পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] ASA SSASAS SAAMAAA AAAA AAAA AAAAMMAMAAAS সিবিল অর্থাৎ অসৈনিক সমুদয় বিভাগে উচ্চ সমুদয় বিবিধ প্রসঙ্গ—কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাদান বিভাগ &ᎼᏄ AS AeM AeM Me AAAA AAAA SAAAAAAASAAAAS AAAASS আসিতেছে । বায়সংক্ষেপ কমিটি বসাইবার ইহা এবটি ബ് ബ്, ബാ পদগুলির বেতন-কমাইয়া, জাপানের তুলনায় আমাদের • প্রধান কারণ বলিয়া মনে করি । 輸 দেশের আয় যেরূপ সেইরূপ করিতে হইবে ; এবং নীচের পদগুলির বেতন বাড়াইতে হইবে । বাড়াইলেও, উচ্চ বেতনগুলির হ্রাস দ্বারা ব্যয়সংক্ষেপ হইতে পারিবে । তা ছাড়া, অনেক অনাবশ্বক পদ আছে, যাহা উঠাইয় দেওয়া চলে ও দেওয়া উচিত। যেমন ভিবিজনের কমিশনার । সব প্রদেশে এই পদ নাই। যেখানে যেখানে নাই, তথাকার কাজ বাংলা দেশ অপেক্ষ খারাপ হয় না । পুলিশ-বিভাগে পরিদর্শক কৰ্ম্মচারীর এত বাহুল্য অনাবশ্বক । তাহা ছাটিয়া ফেলা উচিত। শিক্ষা-বিভাগেও এত পরিদর্শক কৰ্ম্মচারীর আবশ্যক নাই । আরও দুষ্টান্ত দেওয়া যাইতে পারিত । কিন্তু ইহা অপেক্ষাও অপব্যয় বাড়িয়াছে, আকারণ প্রদেশবৃদ্ধির জন্য । বহুপূৰ্ব্বে আসাম, বাংলা, বিহার, ছোটনাগপুর, ওড়িষ্যা, এক-প্রদেশ-ভুক্ত ছিল । এক লাটসাহেব, এক সেক্রেটারিয়েট, এক-একটি শিক্ষা, পুলিস, আবগারী, প্রভৃতি বিভাগে কাজ চলিত। এখন হইয়াছে তিনটি প্রদেশ, তিন লাট, তিল সেক্রেটারিয়েট, তিনতিনটি শিক্ষা, পুলিস, প্রভৃতি বিভাগ। রাজধানীও শীত-গ্রীষ্ম-ভেদে দুটা দুটা করিয়৷ ছয়ট এবং তদনুযায়ী প্রাসাদ আফিসাদি হইয়াছে। তাহাতে অনেক কোটি টাকা গিয়াছে । তাহাতে দেশের স্বাস্থ্য, ধন, জ্ঞান, শান্তি, শক্তি বাড়িয়াছে কি ? দিল্লীতে রাজধানী লইয়। গিয়া উহার বহুযোজনব্যাপী সাম্রাজ্যসমাধিক্ষেত্রে যে কোটি কোটি টাক। ঢালা হইয়াছে, হইতেছে ও হইবে, তাহার মত স্বাস্থ্য সমৃদ্ধি জ্ঞান শান্তি শক্তি আমাদের বাড়িয়াছে কি ? ভারত-পূবর্ণমেণ্ট দেশের স্বাস্থ্য শিক্ষা কুযি শিল্প ও বাণিজ্যের জন্য যথেষ্ট ব্যয় করেন না। দেশের উপর ট্যাক্সের বোঝাও খুব বাড়ান হইয়াছে। তথাপি তিন বৎসরে ভারত-সরকারের আয় অপেক্ষা ব্যয় নব্বই কোটি টাকা বেশী হইয়াছে। এই টাকা উচ্চহারে স্বদ দিয়া ধার. করিতে হইতেছে। অপব্যয় এই অকুলান ও ঋণের • কারণ। ঋণ পাওয়াও ক্রমশঃ কঠিন হইয়া আমাদের প্রধান বক্তব্য সংক্ষেপে আবার বলিয়৷ এই প্রসঙ্গ শেষ করি। গবর্ণমেন্ট বিদেশী থাকিতে যথাসম্ভব মিতব্যয় হইতে পারে না। গবর্ণমেণ্ট দেশী বা জাতীয় হইলেও, আমাদের মতিগতি গণতান্ত্রিক না হইলে জাতীয় গবর্ণমেণ্টও যথাসম্ভব মিতব্যয়ী হইবে না । অতএব, প্রথমতঃ চাই স্বরাজ স্থাপন ; দ্বিতীয়তঃ চাই, আমাদের ভদ্রুপ মন্তিপরিবর্তন ,াহার ফলে সরকারী চাকরীকে আমরা সাধারণ লোকদের উপর মনিবগিরির ও ধনী হইবার উপায় মনে না বরিয়া উহাকে বৈতনিক দেশসেবা বলিয়া মনে করিতে পারি। গবর্ণমেণ্ট বিদেশী থাকিলেও কতকটা বায়ুসংক্ষেপ হইতে পারে। ভাঙ্গা ইষ্টলেও মন্দেব डिfल । আশঙ্কার কথা e যখনষ্ট ব্যয়সংক্ষেপের কথা উঠে তখুনই চাপরাসী পিয়াদ প্রভূতিদের স’থ্য ও বেতনের উপর দৃষ্টি পড়ে, কিম্ব শিক্ষার জন্ত মঞ্জুর সামান্য টাকাও কমাইয়া দেওয়া হয়, অথব| এইরূপ শোচনীয় ও হাস্যকর আর-কিছু ঘটে । এ বারেও তাহা হইতে পারে। সিন্ধুদেশে ৎ-ব্রিহ্বরে ইতিমধ্যেই শিক্ষার উপর হাত পড়িয়াছে। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাদান-বিভাগ নানাদিকে নানাপ্রকারে কোটি কোটি টাকা অপব্যয় হইয়া আসিতেছে । তাছার নিন্দা আমরা বরাবরই করিয়া আসিতেছি । কিন্তু মানবদেহের কঠিন পীড়াব ধেমন চিকিৎসার দরকার, সামান্য ব্যাধিরও তেমনি চিকিৎসা ই প্ৰয় ভাল, কারণ অবহেলিত হইলে তাহাও কঠিন হইতে পারে। যুদ্ধে লক্ষ লক্ষ লোক মরিয়াছে বলিয়া পল্লীগ্রামের একটা খুন অবহেলার যোগ্য নহে । মিউনিশন বোর্ডের কয়েক কোিট টাকা iচুরি গিয়াছে বলিয়া, গবর্ণমেণ্ট, মফঃস্বলের সামান্য কোন আফিসের কেরাণী অল্পটাক চুরি করিলে তাঙ্গকে ছাড়িয়া দেন না,