পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

** প্রবাসী—মাশ্বিন, లిశిని ( ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড SSASAS SSAS SSAS SSAS SJSJJJJJJSAAAAAA AAAA SAAAAA AAAA AMMAMMMSAMAMMMAMAMAMMMMAAMMMMMAMMAAMMMMMMA AMMMMMMMAMAMAAAA করে। তাতী কার, । কামার কুমার ছুতার প্রভৃতি সব কারুর বেতন বাড়িয়ছে, পূর্বাপেক্ষা দ্বিগুণ ত্রিগুণ হইয়াছে, তাতীর বাড়ে নাই। কারণ শিয়রে করাল কল দাড়াইয়া আছে। এত কষ্ট করিয়া বুনিলেও হাত তাতের কাপড় কলের দরে দিতে পারে না । এই যে বিক্রি হইতেছে, সে দেশের অনুগ্রহে। কারণ বেশী দাম দিয়া লোকে কিনিতেছে । বয়ন-শিক্ষাশাল বসাই আর গ্রামে গ্রমে শিক্ষকই পাঠাই, তাতী নিজের জোরে বাচিতে পরিবে না। যাহারা সরু, বোনে, পীড়ে ফুল তোলে, জমীতে নক্স বাহির করে, তাহারা নিজের জোরে দঁাড়াইয়া আছে । কিন্তু, সখের কাপড় দিয়া দেশ চলিতে পারে না। কলের স্বভায় কাপড় বোনার বাণি উপরে দিয়াছি । চরকার স্থতায় - সে বাণিতে পোষায় না । অতএব স্থত৷ টান-সহ ও কিছু সমান কর, তাতীয় বাণিও কম হুইবে । র্তাতী চরকার স্থতার নামে ভয় পায় । ভয়ের হেতু एषi८छ् । ছাড়িয়া দেওয়াই ভাল। ইহারা যেমন বুলিতেছে বুহক । নূতন তাতী তৈয়ার করিয়া লইতে হইবে। হইতে নূতন তাতী কিছু কিছু জন্মিতেছে। ইহারা তাতী নয়, তাত বোন এক জীবিকা নয়। এই চাষের সময়ে তাত বন্ধ আছে, চাষ ফুরাইলে চলিবে । তাতী বুঝিয়াছে, নুতন এক প্রতিদ্বন্দ্বী জন্মিতেছে। মনে করিতেছে, ইহাদিগকে র্তীতের কম না শিথাইলে রক্ষা পাইবে। কিন্তু জানে না, দেশময় কি বিপুল সংগ্রাম চলিতেছে ; অর্থলৈাভে লোকের কি উদভ্ৰান্তি জন্মিয়াছে ; ‘কে মরিল কে বাচিল, কে কার বার্তা রাখিতেছে । এই নৃতন তাতীকে আটকাইয়া রাখিলেও কাপড়ের কল আটকাইতে পারিবে না ; এক-একটি কল বসিবে, তাতীর প্রাণ ওষ্ঠাগত হইবে। যে-সব তাতীর তাত আছে, চাষও আছে, তাহারাই বাচিয়া আছে ; যাহাদের তাত আছে চাষ নাই, তাহারা মৃতবং পড়িয়া আছে। শুধু ভাতী নয়, এমন কোনও কার, নাই, যে গ্রামে চাষ না করিয়াও বাচিয়া আছে। পূর্বের মতন সংখ্যায় অধিক থাকিলে একজনেরও দিন চলিত না । લ લ দরিদ্র, কার, পুষিতে পারিতেছে ના . কয়েক বৎসর আমার মনে হয়, ইহাদিগকে ইহাদের কমে নূতন তাতীর তাত মোটা, শানা মোট, মাকু মোট হইবে। চরকার স্থত কাটিতে ঠক্‌-ঠকি মাকুর কম নয়, হাত-মাকু চাই। নূতন তাতীর অন্য জীবিকা থাকিবে ; চাষের সময় চাষ করিবে, চাষ ফুরাইলে তাত ধরিবে,। এই তাতী হাতে আনা বাণিতে বুলিতে পারিবে । অতএব কেবল চরকা শিখাইলে পদ্ধর চলিবে না, তাতও শিথাইতে হইবে । লুপ্তপ্রায় কলার উদ্ধার লেমন-তেমন যত্নে হয় না, দৃঢ়-সংকল্প হইয়। লাগিয়া থাকিলে, নূতন পথ দেখাইল্ডে" পারিলে উদ্ধার সম্ভব। কাপড়েই দেখিতেছি, প্রাচীন রঙ্গাজীব নাই ; যদি বা মাতুষ আছে রঙ্গের মাত্রিক নাই । অন্য র" না পাই, লাল ও কাল চাই । কিন্তু, লাল রঙ্গেব চাষ উঠিয়া গিয়াছে, নীল চাষও প্রায় তাই । এখন বিলাতী রং ভিন্ন গতি নাই । যখন জাহাজের পথ থোল, তখন কোন ভরসায় কে নূতন পত্তন করিতে বসিবে ? কত জন রঙ্গিন পীড় বিসর্জন করিতে চাহিবে ? দেশ-প্রেম প্রবল হইলে বিলাতী রং পরিত্যাগ অবশ্য সম্ভব। কিন্তু, এই ত্যাগ দ্বারা স্বদেশী রঙ্গের উৎপত্তি হইবে কি না সন্দেহ । বোধ হয়, প্রধান অঙ্গে স্বদেশী হইতে পারিলেই যথেষ্ট বিদেশী রং নী। পাইলেও কাপড় পরা চলিবে, কোনও রং না পাইলেও চলিবে । এইরপ, টান ও পড়ানের স্বত, দুই-ই চরকার না হইলে উদ্দেশ্য-সিদ্ধির ব্যাঘাত হইবে, এমন নয। কেবল পড়ানের স্থত যোগাইতে পারিলেও যথেষ্ট মনে করি। তা ছাড়া, অনেকে খন্দরের দাম দিতে পরিবে না, চরকাও ঘুরাইতে পারিবে না। ইহার কলের ১০।১২ নম্বরের স্থতার কাপড় পরিলে সে উদ্দেশ্বের বিশেষ বিল্প হইবে না। উদ্দেশ্যটি আবার বলি, বস্ত্রবিষয়ে স্বাধীন হইতে হুইবে, মোট মা ধরিলে সে উদ্দেশ্য সিদ্ধ হইবে না। কলের মোটা ও চরকার মোটা প্রাধ একই। এই হেতু, মোট সভ্য বিবেচিত হইলে গ্রামের দরিদ্র নর-নারী চরকার স্থতার কাপড় পরিয়া আত্মানি বোধ কুবিবে না। তখন তাহাদের ঘরে চরকাও চলিত্তে পারিবে । o o শ্ৰী, যোগেশচন্দ্র রায়