পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] নালন্দার বিশ্ববিদ্যালয় প্রাচীনকালে ব্ৰাহ্মণের বা বৌদ্ধ ভিক্ষুরাই বিদ্যাদান করিতেন। নালন্দার বর্তমান নাম “বড়গাও”—ইহা পাটনা জেলার বিহার মহকুমার মধ্যে অবস্থিত। এগন পাটনা হইতে রেলপথে নালন্দীতে যাওয়া যায়। নালন্দা মঠটি একটি আম্রকুঞ্জে অবস্থিত ছিল। সেই কুঞ্জের পুষ্করিণীতে নাকি একটি লীগ বাস করিত। সেই নাগের নাম হইতেই আম্রকুঞ্জটির নাম হয় নালন্দা'। আবার কেহ কেহ বলেন, ভগবান তথাগত পূৰ্ব্বজন্মে এখানে তপস্যা করিতেন। জীবের দুঃপকষ্টে তাহার হৃদয়ে ব্যখ। লাগিত, তাই তিনি দুই হাতে সব জিনিস দীন দুঃগীকে বিলাইতেন । সেইজষ্ঠ ষ্ঠার নাম হয় “ন—অলমৃ দ।" অর্থাৎ “নালন্দা”—যার সর্ববঙ্গ বিলাইয়াও তৃপ্তি হয় না। সম্ভবতঃ গুপ্তযুগেই ইহার প্রাদুর্ভাব হর। চতুর্থ শতাব্দীতে ফাহিয়ান মগধ ভ্ৰমণকালে নালন্দাব উল্লেপ করেন নাই। নালন্দ। একটি প্রসিদ্ধ মঠ ছিল। সেই মঠে অনেক ভিক্ষু থাকিতেন। র্তাহীদের মধ্যে যিনি বিদ্যায় জ্ঞানে শ্রেষ্ঠ, তিনি মঠের অধ্যক্ষের পদ পাইতেন । বাঙ্গলীর পাল রাজার। যখন মগধ জয় করেন, তপন নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ও উহাদের অধীনে আসে। অনেক সময় পাল-রাজাই স্থির করিতেন কে সৰ্ব্বাধ্যক্ষ হইবেন। এইসকল জ্ঞানতপস্বীদের পাণ্ডিতে্যু আকৃষ্ট হইয় দেশ-বিদেশ হইতে ছাত্রের এখানে অধ্যয়ন করিতে আসিত। ৭ম শতাব্দীতে হুয়েনসাং যখন এখানে সংস্কৃত শিখিতেছিলেন, তখন ছাত্র ও ভিক্ষু লইয়৷ সৰ্ব্বসমেত দশহাজার লোক ছিল । যেসকল ছাত্র এখানে পড়িত, তাহীদের জন্ত পৃথক পৃথক বাসগৃহ দেওয়া হইত। নলিনাতে খনন করিয়| এখন আবিষ্কৃত হইয়াছে যে এক-একটি ঘর ১২ ফুট দীর্ঘ ও ৮ ফুট প্রস্থ ছিল । - এখানে ছাত্রদের নিকট হইভে কোন রকম বেতন লওয়া হইত না । তক্ষশিল বিশ্ববিদ্যালয়েও লওয়া হইত না ? সকল ব্যয় নিৰ্ব্বাহ করিবার জন্ত রাজাদের নানারকম দান ছিল। প্রত্যেক ছাত্রের জন্য প্রত্যেক দিন ১২০টি জম্বীর, ২০টি জায়ফল, ২০টি খেজুর, আড়াই তোল কপুর, এক পোয় মহাশালী ধান্যের চাউল দেওয়া হইত; আর মাসে তিন রাশি তৈল ও প্রত্যহ কিছু মাখন দেওয়া হইত। প্রতিদিন প্রতে ঘণ্টাধ্বনি হইলে ভিক্ষুর ও ছাত্রের পুষ্করিণীতে স্ন'নে যাইতেন । অধ্যয়নের সময় নানাস্থানে অধ্যাপকগণ ছাত্রদের শিক্ষণ দিতেন । সন্ধ্যার সময় ভিক্ষুর এক গৃহ হইতে অন্ত গৃহে সন্ধ্যাগীত গাহিয়৷ বেড়াইতেন। নালন্দাতে সৰ্ব্বসমেত ৬টি মহাবিদ্যালয় ব৷ কলেজ ছিল । মানুষের জ্ঞান যত কিছু বিদ্য৷ আবিষ্কার করিতে পারিয়াছে, সেইসকল বিদ্যার শিক্ষ। এই আশ্রমে দেওয়া হইত। সেইজন্য হেতুবিদ্যা, চিকিৎসবিদ্য—সকল শাস্ত্রেরই অধ্যাপন। এখানে হইত ইহা ব্যতীত বৌদ্ধদৰ্শন, ত্রিপিটক, জাভক ও বাস্তুশাস্ত্রেরও অধ্যাপনার ব্যবস্থা ছিল । হিন্দুর শাস্ত্র—সাংখ্য, বেদস্ত ও অস্তান্ত দর্শনের আলোচনাও এখানে যথেষ্ট হইত। প্রথমে এখানকার ছাত্রদিগকে কোন রকম উপাধি বিতরণ করা হইত না। পরে বিশ্ববিদ্যালয় হইতে উপাধি বিতরণের প্রথা প্ৰবৰ্ত্তিত হয় । তারা যে প্রভিষ্ঠাপত্র দিতেন, তাহতে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের শীল মোহর খাকিত। সেই শীল মোহরে লেখা থাকিত—“শ্ৰীনালন্দামহাবিহারী আধ্য-ভিক্ষু-সংঘস্য।" তাছাতে একটি ধৰ্ম্মচক্র আঁক খার্কিত, আর ধৰ্ম্মচক্রের দুইপাৰে দুইটি হরিণ উপরের দিকে মুখ করিয়া খাকিত । 鬱 ( মালসী ও মৰ্থবাৰীলৈা, ) نیایی است. ঐ ফণীন্দ্রনাথ বন্ধ কষ্টিপাথর-প্রাচীন জীব-বলি প্রথা میبایست میبیخهای تخت جمیعت چ۹ やe ○ تعمیمی اتحاد جمعیخ معجسخ معجمعیخ ۹ প্রথম সেনরাজ ও র্তাহার সময় বৈদ্য বল্লাল সেন ও সেনরাজ বল্লাল সেন, উভয়ে স্বতন্ত্র ব্যক্তি । সেনরাজগণ ক্ষত্রিয় ছিলেন। ইহাদের পুর্বপুরুল কর্ণাট হইতে বঙ্গে আগমন করেন। আদিশূর পালবংশীর রাজা দেবপালের পুর্ববৰ্ত্তী । ৮৮৫ হইতে ৯১৮ খ্ৰীষ্টাব্দের মধ্যবৰ্ত্তী সময় দেবপালের রাজত্বকাল। সামস্ত সেনের পিত। বিশ্বসেনই বঙ্গের প্রথম সেন রাজ এবং ১০৫৫ সংবৎ হইতে ১০৮• সংবতের মধ্যে ইহার স্থিত্তিকাল । ( মানসী ও মৰ্ম্মবাণী, জ্যৈষ্ঠ ) শ্ৰী বিমলকান্তি মুখোপাধ্যায় প্রাচীন জীব-বলি প্রথা পশুবলি অতি প্রাচীন কাল হইতে পৃথিবীর প্রায় সমস্ত দেশেই প্রচলিত দেখিতে পাওয়া যায়। ইংলণ্ড ডিভনসীয়ারে মে মাসের প্রথম ভাগে জলদেবতার উদ্দেষ্ঠে মেষ-বলির একটি উৎসব হইত। বলির পর পশুটির এক টুক্‌র মাংসের জন্ত জনসাধারণের মধ্যে কাড়াকড়ি পড়িয়া যাইত, কারণ তাহদের এই বিশ্বাস ছিন্তু যে উহার একখণ্ড মাংস খাইতে পারিলে সম্বৎসর তাহদের কোন অমঙ্গল হইবে না। বুরিয়ট নামক মঙ্গোলীয় এক জাতি সায়বেরিয়ার বৈকাল হ্রদের নিকট বাস করে । তাহার এখনও কোন ব্যক্তির মৃতদেহ সৎকার বা মৃত্তিকায় প্রেথিত করিবার সময় তাহার প্রিয় অশ্বটিকে বলি দেয়। এতদ্ব্যতীত তাহীদের বাৎসরিক অশ্ব-মেধ প্রথা আছে। দেবত-আধুষিত পবিত্র পাহাড়ে বলির অন্ধটিকে লইয়া যাওয়া হয় এবং তাহার পদচতুষ্টয় বন্ধন করতঃ ভূতলে ফেলিলে পুরোহিত পেট চিরিয়,তাহাকে বধ করেন। ইহার মাংস রন্ধন করিয় তাহার কতকটা যজ্ঞায়িতে নিক্ষেপ করা হয় এবং তৎসঙ্গে সোমরসের স্থায় এক প্রকার মাদক দ্রব্যও ঐ অগ্নিতে ঢালিয়। দেওয়া হয় । বলির কতকাংশ আকাশদেবতাদের উদ্দেশ্যে শূন্তে নিক্ষেপ করা হয় এবং পুরোহিত পশুটির অস্থিসকল যজ্ঞাগ্নিতে প্রদান করেন । তথন সকলে অবশিষ্ট মাংস দেবতাদিগের প্রসাদরূপে ভক্ষণ করে এবং এইরূপ মন্ত্র উচ্চারণ করিতে থাকে--“আমাদের গ্রামু সমৃদ্ধিশালী হউক, বহু সস্তান-সন্ততি হউক, অসংখ্য গো-অশ্ব প্রভূতিতে দেশ পরিপূর্ণ হউক, দেশে প্রচুর পরিমাণে শস্য উৎপন্ন হউক," ইত্যাদি। যজ্ঞবশেষ যাহাতে কুকুর প্রভৃতি কোন অস্পৃশ, পশু ভক্ষণ না করে, তজষ্ঠ অগ্নিতে পুড়াইয় ফেলা হয় । বুরিয়টদের এই বাৎসরিক যজ্ঞ প্রাচীন আৰ্য্যদের অশ্বমেধ যজ্ঞের কথা স্মরণ করাইয় দেয়। সস্থান-লিপ্ত পাপ-খুলন বা দিপ্‌বিজয় প্রতিষ্ঠা আস্যদের অশ্বমেধ যজ্ঞের কাবণ বল। যাইতে পারে। গ্রীক ও রোমকজাতিদের মধ্যেও অশ্বমেধ প্রথা বিদ্যমান ছিল । বৰ্ষাঋতুর অন্থে গ্রীকদের একটি উংসব হইত। এই সময় কয়েকটি DD BB BBBBBB BB BBB BBBB BBBBS BBg DBBS গ্রীকৃদের বিশ্বাস ছিল যে এইরূপ পৃষ্ঠায় দেব ১। সন্তুষ্ট হইয় প্রচুর শস্ত উৎপাদন করিলেন । পার্টানগণও, লরিয়টদের মত, গিরিশিপরে অশ্বমেধ করিয়া দেবতার তুষ্টি সাধন করিতেন। রোমকগণও শরৎ ঋতুতে মাস দেবতার নিকট খেত অথ বলিদান করিতেন। - ইহার মস্তক রাজপুরোহিতের ভবনে আনয়ন করতঃ স্থসজ্জিত করিয়া রাপ হইত। দেবালয়ের কুমারীগণ ইহার রক্তের সহিত গোণাবকের রক্ত মিশ্রিত করিয়া পশুপালকগণকে প্রদান করিতেন এবং তাহার। পশুর বংশ বৃদ্ধির জঙ্ক ইহা গ্রহণ করিত। ইরাণদের ইতিহাসেও গে, অশ্ব প্রভৃতি পশুদিগের উল্লেপ আছে। :