পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কীৰ্ত্তিক সম্ভাবনা। তাহার পর উহা কেন্সিল অব ষ্টেটে পেশ হইবে এবং তথায় উহা পাস হওয়া এক রকম নিশ্চিত। ব্যবস্থাপক সভায় গবন্মেন্টের পরাজয়ে লাভ এই হইল, যে, সরকারী ও বেসরকারী ইংরেজরা বলিতে পারিবে না, যে, আইনটা অধিকাংশ দেশপ্রতিনিধির মতানুসারে বিধিবদ্ধ হইয়াছে— যাহা তাহারা বঙ্গের কোন কোন দমনমূলক আইন সম্বন্ধে বলিবার স্বযোগ পাইয়াছে। ইহা তুচ্ছ লাভ নহে। খোদী-গোবিন্দপুরের নরপিশাচদের শাস্তি রাজসাহী, ১২ই সেপ্টেম্বর অদ্য রাজসাহীর সেসন জজ মিঃ এস. এস. আর. হাত্তিয়ানগাদী, আইসি-এস, খোর্ণ-গোবিন্দপুর মামলার রায় প্রকাশ করিয়াছেন। গত ৮ই সেপ্টেম্বর তারিখে জুররগণ বলিয়াছিলেন যে, ৪২ জন আসামীর মধ্যে দুই জন নির্দোষ এবং অপর ৪০ জন দোষী। সেই দিনই জজ সাহেব দুই জন আসামীকে মুক্তি দিয়াছিলেন। অদ্য তিনি অপর ৪ জনের প্রতি দণ্ডাদেশ প্রদান করিয়াছেন। আসামীদলের অধিনায়ক বলিয়া বর্ণিত এরফান, দুখন, সেরা, নেছার, পালান, লেকু, আমির এবং ময়েজ—এই আট জন আসামীকে যাবজ্জাবন দ্বীপান্তর দণ্ডে দণ্ডিত করা হইয়াছে। অবশিষ্ট ৩২ জনকে দশ বৎসর করিয়া কঠোর কারাদও দান করা চুইয়t:ছ। নারীর উপর পাশবিক অত্যাচার, অনধিকার-প্রবেশ, জোর করিয়া দরজা ভাঙিয়া গৃহে প্রবেশ, ষড়যন্ত্র, বে-আইনী জনতা করা ইত্যাদি নঃন রকমে একটি সমগ্র হিন্দু পরিবারের উপর দৌরাত্ম্য করিবার অপরাধে আসামীগণের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি আইনের কতিপয় ধীর। অমুসারে চার্জ গঠিত হইয়াছিল। অদ্য রায়প্রদানের সময় আদালতগৃহে বহু উকিল, মোক্তার ও দর্শকের সমাবেশ হইয়াছিল । দণ্ডাদেশ শুনিয়া আসামীদের মধ্যে অধিকাংশই একান্ত বিযঞ্জ হইয়৷ পড়ে। তন্মধ্যে কেহ কেহ আদালতগৃহেই করুশভাবে ফ্রনান করিয়াছিল। --এ. পি. আসামীরা যাহা করিয়াছিল, তাহার বৃত্তাস্ত দৈনিক ও সাপ্তাহিক অনেক কাগজে সবিস্তার ছাপা হইয়াছে। এই প্রকার হবৃত্তিতাকে প্রায়ই পাশবিক অত্যাচার এবংTদ্ধবৃত্তদিগকে নরপশু বলা হয়। কিন্তু তাহাতে পশুদের প্রতি অবিচার ও তাহাঁদের অপমান হয়, কারণ তাহারা এরকম কাজ করে না । দি পিশাচ নামে অভিহিত কোন জীব থাকে, ত, তাহদের ধারা এরূপ কাজ হইতে পারে বটে। জজ মহাশয় যেরূপ শান্তি দিয়াছেন, তাহা ঠিক হইয়াছে। বিবিধ প্রসঙ্গ-শিক্ষামন্ত্রীর নূতনতম প্রস্তাৰ $Nరివి শিক্ষামন্ত্রীর নূতনতম প্রস্তাব ১৩ই সেপ্টেম্বর শিক্ষামন্ত্রী এসোসিয়েটেড প্রেসের প্রতিনিধিকে প্রধানতঃ প্রাথমিক শিক্ষা এবং কিযুৎপরিমাণে মাধ্যমিক শিক্ষা সম্বন্ধে যাহা বলেন, তাহা খবরের কাগজে বাহির হইয়াছে। তাহাতে নূতনতম একটি প্রস্তাব আছে বটে। তাহার ১লা আগষ্টের বিবৃতিতে ১৬• • • প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের কথা ছিল। ২৫শে আগষ্টের বিজ্ঞপ্তিতে তাহ বাড়িয়া ৪৮০০০ হাজারে পরিণত হয়। ১৩ই সেপ্টেম্বর ষে প্রস্তাবের উল্লেখ শিক্ষামন্ত্রী করেন, তাহাতে মনে হইতেছে, এখন উচ্চপ্রাথমিক ও নিম্নপ্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের মোট সংখ্যা ৬৪০০০ হইবে, অর্থাৎ বৰ্ত্তমানে যত প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে প্রায় তত। ইহা হইলেণ্ড অবশু যথেষ্ট হইবে না। সমালোচনার প্রভাবে শিক্ষামন্ত্রী নিজের ভুল বুঝিতে পারিয়া যে বার-বার প্রস্তাব পরিবর্তন করিতেছেন, একগুয়েমি করিয়া ভ্রান্তমতে দৃঢ় থাকিতেছেন না, ইহা প্রশংসার বিষয় । তবে, ইহাও বলিলে অন্যায় হইবে না, যে, তিনি ১লা আগষ্টের বিবৃতিটি বাহির করিবার আগে ভাল করিয়া বিবেচনা করিলে ও বে-সরকারী কোন কোন লোকের সঙ্গে আলোচনা করিলে র্তাহাকে বার-বার প্রস্তাব পরিবর্তন করিতে হইত না, এবং খবরের কাগজের সম্পাদকদিগকে ও অন্য শিক্ষিত লোকদিগকে র্তাহার কাচা প্রস্তাবগুলির বার বার সমালোচনা করিতে ও তাহা করিবার নিমিত্ত পরিশ্রম করিতে হইত না । প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির সংখ্যা ছাড়া শিক্ষামন্ত্রী এসোসিয়েটেড প্রেসকে আর যাহা বলিয়াছেন, তাহ ১লা আগষ্টের ও ২৫শে আগষ্টের বিবৃতি ও বিজ্ঞপ্তিতে অপরিস্ফুট আকারে ছিল। সে-সব বিষয়ে আমরা নূতন করিয়া কিছু বলিতে চাই না। বিদ্যালয়ে ধৰ্ম্মশিক্ষাদানের ব্যবস্থা বঙ্গের প্রাইমারী এডুকেশুন আইনে কিরূপ আছে দেখি নাই। যেমনই থাক, সকল ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের ছাত্র বা ছাত্রী যে বিদ্যালয়ে পড়ে বা পড়িবে, সেখানে প্রত্যেক সম্প্রদায়ের ধৰ্ম্মমত সেই সম্প্রদায়ের বালক-বালিকাদিগকে শিক্ষা দিবার আমরা সম্পূর্ণ বিরোধী, ইহার জন্য সরকারী রাজস্ব হইতে অর্থব্যয়েরও আমরা সম্পূর্ণ বিরোধী। আশ্বিনের প্রবাসীতে কারণ লিখিয়াছি। কোন একটি মাত্র সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েরা কোন বিদ্যালয়ে