পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

هایی ع۹ 轨 ఆశ్రి ●धवांनी-छांझ, ర్చి • [ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড

  • AMAMAMAMAeAMAeAeAeSAeeMAeMee eeS

উপনিষদে শিক্ষা-প্রণালী ও ব্রহ্মবিদ্যায় ব্রাহ্মণের প্রভাব ভারতের শিক্ষাপদ্ধতি অনুসারে ব্রহ্মচারী নানারূপ ক্রিয়া-কলাপের মধ্য দিয়া ক্রমে ক্রমে জ্ঞানের উচ্চতম শিখরে বিশুদ্ধ ব্রহ্মবিদ্যায় উপস্থিত হইতেন । অগ্নিচৰ্য্যা, গো-রক্ষা, ভিক্ষাহরণ প্রভৃতি কায়িক শ্রমের সহিত শিক্ষার আরম্ভ হইত, এবং আরণ্যক ও উপনিষদ অধ্যয়ন দ্বারা মানসিক বিকাশে এ শিক্ষার শেষ হইত। ব্রাহ্মণ, অরণ্যক ও উপনিষদের সম্বন্ধ । বেদের ব্রাহ্মণভাগের ন্যায় আরণ্যকেও নানারূপ কৰ্ম্মাহুষ্ঠানের উপদেশ আছে ; কিন্তু এ সকল অনুষ্ঠানে প্রয়োগ অপেক্ষ চিস্তনের অংশই অধিক। উপনিষদ ও ব্রাহ্মণের উপদিষ্ট জ্ঞান ও কৰ্ম্মের ব্যবধান লোপ করিয়া আরণ্যক পরম্পরের মধ্যে সম্বন্ধের সূচনা করিয়া দিত । ব্রহ্মবিষ্ঠায় ক্ষত্রিয়প্রভাব সম্বন্ধে অমূলক ধারণ । আপাতদৃষ্টিতে যজ্ঞ ও ব্রহ্মবিদ্যার মধ্যে পরম্পর বিরোধ দেখিতে . পাইয়া কয়েকজন পাশ্চাত্য পণ্ডিত বলেন—একই ব্রাহ্মণ জাতি এই দুই মার্গের প্রবর্তৃক হইতে পারেন না ; তাহীদের মতে ব্রাহ্মণগণ ক্ষত্ৰিয়ের নিকট ব্রহ্মবিদ্যা লাভ করিয়াছেন। বোধ হয়, দুই কারণে ইহার এরূপ সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছেন। প্রথমতঃ উtহাদের ধারণা দে যাহারা সৰ্ব্বদাই অঙ্গুষ্ঠানবহুল যাগ-যজ্ঞে মগ্ন থাকিতেন, তাহীদের চিন্তার ধারায় কখনই ব্রহ্মবিদ্যা স্থান পাইতে পারে না 7 দ্বিতীয়তঃ উপনিষদের মধ্যেই দুই-একটি আখ্যায়িক পাওয়া যায়, যাহাতে ক্ষত্রিয়ের নিকট ব্রাহ্মণের উপদেশ-লাভের কথা বর্ণিত হইয়াছে। இ. কৰ্ম্ম হইতে জ্ঞানের পরিপুষ্টি । কিন্তু সকল দিক বিবেচনা করিয়া দেখিলে উপরোক্ত মত নিতান্ত অযৌক্তিক বলিয়া মনে হয়। কৰ্ম্মকাণ্ড ও জ্ঞানকাও যথাক্রমে ‘আকুরুস্কু' ও 'জান্ধঢ়ের অর্থাৎ জ্ঞানেচ্ছ, ও লব্ধজ্ঞানের আশ্রয়শীয় একই পথের আদি ও অন্ত । চতুরাশ্রমের ক্রম হইতেই আমরা কৰ্ম্ম ও জ্ঞানের সম্বন্ধ এবং পৌৰ্ব্বাপধ্য লক্ষ্য করিতে পারি ; প্রথম ছুই আশ্রমে কর্থের অনুষ্ঠান এবং শেষ দুই আশ্রমে কৰ্ম্ম-সন্ন্যাস করিতে হইত। যাগ প্রয়োগেই ব্রহ্মবিষ্ঠার অঙ্কর দেখিতে পাওয়া যায়। প্রজাপতি যজ্ঞের প্রধান দেবতা, সমস্ত কৰ্শ্বের অধীশ্বর ; কালক্রমে এই প্রজাপতি, বিশ্বকৰ্ম্ম বা যজ্ঞপুরুষের ব্রহ্মরূপে পরিণতি অতি স্বাভাবিক। সংহিতা ও ব্রাহ্মণ গ্রন্থে বহু দেবভা এক সঙ্গে বিশ্বদেব নামে অভিহিত হইয়াছেন, উপনিষদে র্তাহারাই আবার সম্পূর্ণরূপে বহুত্ববিহীন হষ্টয়া ব্ৰহ্মত্ব লাভ করিয়াছেন। • যজ্ঞেই ব্রহ্মবিদ্যার অঙ্কুর দেখিতে পাওয়া যায় । ঋগ্বেদ (১), শতপথ ব্রাহ্মণ (২), প্রভৃতি গ্রন্থে ব্রঙ্গের স্পষ্ট বর্ণনা পাওয়া যায়। স্বতরাং উপনিষদের যুগে ক্ষত্ৰিয়গণের মধ্যেই ব্রহ্মবিষ্ঠ উদ্ভূত হইয়াছিল এরূপ কল্পনা করিবার কোন হেতু নাই। ব্রাহ্মণগণ জ্ঞানকাও বা কৰ্ম্ম-সন্ন্যাসের বিরোধী ছিলেন এরূপ উক্তি ভিত্তিহীন । কোন কোন যজ্ঞানুষ্ঠানেই সন্ন্যাসের আরম্ভ হইত, কৰ্ম্মের মধ্যে ত্যাগ, অtশক্তির মধ্যে বিরাগের সূচনা হইভ । সৰ্ব্বমেধযজ্ঞের যজমান, পার্থিব সৰ্ব্বস্ব ত্যাগ করিয়া যজ্ঞস্তে সন্ন্যাস গ্রহণ করিতেন (৩) । ক্ষত্রিয়গণও যজ্ঞের বিরোধী ছিলেন না। ব্রক্ষিষ্ঠ জনক যজ্ঞসভায়, বসিয়াই ব্রহ্মের আলোচনা করিয়াছিলেন (৪) । ব্রাহ্মণগণ যখন বৈশ্বানর-বিদ্যায় উপদেশ লাভের জন্য রাজা অশ্বপতির নিকট গিয়াছিলেন, তিনিও তখন যজ্ঞাঙ্গুষ্ঠানের আয়োজন করিতেছিলেন (৫) । ত্র ক্ষণের নিকট ক্ষত্রিয়ের বিষ্ঠা-গ্রহণ । উপনিষদে ক্ষত্রিয়ের নিকট ব্রাহ্মণের বিদ্যাগ্রহণের আখ্যায়িকা দেখা যায় বটে, কিন্তু আবীর উপনিষদেই ক্ষত্রিয় অপেক্ষা সংখ্যায় অনেক অধিক ব্রাহ্মণ উপদেষ্টার নামেরও উল্লেখ দেখিতে পাই । জনক ও র্তাহীর আচাৰ্য্যগণ । ক্ষত্রিয়গণের মধ্যে রাজা জনকেরই ব্রহ্মবিন্যায় সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক খ্যাতি। কিন্তু এই জনকও ব্রাহ্মণ যাঙ্গবন্ধ্যের নিকট ব্রহ্মোপদেশ লাভ করিয়াছিলেন (৬)। ইহার পূৰ্ব্বে ও তিনি ব্রহ্মবিয়া লাভের জন্য জিহা, উদচক, বক,