পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠসংখ্যা | eSeSee SSAS SSAS SSASASJAAA AAAA AAAA MSMS A S A S A S A S A S ം = ബ്". - যেন এই প্রাচীন উৎসবেরই সংস্কৃত সংস্করণ। এখনও আমাদের অষ্টমীতে কুমারী পূজা আছে, দ্বর্গ প্রতিম ছাড়াও বন-দুৰ্গা নামে একটি কলাগাছের প্রতিষ্ঠা আছে, এবং ঠিক নবমীর দিনে এক সময়ে বঙ্গের সকল পূজার বাড়ীতেই কুমারী-ওষার নবমীর দিনের অশ্লীল গানের অনুরূপ নবমীর"খেউড় প্রচলিত ছিল। যাহাঁদের উৎসবের কথা বলিলাম তাহীদের এই কুমারী-ওষার আর-এক নাম “ভাইজিউতিয়া” ; ভাইদের কুল্যাণের কামনায় কুমারীরা এই উৎসব করেন। ভাইদ্বিতীয়া পৰ্ব্বটির নাম ও বিধি বিধান আমাদের প্রাচীন পুরাণ ও স্মৃতিতে পাই না ; ভাই-দ্বিতীয়ার পর্ব শরতের উংসবের মধ্যে, তবে দুর্গাপূজার পবের শুরু দ্বিতীয়াতে হয়। অনার্য্য-প্রায় জাতির। যদি কুমারী-ওষা আৰ্য্যদের নিকটে ধার করিয়া লইত, তবে আমার বর্ণিত প্রদেশের আর্য্য সমাজে এই ওষা ও জিউতিয়া পৰ্ব্ব উপেক্ষিত হইত না । এই প্রসঙ্গে একট কথা বলিতে চাই ; বঙ্গে কেবল ধনীদের গৃহে দুর্গাপূজা হয়, কিন্তু পশ্চিম ওড়িশার প্রতি পল্লীতে সকলে মিলিয়া নাচিয়া গাইয়া উৎসব উপভোগ করে । © বঙ্গের বাহিরে যে যে গ্রামে বা নগরে অfয্যদের দেবীমন্দির আছে, সেইখানে মহালয়ার পর হইতে দেবীর নবরাত্র পূজা হয়, এবং বহু গ্রামের লোকের মন্দিরে আসিয়াই পূজা দিয়া ধায়, অথবা পূজা দেখিয়া, যায় "বাড়ীতে বাড়ীতে উৎসব হয় না। বঙ্গে মন্দিরের আধিক্য নাই। তবে যখন দেশে রাজা ছিল, তখন হয়ত কেবল রাজবাড়ীতেই উৎসব হইত ; এখন সকল ধনীই রাজা ; তাই বহু চণ্ডীম •পে দেবীর পূজা হয়। অন্য প্রদেশে দেখি, যে, একটা উৎসবের সময়ে একটি মন্দির হইতেই দেবতার "যাত্র" অর্থাৎ প্লোশেসন চলে, আর সেই যাত্রা বা মিশিলের সঙ্গে সঙ্গে নাচ গান ও তামাসওয়ালারা চলিতে চলিতে অভিনয়াদি করে। বঙ্গে এক সময়ে ঠিক তাহাই হইত বলিয়াই মিশিলের সঙ্গে সঙ্গে চলন্ত গানের দলের আগেকার নাম ধোচে নাই ; এক স্থানের এক আসরে যে গানের • পালার অভিনয় হয়, শারদীয় উৎসব A S A S A S A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS MAAA S S هر ' دwيا, SS S SSS S eS Ae AAAA AA S SA SAS A SAS তাহার নাম রহিয়া গিয়াছে "যাত্রা-গান” । যাত্রা বা মিশিলের সঙ্গে সঙ্গে যে-সকল কৌতুক অভিনয় হইত, তাহা ছিল ধাত্রার “শোভাঙ্গ” ; এই শোভাঙ্গের প্রাকৃত নাম ওড়িয়ায় দাড়াইয়াছে “শোয়াঙ্গ” এবং বাঙ্গলায় হইয়াছে—“শং” । সেদিন পৰ্য্যন্ত আমাদের যাত্রা-গানে “শং” সাজিবার রীতি ছিল। ঘরে ঘরে দুর্গা-পূজার প্রথা যে গোড়াগুড়ি বঙ্গে প্রচলিত ছিল না,—একটি অবস্থা-বিশেষেই শেষে এইরূপ দাড়াইয়াছে, এ কথা বুঝিয়া লইলে আমাদের বিশেষত্বের দাবী কিঞ্চিং কমিবে ; আৗর জাতি সাধারণের অথবা নিম্নস্তরের লোকের উৎসবে মাতিয়া আমরা যে শারদীয় উৎসবের, প্রসার বাড়াইয়াছি, ইহা জানিলে আমাদের অপমান নাই, বরং মান বাড়িবে। g 象 পূজার শেষে,বিজয় দশমীর সামরিক উৎসব, খাটি আর্য্য সমাজের। দেবী বা শক্তির নয় দিনের পূজায় শক্তি সাধনার পর অস্ত্ৰ শস্ত্র লইয়া যে খেলা হইত, এগনও তাহা স্থানে স্থানে প্রচলিত আছে। এই উৎসবে, স্বীয় * দলের লোকের মধ্যে মনোমালিন্ত ঘূচাইয়া, সৈন্য সামস্ত জুটাইয়া ক্ষত্রিয় রাজা, দিগ্বিজয়ে যাত্র। করিতেন ; দিগ্বিজয়ের এই সময়ের কথা অনেকেই জানেন, কারণ প্রাচীনের সকল কার্য্যেই ঐ বিজয়-যাত্রা শরতে বর্ণিত। এখন একটি জাতীয় লক্ষেী সকলের একসঙ্গে জৈত্রযাত্রা নাই ; কিন্তু সকলের সঙ্গে কোলাকুলি রহিয়া গিয়াছে। যাহ্বা হউক শরতের উৎসবে, উদ্বোধন যে প্রকৃতির আহবানে,—প্রশান্ত শারদ-প্রতিমার অনুধ্যানে, তাহাই বিশেষ ভাবে মনে পড়িতেছে। যে উৎসবের জন্ম প্রকৃতির স্বভাব-নিষ্ঠ আনন্দের আকর্ষণে, সে উংসবকে অপৌরুষেয় বলিতে পারি। সংক্ষেপে কথা কয়েকটি এই –( ১ ) এ উংসবের র্থাটি মূল নৈসর্গিক আকর্ষণে ; ( ২ ) উংসবে উদ্বুদ্ধের উৎসবের পবিত্রতা বাড়াইতে চাহ্যিাছে ,আপনাদের ইষ্টদেবতাকে পূজা করিষা ; (৩) উচ্চেরা আপনাদের উচ্চতা তুলিয়া নিম্নস্তরের প্রতিবেশীদের আনন্দকে আপনাদের আনন্দে মিলাইয়া মুখী হইয়াছে। শ্ৰী বিজয়চন্দ্র মজুমদার