योद्धृष्ठञ्र চণ্ডীদাস অপেক্ষ দশ বার বৎসরের ছোট ছিলেন। ছাতনার সামস্ত রাজবংশের কোন বিশ্বাসযোগ্য ইতিহাস কিম্বা কাগজ পত্র নাই। শ্ৰীযুত মহেশ্র-সেন রাজ-লতা দিয়াছেন, কিন্তু রাজাদের বাজত্বকাল দিতে পারেন নি। তথাপি রাজ-পরম্পরায় হামীর-উত্তর অতি প্রাচীন রাজা । চণ্ডীদাস আর রাজা হামীর-উত্তর, এই দুই নাম গাঁথা আছে, একটি খ’সলে অপরটিও খসবে । ওমালী সাহেব বাকুড়া জেলার বিবরণে আর একরকম লিখেছেন, কিন্তু তার লিখন বেদবাক্য নয়। ছাতনার বাসলীর আদি থানের প্রাচীরের ইটে ১৪৭৫ শক লেখা আছে। কিন্তু সে শক ইট-গড়ার, এইটুকু বলতে পারি। ইং ১৮৭২৭৩ সালে বেগলার সাহেব ইটে চতুবিধ লেখ দেখেছিলেন। আমরা তিন রকম দেখেছিলাম। বেগলার সাহেব সব লেখ পড়তে পারেন নাই। আমরাও একটা লেখ পারি নাই। অপঠিত লেখে কি ছিল, তা না জানলে কেবল শক দেখে কিছুই বলতে পারা যায় না। (২) সিকন্দর-সাহ চণ্ডীদাসকে হত্যার নিমিত্ত সৈন্যদ্বারা পাণ্ডুআয় ধরে নিয়ে গেছলেন। অবিকল এইরূপ ঘটনা ভারতবর্ষের ইতবৃত্তে আছে। ইং ১৪৯৯ হতে ১৫০৩ সালের মধ্যে এক সময়ে দিল্লীর সিকন্দর-লোদী জৌনপুর হতে সম্ভল নামক স্থানে যেয়ে এক ধর্মসভা আহবান করেন। বিহারনিবাসী এক বাঙ্গালী ব্রাহ্মণ, নাম লৌধন, প্রচার ক'রছিলেন মুসলমানধম ও হিন্দুধম দুই-ই সত্য। ব্রাহ্মণকে সেই ধৰ্মসভায় আনা হয়। মুসলমান উলেমারা বলেন, যদি দুই ধৰ্মই সত্য, তবে ব্রাহ্মণ মুসলমানধর্ম গ্রহণ করুক। ব্রাহ্মণ অস্বীকার করলে তার প্রাণদণ্ড হয়ঞ্চ । চণ্ডীদাসের প্রাণদণ্ড হয় নাই। পরন্তু তিনি সিকন্দর-সাহকে হিন্দুর প্রতি ক্ষমাশীল করতে পেরেছিলেন। তিনি এক তান্ত্রিককে, বিষ্ণুপুরের দুর্দাস্ত রাজা কিসেন-গোপালকে, আরও অনেককে হরিভক্ত করেছিলেন। অতএব তিনি পাষগুদলন করেছিলেন, এই যে একটা কথা আছে, সেটায় অবিশ্বাসের
- Cambridge History of India, vol. III, p. 240. वैपूठ बनिनौकाउ-डोनाजी मूल भूो श्रउ बोक्रसब नाम 'गोक्न'७ নিবাস কনের গ্রাম জানিয়েছেন। - ৮
“চণ্ডীদণস-চরিত" శ్రీపెt হেতু নাই। সন্দেহের মধ্যে তার ভ্রাতুম্পৌত্র পদ্মলোচন এ বিষয়ে কিছু লেখেন নাই। (৩) “কৃষ্ণকীৰ্ত্তনে? দেখছি, চওঁীদাস বাসলীর আদেশে রাধাকৃষ্ণ-প্রেম-গীতি গেয়েছিলেন। ইহা এক আশ্চৰ্য্য আদেশ ; বাসলীদেবী বাসলী-মঙ্গল গাইতে বললে আমরা বুঝতে পারতাম। কিন্তু এই আশ্চৰ্য্য আদেশ মিথ্যা বলতে পারি না । কারণ, চণ্ডীদাস নিজে বলেছেন এবং রাধাকৃষ্ণের গীত গেয়েছেন। রাধা, কৃষ্ণের পরিণীতা নয়, পরকীয়া। বাসলীর আদেশ ষে আরও অদ্ভূত। তিনি পরকীয়া-প্রীতি গাইতে আদেশ করলেন । এর হেতু আমরা বুঝি না বুঝি, চণ্ডীদাসকে সে গ্রীতি অবশু অনুভব করতে হয়েছিল। অতএব চওঁীদাস-চরিতে রামীর প্রবেশ অসঙ্গত নয়। কৃষ্ণসেনের পুখীতে দেখছি, রামী চণ্ডীদাসকে প্রেমমন্ত্র দিয়েছিল। চণ্ডীদাস সে মন্ত্র জ’পতে জীপতে পাগল হয়ে গেছলেন। রাজা ও ব্রাহ্মণসমাজ রামীকে গ্রাম হ’তে তাড়িয়ে দিয়ে ভালই করেছিলেন। কুদৃষ্টান্ত সমাজের অহিতকর। পরে চণ্ডীদাসকে দণ্ড দেওয়া অন্যায় হয় নাই। তিনি গ্রাম হতে পালিয়ে গেছলেন । তথাপি চণ্ডীদাস রামীকে ভুলতে পারেন নাই। তীর্থভ্রমণ দ্বারাও মনের শাস্তি পান নাই। দেশে ফিরে এসে দেখলেন, হাহাকার, গ্রাম দগ্ধ । রামীরও ঠিকানা পেলেন না । এই বিষাদের সময় বাসলী প্রবোধ দিলেন। ফল হ’ল না। পুখীর ১১১২র পাতায় শূন্তভারতী ও বাসলীর উক্তিতে চণ্ডীদাস যে প্রত্যুক্তি করেছিলেন, তাতে চণ্ডীদাসের মনের দ্বন্দ্ব পরিস্ফুট হয়েছে। সে দীর্ঘ প্ৰবোধন এখানে তুলবার স্থান নাই। সব বুঝতেও পারলাম না। একটু তুলি। যুস্কভারতি। এইবার তুমি বল দেখি সখী সত্য মরম কথা। প্রানের ভিতর পরান মানিক খুজতে গেছলে কোখ ॥ আলোক আঁধারে ঘুরি ফিরি সখ কোনটি দেখিলে ভাল। কোনটি ধবল রক্তিম বল কোনটি দেখিলে কাল ॥ ধরনীর গতি উজান বাছিঅ’ পলাঞে ছিলে তা জানি । ধরিজাছি চোর পড়িঙ্গাছি ধরা কেমন চতুর আমি । ৰাখে৷ বলিতে মানুস বুঝাজ ছাগে বলিতে ভাই। আকাস পাতাল সঙ্কলি মান্বস তা ছাড়া কিছু ত নাই। 嘯 壽 犧