পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ꬃፅme স্থযোগ হয় নাই ; কিন্তু সংসারচক্রের আবৰ্ত্তনে পড়িয়া র্তাহারা পদে পদে এই অভাব অনুভব করিতেছেন। র্যাহাদের অর্থ-সামর্থ্যের অভাব নাই, স্বামী পিতা সকলেই বর্তমান, তাহারাও শিক্ষার মূল্য বুঝিয়া অনেক স্থলে পরিণত বয়সে পাঠচর্চা স্বরু করিতে চান । আর র্যাহাদের সংসারে অল্পের সংস্থান নাই কিন্তু ক্ষুধিতের কান্না আছে, আশ্রয় নাই কিন্তু অসহায় শিশু-সন্তান আছে, তাহারা যে এ অভাব অহুভব করিবেন তাহা কি বলিয়া দিতে হইবে ? অল্পবয়সে বিবাহিত হইয়া হিন্দুবালিকা স্বামীর সংসারে যান । যখন বিবাহ হয় তখন অনেক স্বামীও বালক মাত্র। ভবিষ্যতে অল্পের কোন সংস্থান তিনি করিতে পারিবেন কি না জানিবার অাগেই র্তাহার সংসার পাতান হইয়া যায়। শিক্ষা সমাপ্ত হইবার আগেই র্তাহার মাথায় স্ত্রী পুত্র কন্যা বিধবা মাত ভগ্নী প্রভৃতি ৬৭ এমন কি দশ বারো জনের ভারও চাপিয়া বসে । এমন অবস্থায় শিক্ষাতেও মন বসে না, ভাল কাজ কি অর্থকরী ব্যবসায়ের আশায় বসিয়া থাকা চলে না। হাতের কাছে যাহা জোটে তাহাই অবলম্বন করিয়া দুটি মোটা ভাত কাপড় জোটানই হইয়া উঠে তখন জীবনের একমাত্র সমস্যা। এই হাতের কাছে পাওয়া তৃণমুষ্টিতে অল্পসমস্য মিটে না, অথচ তাহা ছাড়িয়া অধিকতর লাভবান কিছু ব্যবসায় বাণিজ্য ফাদিবার ভরস। এত বড় সংসার ফেলিয়া করা চলে না। কাজেই জীবন-মরণের এই সন্ধিস্থলে “হা অল্প হা অল্প” করিয়াই তাঁহাদের চিরদিন কাটে । এমন দৃশ্য ত ৰাংলার ধরে ঘরে। যাহাদের দুই বেলা পেট ভরিয়া অন্ন জোটে মা শীতে শতছিন্ন পুরাতন বালাগোশের উপরে নূতন একখানা কিনিবার সামর্থ্য নাই, ব্যাধির কবলে পড়িতেও তাহাদের দেরী হয় ন ; কারণ দেহ পোষণের জন্য গ্রহণ করে যতটুক, অর্থচিন্তায় আর দুর্ভাবনায় ক্ষয় করে তার চেয়ে অনেক বেশী। তার উপর জীবনব্যাপী নিরানন্দ দেহ মন এমনই অবলম্ব করিয়া রাখে যে ক্ষীণ প্ৰাণ লইয় দুরন্তু কেন সামান্য ব্যাধির সঙ্গে ও দি করা অসম্ভব প্রবাসী-ভাঙ্গ, $లిసిసి SMAMAMA MAAA AAAA AAAASAAAASJJJJJAAASAAAAASA SAASAASAASAASAASAASAA AAAA SAAAAAS AAAAA AAAA AAAA AAAA AAASS [ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড হইয় উঠে। কাজেই সংসারের মাথা ভাঙ্গি পড়িতে বিলম্ব হয় না ; তৃণমুষ্টি যাহাঁদের সম্বল ছিল ধূলিমুষ্টি তাহাদের সম্বল হয়। তখন সেইসব অশিক্ষিতা বালিকা বধূর চক্ষে সংসার যে কি মূৰ্ত্তিতে দাড়ায় তাহা তাহারাই জানেন। মনে হয় এ অনস্ত দুঃখের সাগরে ডুবিয়া মরা ছাড়া পার হইবার বুঝি আর কোনো উপায় নাই । এই-সব সংসারের মেয়ের বিশেষতঃ আশ্রিত বিধবারা যদি নিজেদের গ্রাসাচ্ছাদনের একটা ব্যবস্থা করিতে পারিতেন, সংসারে দুই পয়সা সাহায্য করিতে পারিতেন, তাহা হইলে সংসার তাহাদের চক্ষে এমন অন্ধকার ঠেকিত না, সংসারে তাহার একটা প্রতিষ্ঠা পাইতেন, আত্মসন্মান বজায় রাথিয় আত্মীয়-স্বজনের সাহায্য করিয়া বহু দুঃখেও একটু আনন্দের সন্ধান পাইতেন। সংসারে মেয়ের যদি দুপয়সা আনিয়া কিছুদিনের ভরণপোষণের ব্যবস্থা করিতে পারিতেন তাঁহা হইলে পুরুষকেও এমন নিরুপায়ভাবে যখন যাহা জোটে তাহাই অঁাকৃড়াইয়া পড়িয়া থাকিতে হইত না । যে মেয়েদের নিজেদের পায়ে দাড়াইবার ক্ষমতা আছে তাহাদের স্বখে রাখিবার ভাবনা মামুষে নিশ্চিন্ত হইয়া ভাবিতে পারে, এবং দেখিয়া শুনিয়া একটা স্ববাবস্থা করিতে পারে। কাজেই দেখা যাইতেছে প্রাপ্তবয়স্ক রমণী মাত্রই যদি কিছু অর্থকরী বিদ্য৷ জানিতেন, তাহা হইলে সংসারের দুঃথ অন্তত ‘ অৰ্দ্ধেক কমিয়া যাইত। বিধবাদের পক্ষে এই প্রকার শিক্ষার আর-একট। দরকার এই যে পরের সংসারে উপার্জনক্ষম হইয়া আত্মসন্মান রক্ষা করা তাহাদের নিতান্ত প্রয়োজন। এই ত গেল অল্পসমস্যার কথা । এ প্রত্যেকের ঘরের কথা । ইহা ছাড়া আরও অনেক ভাবিবার কথা আছে। এই যে শিক্ষা-বিস্তারের কথা আমরা বলিতেছি ইহা ত আপনি বিস্তৃত হইতে পারে না ; এই কাব্যের ভরি লইবার জন্যও ভ মামুসের দরকার । আমাদের ধরে ঘরে বিধবা, স্বামীপরিত্যক্ত প্রভৃতি কত দুঃধিী মেয়ের মধ্যে যে শক্তি নিহিত আছে তাঙ্গ ত কেবল অকাজে কি বিনা কাজে অপচয়ক্ট হয় ;