পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

|||||||ಿ!836 ' ' ' ' '^* M 高 聞 | সর সামুয়েল হোরের মিথ্যা স্বজাতিপ্লাঘ জেনিভাস্থিত রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধি-সভার ( লীগ অব নেশান্সের এসেমরীর ) গত ১১ই সেপ্টেম্বরের অধিবেশনে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বর্তমান পররাষ্ট্রসচিব ও ভূতপূৰ্ব্ব ভারতসচিব সরু সামুয়েল হোর যে বক্তৃত করেন, রয়টরের টেলিগ্রাম অনুসারে তাহার মধ্যে নিম্নোদ্ধৃত কথাগুলি ছিল । In accordance with what we believe to be the underlying principles of the League we steadilv promote the growth of st-li-government in our own territories. For example. only a few weeks ago, I was responsille for helping pass through the imperial Parliament a grous and complicated measure to extend self-government to ln(lit. তাৎপৰ্য্য। যে সমুদয় নীতি রাষ্ট্রসংঘের ভিত্তিত্বত বলিয়। আমরা বিশ্বাস করি, তদনুসারে আমরা আমাদের অধিকৃত দেশসমূহে অবিচলিতভাবে ক্ৰমাগত স্বশাসন বুদ্ধির চেষ্ট করি । দৃষ্টান্তস্বরূপ, কয়েক সপ্তাহমাত্র পূৰ্ব্বে, আমি ভারতবর্মকে স্বশাসন দিবার নিমিত্ত সামাজ্যিক পালেমেণ্টে একটি মহৎ ( বা বৃহৎ ) ও জটিল আইন পাস করিতে সাহায্য করিবার নিমিত্ত দায়ী ছিলাম । নূতন যে ভারত-শাসন আইন এই বৎসর ব্রিটিশ পালেমেণ্টে পাস হইয়াছে, তাহার দ্বারা ভারতবর্ষে স্বশাসন প্রতিষ্ঠিত হয় নাই, যদি তাহার পূৰ্ব্বে স্বশাসন অল্প পরিমাণে ছিল বলিয়া স্বীকার করা যায় তাহ হইলে এই নূতন আইনের দ্বারা তাহার পরিমাণ বাড়মও হয় নাই । অতএব, কোন অর্থেই সবু সামুয়েল হোরের কথা সত্য নহে । zemskap সর সামুয়েল হোরের কথার প্রতিবাদ ত্যাবশ্বক জেনিভার রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধি-সভায় যে কয় জন ভারতীয় “প্রতিনিধি'র কাজ করেন, তাহারা ভারতীয় ব্রিটিশ গবন্মেণ্টের প্রতিনিধি । তাহারা যদি ভারতবর্ষের জনপ্রতিনিধি হইতেন, যদি তাহারা ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভার নিৰ্ব্বাচিত সদস্যদের দ্বারা নির্বাচিত হইতেন, তাহা হইলে র্তাহারা সবু সামুয়েল হোরের এই মিথ্য বড়াইয়ের প্রতিবাদ করিতে পারিতেন ও করিতেন। তাহা তাহারা করিতে পারিবেন না, করিবেন না। যদি তাহারা সবু সামুয়েলের মিথ্যা কথার সমর্থন করেন, তাহাও আশ্চর্য্যের বিষয় হইবে না। to ভারতবর্ষ সম্বন্ধে মিথ্যা কথার প্রচার এই নৃতন হইতেছে না । বহু বৎসর হইতে ইহা চলিয়া আসিতেছে। কখন কখন কোন কোন দেশের সরকারী লোকদের দ্বারা এই অসত্য প্রচার হয়, কখন কখন তাহারা পশ্চাতে থাকিয়া অন্য লোকদের দ্বারা ইহা করায়, কখন বা লাভের লোভে অন্য দেশের লোকের ব্রিটিশ লোকদের উৎসাহ ও প্রশ্রয়ে ইহ করে। ভারতবর্ষের লোকদের এরূপ জনবল, অর্থবল ও বিদেশে সত্য সংবাদ প্রেরণের স্বায়ত্ত উপায় নাই, যাহার দ্বারা এই সমস্ত মিথ্যা কথার, সম্পূর্ণ প্রতিকার না হউক, অন্ততঃ যথাসময়ে ও যথাস্থানে প্রতিবাদ হইতে পারে। সত্য সংবাদ প্রেরণের স্বায়ত্ত উপায়ের কথা এই জন্য উল্লেখ করিয়াছি, যে, ভারতবর্ষ হইতে ডাকযোগে বা তারযোগে প্রেরিত সত্য সংবাদ বাহিরে না পৌছিতে পারে। ভারতবর্ষের স্বশাসনলাভ-প্রচেষ্টা অবশ্য প্রধানত:, প্রায় সম্পূর্ণ রূপে, ভারতবর্ষেই চালাইতে হইবে, ইহা যেমন সত্য, তেমনি ইহাও সত্য, যে, জগতের সভ্য জাতিসমূহকে ভারতবর্ষ সম্বন্ধে অবিকৃত প্রকৃত কথা জানান আবশ্যক । র্যাহাঁদের মানস দৃষ্টি ভারতবর্ষ ও ভারতবর্ষের বাহিরের সভ্য জগৎ উভয়ত্র প্রসারিত, র্তাহারা অনেক বৎসর হইতে ইহা অনুভব করিয়া আসিতেছেন । গত কয়েক বৎসর স্বশাসনলাভ-প্রচেষ্টা বলবতী হওয়ায় ভারতবর্ষ সম্বন্ধে মিথ্যা কথা ও কুৎসার প্রচারচেষ্টাও খুব বাড়িয়াছে। সেই জন্য, তাহার প্রতিকার ও প্রতিবাদের ইচ্ছাও ভারত-হিতকামীদিগের মনে প্রবল হইয়াছে। এই ইচ্ছার বশবৰ্ত্তী হইয় পরলোকগত বিঠলভাই পটেল তাহার উইলে ঐযুক্ত সুভাষচন্দ্র বন্ধকে