পাতা:প্রবাসী (দ্বিতীয় ভাগ).djvu/৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

^ do সূচী । বিষয় । পৃষ্ঠা । বিষয় পৃষ্ঠা । চৌধুরী বি এ, প্রাচীনকালের জন্তু (সচিত্র) এউপেন্দ্রকিশোর রায় বর্তমান সংখ্যার চিত্র-সম্পাদক ২০০, ৬৪, ১৯, ৩৩২ মুক্তা (সচিত্র) সম্পাদক B২৩ মুক্তি ( কবিতা ) শ্রীভাবির সাহানা মৃচ্ছকটিক অক্ষয়কুমার মৈত্রের ৩৮৬ বাদশাহের বিবাহ হরিদাস ভট্টাচাৰ্যা যাচনা (কবিতা) গ্রীলাবতী বহু ১৬১ বালুকার ঘর (কবিতা) গ্রীসুরেশচন্দ্র সরকার 48 রসাতলামি প্রযোগেশচন্দ্র রায় ২.৬১ বাসবদত্তা (কবিতা) ঐবিষয়রে ১০৯ রাণী তুই সাধনার মোর (কবিতা) লজ্জাবতী বহু 838 বিক্রমাদিত্য ও নবরত্নসভা - শ্রীবিজয়চন্দ্র মজুমদার ১৫৯ রাফেল, চিত্রবিদ্যা ও ম্যাডোনা (সচিত্র কবিতা ) বিচা তর উৎপত্তি— শ্রীজগদানন্দ রায় বিবাহের ফলাফল- ঐধমানন্দ মহাভারতী বিবিধ প্রসঙ্গ-সম্পাদক এদেবেন্দ্রনাথ সেন ১৮২ 2 ২১৫ লজ্জাবতী-- ঐ বিজয়চন্দ্র মজুমদার দ্বিতীয় ভাগ । 500 ৪২, ৭৯, ১১৬, ১৮৭ পাঠির কথা—গ্রী শুধীন্দ্রনাথ ঠাকুর 3b বীণা (কবিতা) দেবেন্দ্রনাথ সেন www ১৫% প্যান্ডোরার জালরাজা প্রতাপচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যার বৈজ্ঞানিক প্রসঙ্গ শ্রীযোগেশচন্দ্র রায় বৈশ্ববৰ্ণ—গ্রীজবিনাশচন্দ্র দাস ৩০.৫৫, 108, 109 ১৮০, ২০০ ৪৬, ১৪২, ২৩৬ শত্রুর পদ (সচিত্র) দাস বসু ১৫ শাস্তি, তৃপ্তি, মুখ [কবিতা]

বৌ$দিগের আমেরিকাবিষ্কার (সচিত্র) শ্রী চারুচন্দ্র গোপাল মুখোপাধ্যা 209 বন্দ্যোপাধায়ি 509 বাণিত— প্রভাবতী স্ত ৩৭. ব্রহ্মদেশে বাঙ্গালী ব্রহ্ম প্রবাসে ( কবিতা) ঐগিবীন্দ্রনাথ সরকার ব্রহ্মবালিকা ও তাহার প্রণয়কাহিনী — ধনরেন্দ্রনাথ ... ভারত শিল্পসম্ভার-এ অক্ষয়কুমার মৈত্রের ১৭ ভারতে প্রাচ্য প্রতীচ্যের সংমিশ্রণ — শিবনাথ শাস্ত্রী ১৬৩ ভারতে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাবকর্তা (সচিত্র) ঐ বামনদাস বসু ভ্রাতৃবিচ্ছেদ (কবিতা) শ্রী প্রমথনাথ রায় চৌধুরী মণিমালা -- শ্রী বিজয়চক্ষু মজুমদার এ সধাপথে ( কবিতা ) শ্রীলজ্জাবতী বহু মাতৃভূমির পূজা—শ্রীযোগীন্দ্রনাথ সরকার মিনতি (কবিতা) শ্রীনরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য্য

শিক্ষিত ভদ্রলোকের কৃষিবৃত্তি অবলম্বন নিস্তা সংক্ষিপ্ত গ্রন্থপরিচা— বিষয়চন্দ্র মকুন্দার ও ২৪৫, ১৯৪, ২১৪ সম্পাদক সামাজিক শক্তির ঘাত প্রতিষ্ঠত শিবনাথ শাস্ত্রা সাহিত্য প্রসঙ্গ — বিজয়চন্দ্র মজুমদার বিছুদেশ (সচিত্র) বামনদাস বহু সুজাতা (সচিত্র কবিতা) য়িচন্দ্র মজুমদার শুদুয় (কবিতা) শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তুর্কীসম্প্রদায় তীশচন্দ্র বসু হৰ্য্যসম্ভব - - গ্রীষ্ম পূর্বচন্দ্র দত্ত সেকালের ও একালের যাত্রা – শ্রীঅমৃতলাল গুপ্ত স্বপ্ন (সচিত্র কবিতা) দেবেন্দ্রনাথ সেন ১৬ (স্বপ্নচ্যুত (কবিতা) শ্রীলজ্জাবতী বহু ২৪ হিন্দুরসায়নের ইতিহাস – সম্পাদক হে বিহগি! [কবিতা] লজ্জাবতী বহু 20 রবিবর্ম্মার অঙ্কিত সীতার ছবি। মূলা পাচ আনা। তিঃ পিঃ ডাকে সাত আনা । ২৯৭, ৩৮১ www 2) www ১৩২ ৩৭৮ ১১৯ ১৮৭ 852 ১১০ 228 A SHARATI UNIVERSITY SITBAL LIGARY নৈসর্গিক ধৰ্ম্ম । JICIC



প্রবাসী

বৈশাখ, ১৩০৯।

আপামরসাধারণ যে মানুষকেই জিজ্ঞাসা করি, কেহই জীবনের প্রতি সন্তুষ্ট নয়। সকলেই অনুভব করে, এ জীবনটা যাহা হওয়া উচিত ছিল, তারা হয় নাই। আমরা বাহির হইতে যে জীবনে পূর্ণতা দেখিতেছি, ভাহাতেও এমন কিছু অভাব রহিয়াছে, যাহাতে তাহা সে জীবনবাসীর নিকট অঙ্গহীন বলিয়া অনুভূত হইতেছে। তবেই ত দেখা যাইতেছে, মনুষ্যমাত্রেরই অন্তরে এমন একটা কিছু রহিয়াছে, যদ্দারা প্রত্যেকেই স্বীয় স্বীয় জীবনকে বিচার করিয়া তাহাকে হীন বলিয়া প্রতীতি করিতেছে। যদি কেহ বাজারে বেদানাটি কিনিতে গিয়া, টিপিয়া, হাতে ওজন করিয়া বলে এটা প্রকৃত বেদানা নয়, তাহাতে কি প্রকাশ পায়? ইহাই কি প্রমাণিত হয় না যে, সে প্রকৃত বেদানার লক্ষণ জানে এবং তদ্বারাই উক্ত বেদানাটিকে বিচার করিতেছে? সেইরূপ তুমি যখন বলিতেছ "হায়! জীবনটা মনের মত হইল না”, তখন কি প্রকাশ পাইতেছে না, যে মনের মত জীবন যাহাকে বলে, তাহার একটা আদর্শ তোমার মনে লুকাইয়া রহিয়াছে? জীবনের প্রতি অসস্তোষ যদি সর্ব্বসাধারণের মধ্যেই দেখ, "তাহাতে কি এই প্রমাণ হয় না যে, পূর্ণ বা প্রকৃত উন্নত জীবনের একটা আদর্শ সর্ব্বসাধারণের মনেই নিহিত আছে? চিন্তা করিলেই দেখা বাইবে যে নিজ নিজ জীবন-যুদ্ধে যেমন একটা অতৃপ্তি বা অসন্তোষ সর্বসাধারণের যেমনই আছে, তেমনি মানব সমাজ সম্বন্ধে একটা অসন্তোষ মানবমাত্রেরই মনে রহিয়াছে। আমরা সমাজ না হইলে থাকিতে পারি না কিন্তু কেহই সমাজের প্রতি সন্তুষ্ট নহি। মানব-কুলের দুষ্কৃতির আঘাতে আমাদের প্রতোকেরই চিত্ত সতত চঞ্চল। আমরা সকলেই অনুভব করিতেছি যে সমাজটা চারিদিকে দেখিতেছি, এটা ছাই। কেহ কেহ বলিতেছেন, আগে যাহা ছিল, তাহা ভাল; কেহ কেহ বলিতেছেন, পরে যাহা আসিতেছে, তাহা ভাল; কিন্তু উভয় শ্রেণীর এবিষয়ে ঐকমত্য দেখা যাইতেছে যে বর্তমান সমাজটা ছাই। এখন যদি প্রশ্ন করা যায় তোমরা কি করিয়া জানিলে বর্তমান সমাজটা ছাই? তোমাদের নিকট কি মাপের কাঠি আছে, যাহা দিয়া মাপিয়া দেখিয়াছ যে বর্তমান সমাজ অনেকাংশে হীন? তবে তাহার কি উত্তর পাই? নিশ্চর সকলের অন্তরে কোনও একটা মাপের কাঠি আছে। এই যে মানবের সন্নিহিত অপরিস্ফুট বেদনা, এই যে গূঢ় গভীর অতৃপ্তি, এই যে স্বতঃপ্রণোদিত হৃদয়াস্তরালবর্তী আদর্শের সহিত তুলনা, ইহা আর কিছুই নহে, ইহা আত্মা ও পরমাত্মার গূঢ় গভীর যোগের নিদর্শন স্বরূপ, পরমাত্ম-প্রভাবের সুচনামাত্র। যেমন নদীর জোয়ারভাটা দেখিয়া অনুভব কর যে সিন্ধুর সহিত তাহার যোগ আছে, এবং জোয়ারের জল উদ্বেলিত সিন্ধুর প্রেরণামাত্র, তেমনি এই যে মানব হৃদয়ের প্রধুমিত আকাঙ্ক্ষা ইহাকেও অনুভব কর যে ইহা পরমাত্মার প্রেরণামাত্র। যেমন জল স্বভাবতঃ নিম্নগামী, তেমনি মানবাত্মা স্বভাবতঃ ধর্ম্মাণ্বেষী।

মানবাত্মা যে স্বভাবতঃ ধর্ম্মাণ্বেষী, তাহা বিবিধ প্রকারে