমাছির মত উড়তে লাগল, কোথা তারা মধুগন্ধ পেয়েছে। ঠিক, সেই সময়ে সাধণর একটা পাল শেষ হ’ল । এইবার sাকে যেতে হবে নির্জন গিরিগুহায় । তাই সে চোখ মেলুল । সামনে দেখে, সেই কাঠকুড়নি মেয়েটি গোপায় পরেচে একটি অশোকের মঞ্জরী, আর তাঁর গল্পের কাপড়থানি কুম্বন্ড ফুলে রং-করা । EBB aJkB BDS KD BB0 00zSS KK KSS S BB BK KBB KSK হয় যার পদগুলি মনে পডুচে না । যেন সে এমন একটি ছবি য কেবল রেথীয় টান ছিল—চিত্রকর কোন পেয়ালে কথন এক সময়ে তাতে রং লাগিয়েচে । তাপস আসন ছেড়ে উঠল । বললে, “আমি দূর দেশে যাব।” কাঠকুড়নি জিজ্ঞাসা করলে, “কেন প্রভু ?” তপস্বী বলে, “তপস্ত সম্পূর্ণ কক্সবার জষ্ঠ।” কঠকুড়নি হাত জোড় করে বললে, “দর্শনের পুণ্য হতে আমাকে কেন বঞ্চিত করবে ?” তপস্বী আবার আসনে বসূল, অনেকক্ষণ ভাল, আর কিছু বলল 되| || g তাৰ অনুরোধ গেমণি রাগ হল অমনি মেয়েটি৭ বুকের একধীব থেকে আর একধারে বাবে বাবে যেন বজহুটি বিধতে লাঙ্গল ।