পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] o AM MAMMAMMAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAAA TarunnoBot (আলাপ) ০২:১৫, ২১ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)-- حصے هی رهم জী হন, এই কথাটি জেনে আজ আমরা তার জয়কীৰ্ত্তন করব। o বিদ্যাসাগর আচারের দুর্গকে আক্রমণ করেছিলেন, এই তার আধুনিকতার একমাত্র পরিচয় নয়। যেখানে তিনি পাশ্চাত্য ও প্রাচ্য বিদ্যার মধ্যে সম্মিলনের সেতুস্বরূপ হয়েছিলেন সেখানেও.ৰ্তার বুদ্ধির ঔদার্ধ্য প্রকাশ পেয়েছে । তিনি যা-কিছু পাশ্চাত্য তাকে অশুচি বলে’ অপমান করেননি। তিনি জানতেন, বিদ্যার মধ্যে পূৰ্ব্ব-পশ্চিমের দিগ বিরোধ নেই। তিনি নিজে সংস্কৃতশাস্ত্রে বিশেষ পারদর্শী ছিলেন অথচ তিনিই বৰ্ত্তমান যুরোপীয় বিদ্যার অভিমুখে ছাত্রদের অগ্রসর করবার প্রধান উদ্যোগী হয়েছিলেন এবং নিজের উৎসাহ ও চেষ্টায় পাশ্চাত্য বিদ্যা আয়ত্ত করেছিলেন। এই বিদ্যাসম্মিলনের ভার নিয়েছিলেন এমন এক ব্যক্তি র্যার বাইরের ব্যবহার বেশভূষা প্রাচীন কিন্তু র্যার অন্তর চির-নবীন। স্বদেশের পরিচ্ছদ গ্রহণ করে’ তিনি বিদেশের বিদ্যাকে আতিথ্যে বরণ করতে পেরেছিলেন এইটেই বড় রমণীয় হয়েছিল । তিনি অনেক বেশী বয়সে বিদেশী বিদ্যায় প্রবেশলাভ করেন এবং তার গৃহে বাল্যকালে ও পুরুষহিত্রমে সংস্কুত-বিদ্যারই চর্চা হয়েছে । অথচ তিনি কোনো বিরুদ্ধ মনো প্লাব না নিয়ে অতি প্র.প্লচিত্তে পাশ্চাত্য বিদ্যাকে গ্রহণ করেছিলেন । রিদ্যাসাগর মহাশয়ের এই আধুনিকতার গৌরবকে স্বীকার করতে হবে। তিনি নবীন ছিলেন এবং চিরযৌবনের অভিষেক লাভ করে বলশালী হয়েছিলেন। র্তার এই নবীনতাই আমার কাছে সব-চেয়ে পূজনীয় কারণ তিনি আমাদের দেশে চলবার পথ প্রস্তুত করে গেছেন। প্রত্যেক দেশের মহাপুরুষদের কাজই হচ্চে এইভাবে বাধা অপসারিত করে ভাবী যুগে যাত্রা করবার পথকে মুক্ত করে দেওয়া । তারা মহিষের সঙ্গে মাহুষের, অতীতের সঙ্গে ভবিষ্যতের সত্য সম্বন্ধের বাধা মোচন করে দেন। কিন্তু বাধাই যে-দেশের দেবতা সে দেশ এই মহাপুরুষদের সম্মান করতে জানে না। বিষ্ঠাসাগরের পক্ষে এই প্রত্যাখ্যানই তার চরিত্রের সবচেয়ে বড় পরিচয় হয়ে থাকবে । এই ব্রাহ্মণতনয় যদি বিদ্যাসাগর ԳՆ), AMAAA AAASS তার মানসিক শক্তি নিয়ে কেবলমাত্র দেশের মনোরঞ্জন করতেন, তাহলে অনায়াসে আজ তিনি অবতারের পদ প্লেয়ে বসতেন এবং যে নৈরাখের আঘাত তিনি পেয়েছিলেন তা তাকে সহ করতে হত না । কিন্তু র্যার বড়, জনসাধারণের চাটুবৃত্তি করবার জন্যে সংসারে তাদের জন্ম নয়। এইজন্তে জনসাধারণও সকল সময়ে স্তুতিবাক্যের মজুরি দিয়ে তাদের বিদায় করে না । একথা মানতেই হবে যে বিষ্ঠাসাগর দুঃসহ আঘাত পেয়েছিলেন”এবং শেষ পৰ্য্যন্ত এই বেদন বহন করেছিলেন। তিনি নৈরাপ্তগ্রস্ত pessimist ছিলেন বলে৯ অখ্যাতি লাভ করেছেন, তার কারণ হচ্চে যে যেখানে তার বেদন ছিল দেশের কাছ থেকে সেখানে তিনি শান্তি পাননি। তিনি, যদিও তাতে কৰ্ত্তব্যস্রষ্ট হননি, তবুও র্তার জীবন যে বিষাদে আচ্ছন্ন হয়েছিল তা অনেকের কাছে অবিদিত নেই । তিনি র্তার বড় তপস্যার দিকে স্বদেশীয়ের কাছে অভ্যর্থনা পাননি, কিন্তু সকল মহাপুরুষেরাই এই না-পাওয়ার গৌরবের দ্বারাই ভূষিত হন। বিধাতা উাদের যে দুঃসাধ্য সাধন করতে সংসারে পাঠান, র্তারা সেই দেবদত্ত দৌত্যের দ্বারাই অন্তরের মধ্যে সম্মান গ্রহণ করেই আসেন। বাহিরের অগৌরব তাদের অন্তরের সেই সম্মানের টীক্টাকেই উজ্জল করে তোলে,— অসম্মানই তাদের পুরস্কার । 象 এই উপলক্ষ্যে আরেক জনের নাম আজ আমার মনে পড়ছে—যিনি প্রাচীন কালের সঙ্গে ভাবী কালের, এক যুগের সঙ্গে অন্য যুগের সম্মিলনের সাধন করেছিলেন। রাজা রামমোহন রায়ও বিদ্যাসাগরের মত জীবনের আরম্ভকালে শাস্ত্রে অসামান্য পারদর্শী হয়েছিলেন এবং বাল্যকালে পাশ্চাত্য বিদ্যা শেখেননি। তিনি দীর্ঘকাল কেবল প্রাচ্য বিদ্যার মধ্যেই আবিষ্ট থেকে তাকেই একমাত্র,শিক্ষার বিষয় করেছিলেন। কিন্তু তিনি এই সীমার মধ্যেই একান্ত আবদ্ধ হয়ে থাকৃতে পারলেন না। রামমোহন সভ্যকে নানা দেশে, নানা শাস্ত্রে, নানা ধর্শ্বে অনুসন্ধান করেছিলেন, এই নিৰ্ভীক সাহসের জন্য তিনি ধন্ত - যেমন ভৌগোলিক সত্যকে পূর্ণভাবে জানবার জঙ্গ মাহুষ নতম নতন দেশে নিষ্কমণ কrন"